২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

স্যামসাংয়ের ১০ উদ্ভাবনী প্রযুক্তি

-

স্মার্টফোনে বড় স্ক্রিনের ডিসপ্লে ব্যবহারের সুযোগকে সবার জন্য সহজলভ্য করেছে অ্যামোলেড ডিসপ্লে। স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে স্যামসাংই সর্বপ্রথম স্মার্টডিভাইসে অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করে-
২০১১ সালে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোটের সাথে প্রথমবারের মতো ‘এস পেন’ নামক উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কলম নিয়ে আসে ব্র্যান্ডটি। যার সাহায্যে ফোনের স্ক্রিনেই মনের যত কথা আর চিন্তার আঁকিবুঁকি!
মোবাইল ফোনে আমাদের ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্যই আমরা সংরক্ষণ করে রাখি। তাই নিরাপত্তার প্রশ্নেও আমাদের ব্যবহার করা ডিভাইসকে হতে হবে অশ্বস্তিদায়ক ও সংবেদনশীল। এই দিকটি বিবেচনায় রেখে স্যামসাং নিয়ে আসে স্মার্টফোনের জন্য এর অফিশিয়াল নিরাপত্তা বলয় ‘স্যামসাং নক্স’, যা ডিভাইস থেকে অনাকাক্সিক্ষতভাবে তথ্য পাচার হওয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে।
২০১৭ সালে সর্বপ্রথম স্যামসাং নিজেদের গ্যালাক্সি এস৭ ডিভাইসে ব্যবহার করে সর্বোচ্চ মাত্রার ওয়াটারপ্রুফ ও ডাস্টপ্রুফ প্রযুক্তি ‘আইপি৬৮’, যার ফলে এখন আর পানি ও ধুলা নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে না স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।
ইন্সট্যান্ট ট্রাঞ্জেকশনের সুবিধার্থে ২০১৫ সালে স্যামসাং তাদের স্মার্টফোনে নিয়ে আসে ‘স্যামসাং পে’। স্যামসাং পে এই ব্র্যান্ডটির এমনই একটি ফিচার, যার মাধ্যমে নগদ অর্থ ও কার্ডের সব প্রয়োজন মেটানো যাবে একটি ডিভাইসের মাধ্যমেই।
স্যামসাং সবসময় ক্রেতাদের সর্বাধুনিক ক্যামেরার সুবিধা দিতে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্যামসাং নিয়ে আসে স্মার্টফোনে বিশ্বের প্রথম ডুয়েল পিক্সেল সেন্সর। ব্যবহারকারীদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে স্যামসাং ইউজার ইন্টারফেইস হিসেবে ২০১৮ সালে নিয়ে আসে নিজস্ব ওয়ান ইউআই।
২০১৯ সালে গ্যালাক্সি জেড ফোল্ডের মাধ্যমে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ফোল্ডেবল স্মার্টফোন যুগের সূচনা ঘটায় স্যামসাং। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে প্রস্তুত করা এই স্মার্টফোনে ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে মাল্টি-অ্যাকটিভ উইন্ডোর মতো আধুনিক সব ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। ২০২১ সালে স্যামসাং প্রথম এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তিটি নিয়ে আসে, যার মাধ্যমে যেকোনো ছবিতে থাকা অনাকাক্সিক্ষত বস্তু বা অংশ মুছে দিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করা হয়।
স্মার্টফোনে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াও বিশ্বের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে স্যামসাং। ব্র্যান্ডটি তার স্মার্টফোনের বিভিন্ন উপাদান রিসাইকেল করার ওপর শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়ে আসছে।


আরো সংবাদ



premium cement