কালো টাকা সাদা করা দুর্নীতির ভিত্তি
- ড. মো: মিজানুর রহমান
- ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার বিষয় নিয়ে লেখার পরিকল্পনা করে রাখি আগেই। তবে অপেক্ষা করছিলাম এই ভেবে যে, দেশের সব সেক্টরে যেভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে এবং বড় বড় রাঘববোয়ালের দুর্নীতি প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে তাতে জাতীয় সংসদের আইন প্রণয়নকারীদের প্রতিবাদের মুখে অর্থমন্ত্রী হয়তো চূড়ান্ত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া থেকে ফিরে আসবেন; কিন্তু তা আর হলো কই! কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেই বাজেট পাস হয়ে গেল।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ স্বাধীনতার পর থেকে বেশ ক’বার দেয়া হলেও বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত প্রতি বছরই এ সুযোগ দিয়েছে। বরং চলতি বাজেটে এই সুযোগ আরো বলিষ্ঠভাবে দেয়া হয়েছে। এবার ব্যক্তির পাশাপাশি কোম্পানিকে এবং আগের কিছু কিছু সেক্টরে বিনিয়োগের সুযোগ থেকে এবার যেকোনো সেক্টরে বিনিয়োগে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তার চেয়েও কঠিন বিষয় হলো, সরকারের কোনো সংস্থাই কালো টাকা সাদাকারীদের প্রশ্ন করতে পারবে না। অর্থাৎ তিনি এই টাকা কোথা থেকে ‘উপার্জন’ করেছেন, আয়কর অফিসের কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। এখানেই শেষ নয়, ভবিষ্যতে সরকারের কোনো সংস্থা এ অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন করা তো দূরের কথা, ‘টুঁ’ শব্দটি পর্যন্ত করতে পারবে না। এভাবে ‘ইনডেমনিটি’ বা দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে কালো টাকার মালিকদের। নজিরবিহীনভাবে ব্যক্তির পাশাপাশি কোম্পানিও ১৫ শতাংশ কর দিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে। মজার বিষয় হলো, একজন সৎ করদাতার ওপর সর্বোচ্চ কর ধার্য আছে ২৫ শতাংশ; কিন্তু কেউ যদি কালো টাকার মালিক হন তবে তিনি ২৫ শতাংশ নয়, মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে তার যত খুশি কালো টাকা সাদা করতে পারবেন।
কালো টাকা সাদা করার নৈতিক ভিত্তি
কালো টাকা অর্জন ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম, অর্থাৎ- নিষিদ্ধ। ইসলাম মানুষের আমানত রক্ষার প্রতি যেমন গুরুত্ব দিয়েছে, তেমনি যে আমানত রক্ষা করে না, অন্যের হক আত্মসাৎ করে, তার জন্য ঘোষণা করা হয়েছে কঠিন শাস্তি। রাসূল সা: এবং অন্যান্য নবী-রাসূল এমনকি সাহাবিরাও আমানতদার ছিলেন। পবিত্র কুরআনের সূরা আন-নিসা, আয়াত-৫৮, সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত-১৮৮, সূরা আল-মুমিনুন, আয়াত-৮সহ অনেক আয়াতে বারবার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আমানত রক্ষার প্রতি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং ধন-সম্পদের কিয়দংশ জেনে শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার জন্য তা বিচারকের কাছে পেশ করো না।’ এ বিষয়ে অগণিত হাদিসও রয়েছে। যেমন- ‘যে ব্যক্তি তোমার কাছে আমানত রেখেছে, তার আমানত তাকে ফেরত দাও। আর যে ব্যক্তি তোমার আমানত আত্মসাৎ করে, তুমি তার আমানত আত্মসাৎ করো না।’ রাসূল সা: বলেছেন, ‘যার চরিত্রে আমানতদারি নেই, তার ঈমান নেই। আর যে অঙ্গীকার রক্ষা করে না তার দ্বীন নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ) রাষ্ট্রীয় দায়িত্বও একটি আমানত। এরও যথাযথ হিফাজত করতে হবে। এখানে খেয়ানত করলেও আল্লাহর কঠিন আজাবে পাকড়াও হতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা তাদের অনুসরণ ও অনুকরণ করলেই সম্ভব সুন্দর ও শান্তির একটি সমাজ বিনির্মাণ করা।
অর্থনীতিতে কালো টাকা সাদা করার প্রভাব
আক্ষরিক অর্থে, কালো টাকা মূলত বৈধভাবে অর্জিত অর্থের কর না দেয়া অর্থকে বোঝায়; সরকারও তাই বলে। তবে বাস্তবে ঘুষ, দুর্নীতি, লুটের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ও অন্যায়ভাবে উপার্জিত অর্থই কালো টাকা। কালো টাকার অর্থ যা-ই হোক না কেন, এ ধরনের অর্থের ওপর আয় ও বিক্রয় কর পরিশোধ না হওয়ায় এই অর্থ বৈধ নয়। কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করা নিয়ে আইএমএফ একটি ভলান্টারি ডিসক্লোজার প্রোগ্রাম (ভিডিপি) ম্যানুয়াল তৈরি করে। শুরুতে এই কর্মসূচির আওতায় দেশে বিদ্যমান অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ দেয়া হতো। এখন পাচার করা অর্থ বৈধ করার সুযোগও দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। মূলত কালো টাকা অপ্রদর্শিত থাকে, তা উপার্জনকারীর দখলে থাকে এবং এগুলো উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পুনঃবিনিয়োগ হয় না। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে দুর্নীতিবাজ, রাজনীতিবিদ, আমলা এবং নানা খাতের লোক কালো টাকা উপার্জন করে আসছেন এবং এই রোগটি সমাজের সব অংশে এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে, এটি বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশে পরিণত করেছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে ৫০টির বেশি দেশ কালো টাকা সাদা বা অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দিয়েছে তবে তা অল্প কয়েকবার ও কম সময়ের জন্য। অপ্রদর্শিত অর্থের স্বেচ্ছা ঘোষণা নিয়ে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) তাদের ‘ভলান্টারি ডিসক্লোজার প্রোগ্রাম’ ধরনের কর্মসূচি বারবার না দেয়া ও কম সময়ের মধ্য দিয়েই কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ করার কথা বলেছে। যেসব দেশ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে অর্থ বৈধ করার সুযোগ দিয়েছে, মূলত তারাই সাফল্য পেয়েছে। আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার সুযোগ দানকারী ২০টি দেশের মধ্যে নেদারল্যান্ডস সর্বোচ্চ পাঁচবার ও অন্যরা এক থেকে সর্বোচ্চ তিনবার সুযোগ দিয়েছে। তবে ইন্দোনেশিয়ার পাদজাদজারান ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখানো হয়েছে, এশিয়ার ৯টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ, চলতি বছর পর্যন্ত দিয়েছে ২২ বার। এর পরই ভারত ও শ্রীলঙ্কা ১১ বার, ফিলিপাইন ১০ বার ও ইন্দোনেশিয়া চারবার। উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে অপ্রদর্শিত সম্পদ বৈধ করার সুযোগ দিয়ে ৩৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সমান সম্পদ বৈধ করতে পেরেছিল, যা দেশটির জিডিপির ৪০ শতাংশ। গ্রিস ২০১৬ সালে একই ধরনের সুযোগ দিয়ে সফল হয়েছিল মূলত তারা দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচার চালিয়ে, আর সুযোগ না দেয়ার কথা বলে এবং সুযোগ না নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়ে। গ্রিস তারও প্রমাণ দিয়েছিল। বাংলাদেশ কোনো প্রস্তুতি, পূর্বশর্ত, শাস্তির বিধান না রেখে বছরের পর বছর সুযোগ দেয় বলে কালো টাকা সাদা করার প্রচেষ্টা মোটেই সফল হয়নি।
বাংলাদেশ এ যাবৎ সরাসরি ২২ বার হলেও পরোক্ষভাবে ৪০ বছর কোনো-না-কোনোভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছিল। যার মধ্যে এই সুযোগ গ্রহণ না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি ছিল মাত্র দু’বার- প্রথমবার ১৯৭৬ সালে, সামরিক শাসনের সময়ে। পরেরবার ২০০৭ সালে- সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। অসংখ্যবার সুযোগ দেয়া হলেও যারা সুযোগ নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে কখনোই কোনো সরকার ব্যবস্থা নেয়নি; বরং নতুন করে আবার সুযোগ দিয়েছে। ফলে কার্যত এটি বাংলাদেশের জন্য ব্যর্থ কর্মসূচি হিসেবেই রয়ে গেছে। অথচ আইএমএফ সীমিত ও স্বল্প সময়ের জন্য সুযোগ দিতে বলেছে, যাতে আরো সুযোগ আসবে এই আশায় কালো টাকার মালিকরা তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে না পারে। বাংলাদেশে বিগত ৫০ বছরে কালো টাকা সাদা করেছে মাত্র ৪৫ হাজার ৫২২ কোটি ৮৩ লাখ। আর এ থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে মাত্র চার হাজার ৬৪১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। অথচ শোনা যায়, এই কালো টাকার মালিকরা কেবল বিদেশেই পাচার করেছেন ১১ লাখ কোটি টাকা। আর দেশে তাদের অপ্রদর্শিত কালো টাকার পরিমাণ অবর্ণনীয়।
অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ফ্রেডারিক স্নাইডার, বিশ্বব্যাংক, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) ও আইএমএফের সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২৭ বছরের কালো টাকার গড় হার মোট জিডিপির ৩৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে তা ১০ লাখ পাঁচ হাজার ৯৯৯ কোটি ৩৬ লাখ। চলতি অর্থবছরে বাজেটের হিসাবে দেড় বছরের বাজেটের সমান। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার তার চলতি মেয়াদে টানা ১৫-১৬ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ায় সবাই কালো টাকা অর্জনে উৎসাহিত হয়। এভাবে বছর বছর কালো টাকা আয়ে দুর্নীতিবাজদের পাহাড় পরিমাণ সম্পদ অর্জন হয়, যা তারা দেশে রাখা নিরাপদ মনে করে না। পাশাপাশি এ দেশের চেয়ে উন্নত জীবন যাপনের আশায় দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে, যা আত্মঘাতী, দেশদ্রোহিতা ও অনৈতিক। টিআইবির মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আয়কর অধ্যাদেশে বিনা প্রশ্নে বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে আনার নতুন বিধান সংযোজনের সিদ্ধান্ত অভূতপূর্ব, অনৈতিক ও বৈষম্যমূলক। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক ও অর্থপাচারের মতো ঘৃণিত অপরাধের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার নামান্তর বলেছে। অথচ চলতি অর্থবছর কেবল সুযোগই নয়; বরং ‘ইনডেমনিটি’ বা দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে কালো টাকার মালিকদের। নজিরবিহীনভাবে ব্যক্তির পাশাপাশি কোম্পানিও এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারার সুযোগ দিয়েছে। অথচ অর্থপাচার রোধ আইন-২০১২ এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, অর্থপাচার গুরুতর অপরাধ। দেশের আইন অনুযায়ী, যার শাস্তি পাচারকৃত অর্থ বাজেয়াপ্ত করা ও তার দ্বিগুণ জরিমানা এবং ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড নির্ধারিত।
অন্য দিকে বৈধ উপার্জননির্ভর করদাতাদের জন্য এই প্রস্তাব বৈষম্যমূলক, কারণ তারা ২৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে থাকেন। এক দিকে মানুষ সৎপথে আয় করতে যুদ্ধ করছে, অন্য দিকে দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ যুগ যুগ ধরে সাদা করার সুযোগ দেয়া কেবল অনৈতিকই নয়; বরং দণ্ডনীয় অপরাধ। এই সুযোগ দেশে দুর্নীতির বৈধতা দেয়া, প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া, দুর্নীতিবাজদের একধরনের দায়মুক্তি দেয়া। এই সুযোগ দেশের অর্থনীতির জন্য কোনো উপকারে আসেনি। প্রচলিত ভাবধারায় দুই-একবার কঠোর নিয়ম-কানুনের মাধ্যমে এই সুযোগ দিলেও তা বাস্তবায়নের বিষয়ে আরো কঠোর হতে হতো।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর ফাঁকির অন্যতম কারণ এবং ফাঁকির পরিমাণ বছরে লাখ কোটি টাকা, যা দেশের অর্থনীতির প্রায় ৩৫ শতাংশ। কর পরিহার এবং ফাঁকির কারণে সরকারের সম্ভাব্য রাজস্ব হারানোর পরিমাণ বছরে সর্বনিম্নে ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ তিন লাখ কোটি টাকা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কর ফাঁকির পরিমাণ সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং কল্যাণ ব্যয়ের ৮-৯ গুণ। বড় অনানুষ্ঠানিক খাত, দুর্বল অর্থনৈতিক ভিত্তি, অদক্ষ কর সংগ্রহ ও প্রশাসনব্যবস্থা, ট্যাক্স অনুশীলনকারীদের কাছ থেকে অনৈতিক সমর্থন, বেশি বিনিয়োগ ভাতা দেখানো, কম আয় দেখানোর স্বতন্ত্র অভিপ্রায় থেকে এসব হচ্ছে। এর প্রভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৩০ হাজার কোম্পানি আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। অন্য দিকে দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ করযোগ্য আয় করার পরও আয়কর দেন না। এভাবে প্রতি বছর লাখ কোটি টাকার রাজস্ব হারায় দেশ, যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। খোদ রাজস্ব বিভাগের জনবল চরম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে, যার মধ্যে দুয়েকজনের নাম ইদানীং ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
পরিশেষে বলতে হয়, দেশের প্রতি বাজেটেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলেও এবার থাকল ‘ইনডেমনিটি’ বা দায়মুক্তিসহ। নজিরবিহীনভাবে ব্যক্তির পাশাপাশি কোম্পানিও এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে। অথচ আলোচনায় দেখা যায়, কালো টাকা সাদা করার সুযোগে দেশ নয়; বরং দুর্নীতিবাজরাই কেবল লাভবান হচ্ছে। দেশে দুর্নীতি বাড়ছে, কর ফাঁকি বাড়ছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। অর্থাৎ কালো টাকা সাদাকরণ এবং দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষ যোগসূত্র। এই দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বেশির ভাগ রাজনীতিবিদ, আমলা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যসহ চাকরিজীবীরা। সমাধানের জন্য প্রাথমিকভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ চিরতরে বন্ধ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনাসহ কঠোর শাস্তির পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এর সাথে দুর্নীতি আইনের সঠিক বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় দেশের অর্থনীতি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। সতর্কতা জরুরি।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
ই-মেল : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা