১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সর্বাঙ্গে ব্যথা

-


তিন কুড়ি ১০ বছরের জীবন যেভাবে চলছিল রঘুনাথপুরের জটিলেশ্বর বাবুর, ইদানীং সেভাবে চলছে না। শারীরিক অবস্থা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। চোখে সরষের ফুল দেখতে শুরু করেছেন বলে মনে হচ্ছে। জটিলেশ্বর বাবু এই কিছু দিন আগে পর্যন্তও দৈহিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিকভাবে একটা সুষম অবস্থা বোধ করতেন। দেহের সাথে মনের, মনের সাথে সমাজের এবং সমাজের সাথে নিজের আত্মিক নির্বাণ লাভের প্রেরণা পেতেন। সেভাবেই কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু এখন তিনি দেখছেন এবং বুঝতে পারছেন ছন্দপতন ঘটছে এসবে। দৃষ্টিশক্তি কমে আসছে, সাইনাস, স্পন্ডেলাইটসে ব্যথা, লিভার-কিডনি-দাঁত এমনকি ফুসফুসেও সমস্যা। এসব রোগবালাইয়ের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান ডায়াবেটিস তার দেহে আগে থেকে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় ছিল। এখন সেও চোখ রাঙাচ্ছে। তার স্মৃতিশক্তিও কমে যাচ্ছে। জীবনে অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতেও তিনি হিমশিম খাচ্ছেন।

ডাক্তার বৈদ্য দেখানোর তাগিদ আগের চেয়ে এখন যেন বেশি বোধ করছেন। জটিলেশ্বর বাবুর এখন হাসপাতালেই পড়ে থাকার অবস্থায় উপনীত। বিদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েও ফলাফল তার অনুকূলে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। জটিল বাবু সরলভাবেই বুঝতে পারছেন, শারীরিক ভারসাম্য আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে, লোপ পাচ্ছে। তিনি মনে করেন, আমার দেহ ও মনের প্রকৃত অবস্থা কী তা তো আমি নিজেই বুঝতে পারি। শরীরের সার্বিক ভারসাম্য কখন কেন নষ্ট হচ্ছে, তা নিজেই বুঝতে পারি। এর জন্য পয়সাকড়ি খরচ করে ডাক্তার বৈদ্যের কাছ থেকে ভালো রিপোর্ট পাওয়ার ওপর নির্ভর করতে হবে কেন? ইদানীং এই চিন্তা ও ভয় জটিলেশ্বর বাবুর তার দেহে ও মনে এমনভাবে বাসা বেঁধে চলেছে যে, এক দিন এদের তাড়াতে না জানি তাকে আরো ভয়ঙ্কর ও দামি ওষুধ খেতে হয়।

মাসখানেক হতে চলল জটিল বাবুর ডান পায়ের সরল সোজা মচকানোর অস্বস্তিটা কাটছে না। ডান পায়ে অতি সাবধানতা অবলম্বন করতে গিয়ে তিনি এখন তার বাম পায়ের কার্যকারিতা হারানোর শঙ্কায় পড়ছেন। পা মচকানো এমন সিরিয়াস হতে পারে, আগে কখনো দেখেননি। দেশের এক বরেণ্য উপাচার্য তার নাছোড় ছাত্রদের দাবি মানতে অসম্মতির কথা বোঝাতে গিয়ে বলেছিলেন ‘ভাইংগবো কিন্তু মচকাবো না’। পা ভাঙলে তা জোড়া লাগানোর পদ্ধতি প্রচেষ্টা ঠিক করা আছে। একদিন তা ঠিক হয়েও যায়, কিন্তু মচকালে কিছু না কিছু করতে করতে সময় পার হয় অথচ নিরাময়ের প্রতিবেদন পেতে যে বিলম্ব তার জন্য তার শরীরে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা বাধা আসছে। যেমন জটিলেশ্বর বাবুর এই মচকানো ব্যামোর কারণে তিনি নিয়মিত হাঁটতে পারছেন না। প্রতিদিন সাত হাজার স্টেপ বা প্রায় পৌনে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটলে তার দেহ ও মন প্রফুল্ল ও সজীব মনে হতো। গেল প্রায় একমাস বাবু বড়জোর এক হাজার থেকে দুই হাজার স্টেপের বেশি হাঁটতে পারেন না। তার ডায়াবেটিস আছে যার নিয়ন্ত্রণের একটি যোগ্য হাতিয়ার ছিল নিয়মিত হাঁটা। এখন সেটি কমে আসায় তার ব্লাড সুগার বেড়ে যাচ্ছে, অন্যান্য ক্ষতিকর উপসর্গ মাউন্ড করে বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যেতে শুরু করেছে। বাবু ভয় পাচ্ছেন, তিনি বড় ধরনের ব্যামোর শিকার হতে যাচ্ছেন কি না। অথচ তার হাতে অনেক কাজ, অনেক স্বপ্ন, আরো অনেক কিছু তার দেয়ার বাকি। জটিল বাবু মনে করেন, একটি তিরোধান ওরফে মৃত্যু শত সহস্র স্বপ্নের মৃত্যু; যা থেকে জগৎ সংসার হবে বঞ্চিত।

জটিলেশ্বর বাবু তার পারিপার্শ্ব নিয়ে ভাবেন, ভাবেন দেশের সমাজ ও অর্থনীতি নিয়েও। দেশ অর্থনীতি ও সমাজের সঠিক অবস্থ ব্যবস্থার উপসর্গ প্রতিক্রিয়া ও পরিস্থিতির ব্যারোমিটারে তার চোখ পড়েই যায়। বাবু দিব্যি দেখতে পাচ্ছেন, তার নিজের শরীর মন স্বাস্থ্যের সাথে তার দেশের অর্থনীতির কেমন যেন অন্তঃমিল। তিনি সরল চোখেই দেখতে পাচ্ছেন অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড ব্যাংকিং খাতের অসুস্থতার কার্যকর চিকিৎসা করে একটি আস্থাজনক অবস্থা তৈরি বা আস্থা ফেরানোর মতো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না; বরং টিআইবির মতে, ‘তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ। ব্যাংক একীভূত করার উদ্যোগের বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে আইএমএফও সঠিক ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পথ ও পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে। টিআইবি বলেছে, চাপিয়ে দেয়া কয়েকটি ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা এবং এ প্রক্রিয়ায় থাকা ভালো ব্যাংকগুলোর অস্বস্তি, একীভূত হতে কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংকের অনীহা, সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে শঙ্কা, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা গভীরতর করেছে, যা একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়াকে শুরুর আগেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। টিআইবি মনে করে, প্রস্তাবিত একীভূতকরণের মাধ্যমে খেলাপি ঋণে জর্জরিত দুর্বল ব্যাংকের মন্দ ঋণ ব্যবস্থাপনা ও জবাবদিহিসংক্রান্ত বিষয়গুলোতে যে ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়েছে, তা মূল সমস্যা পাশ কাটিয়ে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির জন্য দায়ী মহলকে ‘দায়মুক্তি’ দেয়ার নামান্তর। ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, যা ঘটছে তা ক্যান্সার চিকিৎসায় প্যারাসিটামল প্রয়োগের মতো। একীভূতকরণের নামে একদিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও জালিয়াতির জন্য যারা দায়ী, তাদের যেমন সুরক্ষা দিয়ে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি গভীরতর করা হচ্ছে, অন্য দিকে সবল ব্যাংকগুলোর সাফল্যের পরিণামে খারাপ ব্যাংক হজম করিয়ে দেয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে, যা অস্বস্তি ও শঙ্কার নতুন বাতাবরণ ছড়িয়ে দিয়েছে পুরো খাতে। প্রত্যাশিত ফল পেতে সংশ্লিষ্ট খাতে সুখ্যাতিসম্পন্ন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে টিআইবির পরামর্শ।

জটিলেশ্বর বাবুর ক্ষুদ্র জ্ঞান বলে, দেশের অর্থনীতিতে আগেও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। বাংলাদেশ সেগুলো ভালোভাবে মোকাবেলা করেছে। কিন্তু বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জ একসাথে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি একসাথে এত চ্যালেঞ্জ আগে কখনো দেখেনি। করোনা-পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর যে চেষ্টা করা হয়েছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। এ কারণে দেশের অর্থনীতিতে বেশ চাপ রয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে অর্থনীতির চাপ ঘনীভূত হচ্ছে, সেগুলো হলো- রাজস্ব আহরণের ধীরগতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংকের তারল্যসঙ্কট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং এগুলো সবই পরস্পর প্রযুক্ত। একটি ঠিক করতে গেলে অন্যটি উহ্ আহ্ শুরু করবে।

সম্প্রতি সিপিডি বলেছে, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা খেয়ে ফেলছে। বাজার কারসাজি ও সিন্ডিকেট পরিস্থিতি আরো জটিল করছে। অর্থনীতি এখন বহুবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে এবং সত্যিকার অর্থে একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একমাত্র আশা, নীতিনির্ধারকরা এটি বুঝবেন এবং স্বীকার করবেন যে, গতানুগতিক পন্থায় কাজ হবে না। কেবল নিঃস্বার্থ শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংস্কারের কঠিন পথে যেতে পারে এবং অর্থনীতিকে উদ্ধার করতে পারে।’ দেখা যাচ্ছে অভ্যন্তরীণ যে আয় হচ্ছে, তা সরকার পরিচালনায় ব্যয় হচ্ছে। আর ঋণের টাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলার কারণে অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি আরো উসকে দিচ্ছে সিন্ডিকেট। রাজস্ব আহরণ কাক্সিক্ষত মাত্রায় হচ্ছে না। ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটির কারণে মানুষের কষ্ট বাড়ছে।

জটিলেশ^র বাবু পত্রিকায় পড়েছেন সিপিডির অভিমত, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণ এবং ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতার হার বেড়েছে। বাংলাদেশের ঋণ ও পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বাড়ছে, যা সরকারকে অপর্যাপ্ত রাজস্ব আদায়ের মধ্যে ঋণ পরিশোধের জন্য ক্রমাগত নতুন ঋণ নিতে বাধ্য করছে। ‘প্রকৃতপক্ষে পাবলিক ও পাবলিকলি গ্যারান্টিযুক্ত ঋণের দায়বদ্ধতার একটি বড় অংশ পরিশোধের জন্য ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। যদিও বর্তমানে বিদেশী ঋণ-জিডিপি অনুপাত ২১ দশমিক ৬ শতাংশ তুলনামূলকভাবে বেশি নয়। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘ঋণ পোর্টফোলিওর গঠন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। রেয়াতি ঋণের অনুপাত কমছে, কঠিন শর্তযুক্ত বাজারভিত্তিক ঋণের অংশ বাড়ছে। ঋণের শর্তাবলিও আরো কঠোর হচ্ছে। অন্যদিকে রফতানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সাথে তুলনা করলে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণ পরিশোধের দায়বদ্ধতার দ্রুত বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার মতো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এখন। বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন। এর সাথে ঋণ বহনের সক্ষমতা ও ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা উদ্বেগ তৈরি করেছে। দিন শেষে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ, যা অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী উভয় ঋণ পরিশোধের জন্য বিবেচনা করতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লেনদেনসংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে দেশে ব্যাংকিং লেনদেন কমেছে। এ পরিস্থিতিতে সবাই মনে করছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানা কারণে দেশের অর্থনীতিতে শ্লথগতি দেখা যাচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ; সেই ধারা থেকে অর্থনীতি এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি। ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে লেনদেন কমেছে ১২ শতাংশের বেশি। একই সময়ে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে লেনদেন কমেছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে ৩৬ শতাংশের বেশি; ডেবিট কার্ডে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে কমেছে ২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে (এমএফএস) লেনদেন কিছুটা বাড়লেও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লেনদেন ৬ শতাংশের বেশি কমেছে। এমএফএসে লেনদেন বেড়েছে দশমিক ৪৯ শতাংশ।

জটিলেশ্বর বাবু মনে করেন, বর্তমানে অর্থনীতির যে চালচিত্র, তার সাথে ব্যাংক লেনদেন কমে যাওয়ার পরিসংখ্যান মিলে যায়। দেশে অনেক দিন ধরেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এ বাস্তবতায় অনেকে সঞ্চয়পত্র ভেঙে ফেলছেন; ব্যাংক থেকেও আমানত তুলে নিচ্ছেন। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে সুদহার বাড়ানো হয়েছে। ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে; স্বাভাবিকভাবে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে তার প্রভাব পড়ছে। অর্থনীতির সংগঠিত ক্ষেত্রে তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে, যেমন শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরতে সুদহার বাড়ানো হয়েছে, যাতে মানুষ বেশি ব্যয় না করে। সেটি করতে গেলে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব পড়বেই। এ পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধি নয়; বরং স্থিতিশীলতা মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

এ দিকে সুদহার বৃদ্ধির সাথে ডলারসঙ্কট মোকাবেলায় এখনো আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মোট আমদানির প্রায় ৭৫ শতাংশ শিল্পের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও মধ্যবর্তী পণ্য; সে কারণে সুদহার বাড়ানোর প্রভাব প্রবৃদ্ধিতে পড়ছে। এতে বিনিয়োগ ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ব্যাহত হচ্ছে; প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আয়ে। রাজস্ব আয় কমে যাওয়ায় সরকারের ঋণ বাড়ছে, উন্নয়ন প্রকল্প ঠিকমতো বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাস জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৩১ দশমিক ১৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। অর্থবছরের আট মাস বিবেচনায় এটি গত ১০ বছরের মধ্যে এডিপির সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের হার। ব্যবসায়-বাণিজ্যের গতি কমে যাওয়ার ফলে রাজস্ব আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অবস্থাটা ডায়াবেটিসের রোগী জটিলেশ্বর বাবুর পা মচকানোর মতো।
লেখক : উন্নয়ন অর্থনীতির বিশ্লেষক

 

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
আর কোনো শহীদের লাশ উত্তোলন করতে দেয়া হবে না : সারজিস আলম রোববার থেকে ঢাকা-গাজীপুর রুটে চলবে বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ বিজয় দিবসে জেলা-উপজেলায় বিজয়মেলা হবে শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে অর্ধকোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে : ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ বিজয় দিবসে ঢাকা মহানগর ছাড়া সারাদেশে বিএনপির র‌্যালি ‘বন্দীদের তালিকা দিতে অস্বীকৃতি হামাসের’ ঢাকায় ৬ দিনব্যাপী নগর কৃষি মেলা শুরু জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সাবেক ফুটবলার মিখেইল কাভেলাশভিলি

সকল