কোরবানির আসল শিক্ষা
- ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
- ০৩ জুন ২০২৩, ০০:০০
কোরবানি ঈদুল আজহার সময়ে পালিত অন্যতম একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত। ইবাদতের মৌলিক কিছু শর্ত পূরণ না করলে তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে না। যেমন- ইবাদতের উদ্দেশ্য হতে হবে কেবল আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা, জ্ঞানের ভিত্তিতে ইবাদত পালন করা, যথাসময়ে এবং যথানিয়মে ইবাদত করা, ইবাদতের শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে কাজে লাগানো ইত্যাদি।
ঈদুল আজহার পশু কোরবানি একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত, কারণ এটি সব মুসলমানই একসাথে একই দিনে একই নিয়মে পালন করে থাকে।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দু’টি উৎসবের মধ্যে ঈদুল আজহা দ্বিতীয়। ঈদুল আজহা মূলত আরবি শব্দ যার অর্থ- ‘ত্যাগের উৎসব’। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য হলো- ত্যাগের মহিমায় নিজকে প্রতিষ্ঠিত করে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন। ঈদুল আজহায় আল্লাহর রাহে ত্যাগ ও কোরবানির চেতনা ভাস্বর হয়ে ওঠে। পশু জবাই করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রচেষ্টা মানব ইতিহাসের জন্মলগ্ন থেকেই চলে আসছে।
কোরবানি শব্দটি হিব্রু ভাষা ‘কোরবান’ শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ- কারো নিকটবর্তী হওয়া।
ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায়, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ দুপুর পর্যন্ত মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত পশু জবাই করাকে কোরবানি বলা হয়।
ইসলামে ইবাদতকে দুই ধরনের অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট করে আল্লাহ মানুষকে করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ করে আনুষ্ঠানিক ইবাদতের ক্ষেত্রে এ কথা খুব প্রযোজ্য।
দুই ঈদেই দু’টি করে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত আমল লক্ষণীয় : যেমন ঈদুল ফিতরে প্রথমে ফিতরা আদায় করা যা হক্কুল ইবাদের সাথে সম্পর্কিত, তারপর ঈদের জামাতে নামাজ পড়া যা হক্কুল্লøাহর সাথে সম্পর্কিত। তেমনিভাবে ঈদুল আজহায় প্রথমে ঈদের জামাত আদায় করা এবং তারপরই পশু কোরবানির কাজটি সম্পন্ন করা যা হক্কুল ইবাদের সাথে সম্পর্কিত।
ঈদ মানে পুনরাবৃত্ত আনন্দ উৎসব। এই ঈদে পশু কোরবানি দেয়া সামর্থ্যবানদের জন্য ওয়াজিব।
কোরবানির ঐতিহাসিক সূচনা
বিশ্বজগতে ইসলাম দু’ভাবে বিদ্যমান। একটি হলো সৃষ্টিগত ইসলাম বা তাকভিনি ইসলাম যার সূচনা মানুষ ও জিন সৃষ্টি করারও অনেক আগে বিগ ব্যাংয়ের মাধ্যমে সৃষ্টির সূচনা থেকে, অপরটি হলো তাশরিয়ি ইসলাম বা শরিয়তগত ইসলাম যার সূচনা হজরত আদম আ: ও বিবি হাওয়ার মাধমে মানব জাতির সূচনার মধ্য দিয়ে।
হজরত আদম আ:-এর দুই সন্তান হাবিল ও কাবিলের ঘটনা আমরা জানি। কাবিল পোকায় কাটা শস্য আল্লাহর প্রতি কোরবানির জন্য পেশ করেন। আর পশুপালনকারী হাবিল উত্তম নিয়তে সেরা একটি দুম্বা কোরবানির উদ্দেশ্যে পেশ করেন। এই হাবিলই প্রথম মানুষ যিনি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য পশু কোরবানির রেওয়াজ চালু করেন।
আল্লাহ বলেন- ‘আর তুমি তাদের কাছে আদমের দুই পুত্রের সংবাদ যথাযথভাবে বর্ণনা করো, যখন তারা উভয়ে কোরবানি পেশ করল। অতঃপর তাদের একজনের কোরবানি গ্রহণ করা হলো, আর অপরজন থেকে গ্রহণ করা হলো না। সে বলল, অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করব। অন্যজন বলল, আল্লাহ কেবল মুত্তাকিদের থেকে গ্রহণ করেন।’ (সূরা মায়িদাহ-২৭)
হজরত আদম আ: থেকে ইবরাহিম আ: পর্যন্ত কোনো না কোনোভাবে কোরবানির আনুষ্ঠানিক বিধান জারি ছিল। সূরা হাজের ৩৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা এ সম্পর্কে বলেন- ‘প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কোরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।’
আধুনিক কোরবানির সূচনা
বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী, মহান আল্লাহ তায়ালা ইসলামের রাসূল হজরত ইবরাহিম আ:-কে স্বপ্নযোগে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কোরবানি করার নির্দেশ দেন- ‘তুমি তোমার প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে কোরবানি করো।’
ইবরাহিম স্বপ্নে আদেশ পেয়ে ১০টি উট কোরবানি করলেন। পুনরায় তিনি আবারো একই স্বপ্ন দেখলেন। এরপর ইবরাহিম এবার ১০০টি উট কোরবানি করেন। তিনি একই স্বপ্ন দেখে ভাবলেন, তাঁর কাছে তো সে মুহূর্তে প্রিয় পুত্র ইসমাইল আ: ছাড়া আর কোনো প্রিয় বস্তু নেই। তখন তিনি পুত্রকে কোরবানির উদ্দেশ্যে প্রস্তুতিসহ আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে যাত্রা করেন। এ সময় শয়তান আল্লাহর আদেশ পালন করা থেকে বিরত করার জন্য ইবরাহিম ও তার পরিবারকে প্রলুব্ধ করেছিল এবং ইবরাহিম শয়তানকে পাথর ছুড়ে মেরেছিলেন। শয়তানকে তার প্রত্যাখ্যানের কথা স্মরণে হজের সময় শয়তানের অবস্থানের চিহ্ন স্বরূপ নির্মিত তিনটি স্তম্ভে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করা হয়।
যখন ইবরাহিম আ: আরাফাত পর্বতের উপর তার পুত্রকে কোরবানি দেয়ার জন্য গলদেশে ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখেন যে, তার পুত্রের পরিবর্তে একটি প্রাণী কোরবানি হয়েছে এবং তার পুত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। ইবরাহিম আ: আল্লাহর আদেশ পালন করার কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এতে সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ ইবরাহিম আ:-কে তার খলিল (বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করেন।
ঈদুল আজহার গুরুত্ব
ঈদুল আজহার গুরুত্ব মূলত কোরবানিকে ঘিরে। কোরবানির গুরুত্ব ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয়ভাবেই গুরুত্ব বহন করে। পবিত্র কুরআন-হাদিসে পশু কোরবানির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। কোরবানির পশুগুলো মানুষের জন্য নিদর্শন ও কল্যাণ। মহান আল্লাহ বলেন- ‘আর কোরবানির পশুগুলোকে আমরা তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছি। এর মধ্যে তোমাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে।’ (সূরা হজ-৩৬)
কোরবানি মুসলিম মিল্লাতের পিতা হজরত ইবরাহিম আ:-এর সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের প্রমাণ এবং স্মৃতিস্মারক। আল্লাহ তায়ালা হজরত ইবরাহিম আ: ও হজরত ইসমাইল আ:-এর ত্যাগের ইতিহাস চিরঞ্জীব করে রাখার জন্য সর্বকালের সব সচ্ছল মানুষের জন্য কোরবানি বাধ্যতামূলক করেছেন।
সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানি না করা শক্ত গুনাহ। রাসূল সা: বলেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়।’
হাদিস শরিফে হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম রা: থেকে বর্ণিত আছে- তিনি বলেছেন, একবার রাসূল সা:-এর সাহাবিরা আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ কোরবানি কি জিনিস? জবাবে তিনি বললেন, ‘এটি তোমাদের পিতা হজরত ইবরাহিম আ:-এর সুন্নত।’ (ইবনে মাজাহ ও আহমদ)
কোরবানির শিক্ষা
ঈদের শিক্ষা হলো সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও একাত্মবোধের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ এবং পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার সম্প্রসারণ। সমাজের গরিব অভাবী মানুষও যাতে এই মহানন্দে শামিল হতে পারে, সে জন্য ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছে। ধনী-গরিবের একাকার হয়ে যাওয়ার এই ব্যবস্থা সত্যিই বিরল। কোরবানির গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণ। আল্লাহর সব আদেশের সামনে বিনা প্রশ্নে মাথা নত করে দেয়াই হলো পূর্ণ আত্মসমর্পণের সমুজ্জ্বল বহিঃপ্রকাশ।
কোরবানির অন্যতম আরেকটি শিক্ষা হলো- ইসলামের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করে সেই অনুপাতে শিক্ষা নেয়া। লক্ষ করলেই দেখা যাচ্ছে, পুরো হজই যেন হজরত আদম আ: থেকে শুরু করে রাসূল সা: পর্যন্ত নবী-রাসূলদের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থাপনাকে কেন্দ্র করে। যেমন- হজরত আদম আ: এবং বিবি হাওয়ার সাক্ষাৎ ঘটেছিল আরাফাত ময়দানে। সে স্মৃতিকে ধারণ করে নিয়ম হয়েছে যে, হজ ফরজ হওয়ার জন্য প্রত্যেক হাজীকে আরাফাত ময়দানে হাজির হতেই হবে যেখানে একই দিনে বিশ্বমুসলিম সমবেত হয়।
কোরবানি মুসলমানদের শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়; বরং পরিশুদ্ধ জীবন গঠনের নিয়মতান্ত্রিক অনুশীলন। কোরবানির মূল শিক্ষা হলো নিজের মধ্যে তাকওয়ার গুণ অর্জন করা। মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালার কাছে কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত পৌঁছায় না। তার কাছে তোমাদের তাকওয়া পৌঁছায়।’ (সূরা হজ, আয়াত-৩৭)
দরিদ্র ও অনাথের সুখে-দুঃখে অংশীদার :
ইসলাম সমাজবদ্ধভাবে বসবাসের কথা বলে। সামাজিক মূল্যবোধ ও মানবিকতাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে। তাই প্রতিটি আনুষ্ঠানিক ইবাদতের দু’টি পার্থিব লক্ষ্য থাকে। তার একটি হলো ইবাদতগুলো সংঘবদ্ধভাবে যথাসম্ভব একত্র হয়ে করা। যেমন- হজ-ওমরাহ করা, জামাতে নামাজ আদায় করা, সপ্তাহে এক দিনে জুমাবারে সবাইকে একত্র করে সমাজ ও রাষ্ট্রের সমসাময়িক দিক সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা, বিয়েশাদি, আকিকা করা, কোনো মৃত্যুর পর একত্রে জানাজার নামাজ আদায় করে কবরস্থ করা ইত্যাদি। আরেকটি হলো- সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য অর্থসম্পদ ব্যয় করা। ইসলাম যে কতটা মানবিক এবং বাস্তবিক তা একটু চিন্তা করলেই বের হয়ে আসবে। ইসলাম গরিব-ধনীর ব্যবধান দূর করার জন্য জাকাত-ওশোর ফরজ করেছে। সর্বক্ষেত্রে দান করা উৎসাহিত করা হয়েছে এবং এর বিনিময়ে পরকালে অনেকগুণ বেশি প্রতিদানের ঘোষণা রয়েছে।
কোরবানির অন্যতম শিক্ষা দরিদ্র ও অনাথের সুখ-দুঃখে ভাগীদার হওয়া। ঈদুল আজহার নামাজে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের সহাবস্থানের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও দরিদ্র-ইয়াতিমের মধ্যে কোরবানির গোশত বণ্টন আমাদের এই শিক্ষাই দেয়, আমাদের সম্পদে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের অধিকার রয়েছে।
কেউ কোনো কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছায় রমজানের ফরজ রোজা রাখতে অপারগ হলে তারও কাফফারার বিধানে গরিব-দুঃখীদের আর্থিক অনুদানের কথা বলা আছে। বিপদে পড়লে তা থেকে উদ্ধারের জন্য, মৃত পিতা-মাতার মাগফিরাতের জন্য, রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পাওয়ার নিমিত্তে দান-খয়রাতকে উৎসাহিত করা হয়েছে। আকিকার গোশতও আত্মীয়স্বজনসহ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এভাবে জীবনের প্রতিটি ধাপে কোনো না কোনোভাবে গরিব-দুঃখীদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
কোরবানির অন্যতম শিক্ষা দরিদ্র ও অনাথের সুখ-দুঃখে ভাগীদার হওয়া। ঈদুল আজহার নামাজে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের সহাবস্থানের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও দরিদ্র-ইয়াতিমের মধ্যে কোরবানির গোশত বণ্টন আমাদের এই শিক্ষাই দেয়, আমাদের সম্পদে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের অধিকার রয়েছে।
কোরবানির মাধ্যমে তা যেন সারা বছর চালু থাকে- সে ব্যবস্থা ইসলামে বিধিবদ্ধ আছে।
জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ বা ইসলামী আন্দোলনের যে গুরুত্বপূর্ণ খরচের জন্য আল্লাহ পবিত্র কুরআনের জায়গায় জায়গায় বলেছে তাও কিন্তু এক হিসেবে ওই সুবিধাবঞ্চিতদের আরো অধিক সুবিধা দেয়ার নিমিত্তেই। কারণ ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র হলে সমাজের দুর্বলরা হবে সবল সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আর সবলরা হবে দুর্বল যার কারণে তারা গরিবের হক মেরে খেতে পারবে না।
আল্লাহর নিয়ামতের ক্ষুদ্র পরীক্ষা হলো কোরবানি :
ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি আল্লাহর জন্য আত্মত্যাগের একটি প্রতীকীরূপ মাত্র। কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে তার প্রিয় বান্দার গোলামির নিদর্শন প্রকাশ পায় এবং তার ভালোবাসা ও ত্যাগের মহিমা বর্ণিত হয়। সুতরাং আল্লাহর দেয়া নিয়ামত আল্লাহকে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমরা কতটা প্রস্তুত, তারই একটি ক্ষুদ্র পরীক্ষা হলো কোরবানি।
পশু কোরবানির মাধ্যমে নিজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা পশুত্বকে হত্যা করতে হয়। ঈদুল আজহা কেবল পশু কোরবানি করা এবং আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে আনন্দ প্রমোদকে বোঝায় না; বরং ঈদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- আত্মোৎসর্গ করা। নিজের ভেতরে পশুত্বের মূলোৎপাটন এবং এর মাধ্যমে একমাত্র রবের সন্তুষ্টিই কোরবানির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
কোরবানির চামড়া যা মূলত দানই করতে হয়, তার কারণে বাংলাদেশের চামড়াশিল্প কতটা উচ্চতায় আছে। কোটি কোটি চামড়া থেকে বিক্রিলব্ধ প্রাপ্ত শত শত কোটি টাকা আসে শুধু কোরবানির চামড়া থেকে যার পুরোটাই গরিব মানুষ পায়। ওদিকে সৌদি আরবে প্রতিবারের হজে যে গোশত ও চামড়া আসে তাও মুসলিম বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জনগণ কমবেশি পেয়ে থাকে। দেশের অর্থনীতির সাথেও কোরবানির এক নিবিড় সম্পর্ক আছে। পশু কোরবানির চামড়া দিয়ে বাংলাদেশে এক বিশাল চামড়াশিল্প গড়ে উঠেছে।
লেখক : কলামিস্ট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা