২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
একটি পর্যালোচনা

ইসলামী ব্যাংকিং কেন স্বতন্ত্র ও কল্যাণকর

-

শরিয়াহ-ভিত্তিক সেবামুখী ও অন্তর্র্ভুক্তিমূলক কল্যাণ ধারার ব্যাংকিং সেবার পরিধি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে দেশের অর্থনীতি ও উদ্যোক্তা সমাজকে জড়িয়ে রেখেছে দেশের প্রথম ইসলামী ব্যাংক এবং বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এখন বাংলাদেশে যে ৩৪টি সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক সম্পূর্ণ কিংবা আংশিকভাবে ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালনা করছে, এই ধারার প্রবর্তক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এর হাত ধরেই এগিয়েছে দেশের ইসলামী ব্যাংকিং ধারা। দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং ধারার পাশাপাশি শরিয়াহসম্মত সুদমুক্ত এই কল্যাণ ধারার ব্যাংক ব্যবস্থার এই যে সর্বব্যাপী প্রসার বা বিস্তার, এ থেকেই ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ের প্রতি এ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও অনুরাগ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় । দেশে সেবাদানরত ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকের এক হাজার ৬০৫টি শাখা, ১১টি প্রচলিত (Conventional) ধারার বাণিজিক ব্যাংকের ২৩টি স্বতন্ত্র ইসলামী ব্যাংকিং শাখার ৫১১টি Islamic Banking Window সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংকিং সেবা দিয়ে চলেছেন প্রায় ৫০ হাজার ব্যাংককর্মী।
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি ব্যাংক সাম্প্রতিককালে দেউলিয়া ঘোষণা বা জগতজুড়ে প্রচলিত সুদি ব্যাংকের অকার্যকারিতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার উত্থানপর্ব জগতের অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের কৌতূহল এবং অভিনন্দনের এক বিস্ময়কর অভিমুখ তৈরি করেছে। বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ধারার অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বিগত কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর সেরা এক হাজার ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের নাম ২০১২ সাল থেকে স্বীকৃত হয়ে চলেছে। এই মূল্যায়নের প্রতিভূ প্রতিষ্ঠান হলো The Banker পত্রিকা। এটি একটি আন্তর্জাতিক প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যায়ন, যাদের মূল্যায়নের ভিত্তি হলো তথ্য-উপাত্ত, যেখানে প্রচলিত ব্যাংকিং ধারার প্রতি তাদের স্পর্শকাতরতাকে খণ্ডন করেছে তথ্য ও গণিতের হিসাব। তা না হলে বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়াহ-ভিত্তিক স্বতন্ত্র ব্যাংক ব্যবস্থার প্রতি তাদের অনুরাগের কোনো প্রশ্নই উঠত না। হিসাবের অঙ্কই যেখানে একমাত্র বিবেচনা, সেখানে অনুরাগ বা আসক্তির কোনো প্রকার প্রাসঙ্গিকতা থাকার কথা নয়।
‘দ্য ব্যাংকার’ পত্রিকার বার্ষিক রেটিংয়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ বিশে^র এক হাজার সেরা ব্যাংকের তালিকায় এবারো উঠে এসেছে এবং তার চেয়ে বড় কথা হলো ২০১৯ সালে বিশে^র এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় ৯ হাজার ৪৩তম পর্যায়ে থেকে ইসলামী ব্যাংকের অবস্থান ২০২০ সাল নাগাদ ৩৯ ধাপ এগিয়ে এখন ৯০৪তম পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। ‘দ্য ব্যাংকার’ পত্রিকার বিশে^র এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় ২০১২ সালে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকের নাম ঘোষণা করা হয়। সাম্প্রতিককালে, আলহামদুলিল্লাহ, এই ব্যাংকের আমানত আরো বেড়ে ১০ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে এবং আমানত বৃদ্ধির পাশাপাশি রেমিট্যান্স আয়ও তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে (চার হাজার ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার ৩২ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংক দেশজুড়ে তার এক কোটি ৫০ লাখ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে ৩৫৭টি শাখা, ৬০টি উপশাখা, এক হাজার ২০০ এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট, ৬৬০টি নিজস্ব ও ১১ হাজার শেয়ার্ড এটিএম এবং সিআরএম বুথের এক বিশাল আর্থিক কাঠামো ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে।

ইসলামী ব্যাংকিং কেন?
ইসলাম মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের সামগ্রিক কল্যাণ অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছে। পবিত্র কুরআনে সুদকে সুস্পষ্ট ভাষায় হারাম করা হয়েছে। ইসলাম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মেও সুদের নিন্দা করা হয়েছে। বিখ্যাত মুসলিম মনীষী ও অর্থনীতিবিদদের দীর্ঘ গবেষণার মধ্য দিয়ে ইসলামী ব্যাংকব্যবস্থা বাস্তবে অস্তিত্ব লাভ করে। মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে এ ব্যাংকব্যবস্থা বিশ্বঅর্থনীতি ও ব্যাংকিং অঙ্গনে গৌরবময় অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এ ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ১৯৫৬ সালে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক রিসার্চ অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শাইখ আবু জাহরাসহ ৩৫টি মুসলিম দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম, ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষকগণ অংশ নেন। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে প্রচলিত ব্যাংকিং সুদকে হারাম বলে উল্লেøখ করা হয় এবং শরিয়াহ অনুমোদিত পন্থায় ব্যাংকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পরবর্তীতে মক্কায় রাবেতা আল আলম-আল ইসলামীর ফিকহ অ্যাকাডেমির উদ্যোগে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম সম্মেলনের সিদ্ধান্তের সাথে ঐকমত্য পোষণ করা হয়।
এরপর ওআইসি ফিকহ অ্যাকাডেমির উদ্যোগে তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম ও মক্কায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সম্মেলনের সিদ্ধান্তকে সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন করা হয়। ১৯৭৬ সালে মক্কায় অনুষ্ঠিত হয় ইসলামী অর্থনীতিবিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ওই সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের ৩০০ আলেমসহ আধুনিক অর্থনীতিবিদ, ইসলামী চিন্তাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে ব্যাংকিং সুদকে হারাম বলে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আন্দোলন গতিশীল হয়ে ওঠে স্বাধীনতা উত্তরকালে। ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয় ওআইসি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যোগ দেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় মুসলিম দেশগুলোর আন্তর্জাতিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার। ১৯৭৪ সালের আগস্ট মাসে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওআইসি দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ আইডিবি সনদ স্বাক্ষর করেন এবং নিজ দেশে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে অর্থনীতি ও ব্যাংকিং কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ১৯৮০ সালে ঢাকায় ইসলামী ব্যাংকিংয়ের ওপর অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর বাংলাদেশে একটি ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ১৯৮১ সালের এপ্রিল মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে লেখা এক চিঠিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সব শাখায় পরীক্ষামূলকভাবে পৃথক ইসলামী ব্যাংকিং কাউন্টার চালু করে এবং এ জন্য পৃথক লেজার রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি-বেসরকারি নানা চেষ্টা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বলিষ্ঠ ভূমিকায় ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৮৩ সালের ১২ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিশ্ব পরিসরেও ইসলামী ব্যাংকিংয়ের ধারণা ও কার্যক্রম এক অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। শুধু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, ডেনমার্ক, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও ভারতসহ বিশ্বে কয়েক শ’ ইসলামী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান শরিয়াহসম্মত পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ইসলামী ব্যাংকগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বিশ্বব্যাপী ইসলামিক ফাইন্যান্সের মোট সম্পদের পরিমাণ চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, যা আগামী ২০২৬ সাল নাগাদ প্রায় ছয় ট্রিলিয়নে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংকিং ও প্রচলিত সুদি ব্যাংকিং : মৌলিক পার্থক্য
ইসলামী ব্যাংক শরিয়াহ নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। কাজেই ইসলামী ব্যাংকিং করলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আল-কুরআন ও সুন্নাহর বিধান পরিপালনের সুযোগ পাওয়া যায়। শরিয়াহ এসেছে মানুষের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ সাধনের জন্য। সুতরাং যেসব বিষয় সুবিচার থেকে অবিচার, কোমলতা থেকে কঠোরতা, কল্যাণ থেকে অকল্যাণ ও প্রজ্ঞা থেকে নির্বুদ্ধিতার দিকে নিয়ে যায়, তার সাথে শরিয়াহর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই ইসলামী ব্যাংকিংয়ে শরিয়াহ পরিপালনের মাধ্যমে একটি কল্যাণধর্মী ব্যাংকব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের বৈশিষ্ট্য হলো : সুদের বিলুপ্তি, মানবিক ও পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং, ইসলামী অর্থনীতির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা, হালাল জীবিকা অর্জন, আর্থিক ইবাদত, জাকাত ‘ইনস্টিটিউশনের’ প্রসার ও সর্বজনীন ব্যাংকিং।
ইসলামী ব্যাংকিং হলো ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়াহর নীতিমালা অনুসরণের একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা পরিচালিত হয় ইসলামী শরিয়াহর বিধিমোতাবেক। কিন্তু প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থায় সেসব মেনে চলতে হয় না। প্রচলিত ব্যাংক ব্যবস্থা সুদভিত্তিক কিন্তু ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা সুদমুক্ত। ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থায় অর্থকে পণ্য বিবেচনা না করে বিনিময়ের মাধ্যম (medium of exchange) বিবেচনা করা হয়। ইসলামী ব্যাংক প্রকৃত সম্পদ কিংবা সেবা (real asset or service) ভিত্তিক কেনাবেচা, ভাড়া, অংশীদারি ইত্যাদি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। ইসলামী ব্যাংক মানুষের প্রয়োজন (need) পূরণকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে; মানুষের অর্থলিপ্সা (greed) পূরণকে বিবেচনায় নেয় না। ইসলামী ব্যাংকগুলো সমাজের সামগ্রিক মৌলিক চাহিদার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তার জমা সংগ্রহ ও বিনিয়োগ খাতের অগ্রাধিকার নিরূপণ করে থাকে।
লেখক : প্রবীণ সাংবাদিক, অর্থনৈতিক ভাষ্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা hasnatkarimpintu@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না জুনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে : প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন সাকিবের প্রশংসায় পোথাস আদমদীঘিতে ২৩০ চালকল বন্ধ : বেকার ৭ হাজার শ্রমিক সাকিবে উজ্জীবিত বাংলাদেশের লক্ষ্য সিরিজে সমতা কুলাউড়ায় জঙ্গল থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার ঈদগাঁওতে মাদককারবারি গ্রেফতার শিক্ষায় ব্যাঘাত : ফেসবুক-টিকটক-ইনস্টাগ্রাম-স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে ২৯০ কোটি ডলারের মামলা আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সকল