২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ঈশান কোণে অশনি সঙ্কেত

সমকালীন প্রসঙ্গ
-


নিজের জীবনের কাহিনী দিয়েই শুরু করি। আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে যখন অনিবার্য বিপদ-বিপত্তি চারদিক থেকে ধেয়ে এসেছিল। একইভাবে সফলতার বহু সুসংবাদও একই সঙ্গে এসেছিল। পরিণত বয়সে এসে যদি ওসব ঘটনার কথা মনে করি তবে কোনো কিছুরই হিসাব মেলাতে পারি না। সফলতা ও ব্যর্থতার জন্য আমার ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড-পরিশ্রম-অলসতা-বিবেক-বুদ্ধি তালাবদ্ধ করে আবেগতাড়িত হওয়া অথবা গোয়ারতুমি করার কথা যেমন মনে আসে তদ্রুপ এমন অনেক ঘটনা জীবনে ঘটেছে যার কোনো কার্যকারণ খুঁজে পাই না। আমার ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে যদি জাতীয় জীবনের তুলনা করি তবে মনে হয়- আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটছে তার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে আমরা নিজেরা যেমন দায়ী- তেমনি এমন অনেক দুর্ভোগ দুর্দশা রয়েছে যার জন্য হয়তো নিয়তিকে দায়ী করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।

আজ যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো জাতীয় জীবনের চারদিক থেকে যে অশনি সঙ্কেতগুলো ধেয়ে আসছে তার চূড়ান্ত পরিণতি কী। অথবা হাল আমলের বিপদ-বিপত্তির নেপথ্যের কারণগুলো কী। আওয়ামী লীগের অব্যাহত ও উপর্যুপরি শাসনের যাঁতাকল, হিমালয়সম আর্থিক কেলেঙ্কারি রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর সংস্থাগুলোর বেহাল দশা, শিক্ষাব্যবস্থার মারাত্মক অবনতি, বিপথগামী যুব সমাজ, নেশা-জুয়া-চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানির সব রেকর্ডসহ হাজারো অশনি সঙ্কেত কিভাবে আমাদের দেশ-কাল-সমাজ-সংসার, রাষ্ট্রকে গ্রাস করে ফেলেছে তা সবিস্তারে লেখার ধৈর্য যেমন আমার নেই তদ্রুপ পাঠকরা সেসব বিষয় কিভাবে গ্রহণ করবেন তা নিয়েও আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এ জন্য নিজের জীবনের ছোট ছোট ঘটনা গল্পাকারে সুখপাঠ্য করে যদি বর্ণনা করতে পারি সে জন্য আজকের নিবন্ধে আমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।


আলোচনার শুরুতেই আওয়ামী লীগে আমার ভাগ্য বিপর্যয় কিভাবে হলো এবং কিভাবে বিএনপিতে অভিসিক্ত হলাম সেই ঘটনা বর্ণনা করছি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর আমার কাছে দুটো অপশন ছিল। প্রথমত, অন্য সবার মতো হওয়া এবং নির্বাচনী এলাকা দলীয় স্বার্থ এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের সমন্বয় করে চলা। দ্বিতীয়ত, কারো কারো মতো উচ্চাভিলাষী হওয়া। মন্ত্রিত্ব, ব্যবসা-বাণিজ্য বাগানো, ভোগ বিলাসে মত্ত হওয়া দেশ-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা। দুটো কাজ করার মতো সহজাত বুদ্ধি আমার ছিল। কিন্তু আমি সেই বুদ্ধি না খাটিয়ে কেন দলের সমালোচনা- দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম এবং মিডিয়াতে সরব হতে গেলাম তার কার্যকারণ আজও মেলাতে পারি না। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো উল্লিখিত কর্মের জন্য আমার কোনো আফসোস হয় না কিংবা আত্মতৃপ্তিও অনুভূত হয় না।


আওয়ামী লীগে অবস্থান আমার কাছে একটা সময় অসহনীয় বিরক্তিকর এবং ক্ষেত্রবিশেষে অসম্মান ও অমর্যাদার বিষয় বলে মনে হতে লাগল। কিন্তু দল ত্যাগ করা এবং অন্য দলে অংশগ্রহণের কথা আমি ভাবিনি। তাহলে হঠাৎ করে কিভাবে বিএনপিতে যোগ দিলাম এবং সেই দলের টিকিট নিয়ে কেন নির্বাচনে অংশ নিলাম এই হিসাব আমি কোনো দিনই মেলাতে পারব না। আমার জীবনের এই দুটো ঘটনার সঙ্গে যদি শেখ হাসিনার দুটো কর্মের তুলনা করি তবে কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারি না। সংবিধানের তেরোতম সংশোধন এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সুবিধাভোগী হিসাবে শেখ হাসিনা যেসব কথা বলেন, তার কোনোটির সঙ্গেই তার অন্তঃমিল নেই। তার রাজনৈতিক ইতিহাস-কর্মকাণ্ড, শিক্ষা-দীক্ষা, বিশ্বাস এবং আশা-আকাক্সক্ষার সাথে ভুয়া ভোট, রাতের ভোট এবং লোক ঠকানোর প্রবৃত্তি মানায় না। ১৯৮১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনীতির মাধ্যমে তিনি যে ইমেজ তৈরি করেছিলেন সেটির সাথে তার হাল আমলের কর্মকাণ্ডের তুলনা করে কেউ যদি প্রশ্ন করেন, শেখ হাসিনা কেন এসব করছেন তবে সদুত্তর দেয়ার মতো লোক একজনও পাওয়া যাবে না।
আমার ব্যক্তিগত জীবনে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ অথবা টকশোর বক্তা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নিতান্তই একটি দুর্ঘটনা মাত্র। আমি কোনো দিন লেখক কিংবা বক্তা হতে চাইনি। অথবা ধনী হবার বাসনা আমার কোনো কালে ছিল না- এখনো নেই। অথচ ধন উপার্জন-লেখালেখি-বক্তব্য প্রদানের মতো অপছন্দীয় কাজে আমি কেন জীবনের বেশির ভাগ মূল্যবান সময় নষ্ট করলাম তা ভেবে পাই না। আমি স্বভাবজাত লাজুক-অসামাজিক এবং বোহেমিয়ান চরিত্রের। বাস্তব বাদ দিয়ে কল্পনার ফানুস উড়াতে আমার ভীষণ পছন্দ। ফলে শিশুকালে কবি জসীম উদ্দীনের মধুবালা নাটক রেডিওতে শোনার পর আমারও ইচ্ছে হতো মদন কুমারের মতো অলৌকিকভাবে বিয়েশাদি করা অথবা পরীস্তান কিংবা জিনদের রাজ্যে চলে যাওয়া। এই কারণে জিন পরীদের খোঁজে স্কুল ফাঁকি দিয়ে বন বাদাড় ঝিল-বিলে ঘুরে বহু সময় নষ্ট করার হিসাব আজও মেলাতে পারি না।


আমাদের জাতীয় জীবনে গত এক যুগে এমন কিছু ঘটেছে যা আমরা কেউই কল্পনা করি না। বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়াকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ লন্ডন-আমেরিকা হয়ে গিয়েছে, এমন কথা দেশের কোনো বদ্ধ উন্মাদও শুনতে চায়নি। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ আশা করেনি যে আমাদের দেশটি এত দ্রুত সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়াকে অতিক্রম করুক। অন্য দিকে, দেশের জ্ঞানী, গুণী, বুদ্ধিজীবীরা সর্বদা ভেবেছেন কেন এসব প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। কারণ একজন লি কুয়ান ছাড়া আধুনিক সিঙ্গাপুর অসম্ভব। ডা: মাহাথির ছাড়া দরিদ্র মালয়েশিয়া কোনো দিন উন্নয়নের রোলমডেল হতো না। একইভাবে বাবর ছাড়া মোঘল সাম্রাজ্য যেমন কল্পনা করা যায় না তদ্রুপ জুলিয়াস সিজার ছাড়া রোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাসই সৃষ্টি হতো না। সুতরাং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বমানের দুনিয়া কাঁপানো সেরূপ নেতা দরকার। সেটা না পাওয়া পর্যন্ত উন্নয়নের গালগল্পের পরিণতি কী হতে পারে তার একটি উদাহরণ না দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে না।
আমি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি তখন হঠাৎ করে আমার আত্মবিশ্বাস খুব বেড়ে গেল। আমরা ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার বাসিন্দা ছিলাম। আব্বা আমাদেরকে নিয়ে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার উলানিয়া বন্দরে বসতি গড়লেন। এলাকাটি সব দিক থেকে ফরিদপুর অপেক্ষা অনগ্রসর ছিল। ফলে আমার সহপাঠীসহ স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষকমণ্ডলী ভাবলেন আমি হয়তো তাদের চেয়ে সর্ব বিষয়ে অধিকতর স্মার্ট। তারা সবাই আমাকে অযাচিত পাত্তা দিতে থাকলেন আর আমি গর্বে ফুলে ফেঁপে বেলুনের আকার ধারণ করে হাওয়ায় উড়তে থাকলাম। এরই মধ্যে আমাদের বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের সময় চলে এলো। সবাই যার যার দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নাম লেখাল। আমার যেহেতু কোনো বিষয়ে দক্ষতা ছিল না এবং ছাত্রজীবনে যেহেতু কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করিনি সেহেতু কোনো প্রতিযোগিতায় নাম লিখালাম না।


আমার সম্পর্কে অতি উঁচু ধারণাকারী শিক্ষকরা আমাকে জোরাজুরি করতে লাগলেন কোনো একটি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করানোর জন্য। আমি অনেক ভেবে-চিন্তে জারিগানের প্রতিযোগী হিসেবে নাম লিখলাম। ফরিদপুরে জারিগান অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমি অনেক গান শুনেছি- কিন্তু কোনো গানের একটি লাইনও মনে ছিল না। তবে টেপ রেকর্ডারে একবার আব্দুর রহমান বয়াতির একটি জারিগান শুনেছিলাম যার প্রথম কয়েকটি লাইন ছিল- ‘ফাতেমার ছলনা- আলীর প্রাণে সহে না- একদিন ঝগড়া করল তারা দুই জনা- মা ফাতেমা আলীর খেদমত জানতেন না।’ ব্যস, এইটুকুর ওপর ভিত্তি করে আমি জারিগানে নাম লিখালাম এবং কয়েক দিন পর ভুলে গেলাম যে, আমি একজন প্রতিযোগী।
স্কুলের স্পোর্টস ডে বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিন চলে এলো। সারা দিন খেলাধুলা দৌড়-বর্শা নিক্ষেপ ইত্যাদি প্রতিযোগিতা বিকালে সামান্য বিরতি এবং রাতে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ। আমি সারা দিন খুব ব্যস্ত সময় কাটালাম প্রতিযোগিতা দেখে এবং বাদাম-চানাচুর-আইসক্রিম খেয়ে। ব্যস্ততার কারণে আমার মনে একটিবারের জন্যও উদয় হলো না যে, জারিগানের প্রতিযোগিতায় আমি নাম লিখিয়েছিলাম। যা হোক, রাতে যখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতা শুরু হলো তখন একজন সিরিয়াস দর্শক হিসেবে সম্মুখ সারিতে বসে আমি প্রতিযোগীদের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা শুরু করলাম। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে জারিগানের পর্ব। প্রথম প্রতিযোগী বিউটি রানী দাস। অসাধারণ পারফরমেন্স করল। আমি মুগ্ধ হয়ে দ্বিতীয় প্রতিযোগীর মঞ্চে আগমনের অপেক্ষা করলাম। এমন সময় ঘোষণা এলো এবারের প্রতিযোগী গোলাম মাওলা রনি।


উল্লিখিত ঘোষণা শোনার পর আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লাম। মনে হলো আমার মাথার ওপর বজ্রপাত হয়েছে। সুতরাং পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য কোনো কিছু না ভেবেই দিলাম ভোঁ দৌড়। আমার সেই দৌড়ের দৃশ্য উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের এত আনন্দ দিলো যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমার শিক্ষকরা দর্শকদেরকে অধিকতর আনন্দ দেয়ার জন্য হুকুম দিলেন, ওরে ধইরা আন। মুহূর্তের মধ্যে শ’খানেক ছাত্রের দঙ্গল আমার পেছনে ছুটল এবং আমাকে ধরে এনে মঞ্চের মাঝখানে দাঁড় করাল। আমি ততক্ষণে মঞ্চে ছিলাম এবং কি করেছি- কি বলেছি তা আজ আমার মনে নেই। তবে উপস্থিত সব বয়সের দর্শকরা যেভাবে সে রাতে প্রাণ খুলে হেসেছিল অমন দৃশ্য আমি জীবনে দেখিনি।
আমার উল্লিখিত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে নিশ্চয়ই আপনারা এতক্ষণে আমার যোগ্যতা অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারেন। তো আমার মতো নির্বোধ যদি বরিশাল বিভাগের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য হতে পারে কিংবা মাত্র ত্রিশ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে নিম্ন মধ্যবিত্তের বলয় থেকে বেরিয়ে উচ্চবিত্তের কাতারে শামিল হতে পারে তবে আমার চেয়ে বুদ্ধিশুদ্ধি বেশি থাকা লোকজনের পক্ষে কী কী করা সম্ভব তার বাস্তব নমুনা সংসদের তিনশ’ জন সংসদ সদস্য পদধারী বা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের আমলনামা যাচাই বাছাই করলেই বুঝতে পারবেন।


আমাদের কর্তাদের মস্তিষ্কে কী পরিমাণ নিউরনের লাফালাফি চলছে তা তাদের অঙ্গভঙ্গি-জিহ্বার নড়াচড়া এবং ভোটের নৃত্য দেখলেই বোঝা যায়। তাদের বাগাড়ম্বর, উর্বর মস্তিষ্কজাত চিন্তা-ভাবনার ফল এবং দক্ষতা-অভিজ্ঞতার নমুনা টের পাবেন ঢাকার রাজপথে চলতে গিয়ে সিঙ্গাপুরের কথা স্মরণের মাধ্যমে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, ফুটপাথ, হাটবাজার এবং অলি গলিতে গিয়ে মালয়েশিয়াকে খোঁজ করলে হয়তো প্রাগৈতিহাসিক মালয়েশিয়ার সন্ধান পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনি ওসব কিছু টের না পেয়ে বাংলার অলিতে গলিতে লন্ডন আমেরিকা দেখতে পান তবে আমি নিশ্চিত যে আপনার জন্য ইলুশন এবং হ্যালোসিনেশন থেরাপি অপরিহার্য।
আমরা আজকের আলোচনার শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এবার সংক্ষেপে শিরোনাম প্রসঙ্গে কিছু বলে নিবন্ধের ইতি টানব। মানুষের কর্মের ফলে যে বিপত্তির সৃষ্টি হয় তা কমবেশি সবাই বুঝতে পারে। কুকর্মের একটি চিরায়ত চরিত্র হলো- তা করা হয় গোপনে এবং কুকর্মকারী মনে করে যে তাদের কর্মের কথা কেউ টের পাবে না। কিন্তু নির্মম বাস্তবতা হলো কুকর্মের আলামতগুলো কালো মেঘ হয়ে আকাশে বাতাসে জমা হয়ে যায় এবং কালবৈশাখীরূপে তাণ্ডব করার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এ অবস্থায় সবাই টের পায় যে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে এবং তা বোঝানোর জন্য বাংলা ভাষায় ঈশান কোণে অশনি সঙ্কেত বা কালো মেঘ শব্দমালা ব্যবহৃত হয়।
এখানে নিয়তির নির্মম লীলা খেলা হলো- সবাই অশনি সঙ্কেতের আলামত বুঝলেও কুকর্মকারীরা মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত তা অনুমানও করতে পারে না। কারণ অপকর্ম করতে করতে তাদের অন্তর এতটা কালো হয়ে যায় সেখানে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করার জ্ঞান বা হিদায়াত পৌঁছাতে পারে না।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
সীমান্তে বাংলাদেশীদের মৃত্যু কমেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাস্তি কমিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনে উদ্বেগ টিআইবির যখন দলকে আর সহযোগিতা করতে পারবো না তখন অবসরে যাবো : মেসি ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান আর নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ খণ্ডালেন ওবায়দুল কাদের আটকের পর নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ইউপি চেয়ারম্যানকে বদর যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন পণবন্দী জাহাজ ও ক্রুদের মুক্ত করার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝালকাঠিতে নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে মিলল ভ্যানচালকের লাশ বাল্টিমোর সেতু ভেঙে নদীতে পড়া ট্রাক থেকে ২ জনের লাশ উদ্ধার

সকল