২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
দৃষ্টিপাত

আইনি সুরক্ষা তাহলে কার পক্ষে?

-

পত্রিকার শিরোনাম- ‘চেক ডিজঅনারের মামলার আসামিকে হাজতে নেয়া যাবে না’। মাথাটা যেন চক্কর দিলো। কারণ, আমার এক নিকটাত্মীয়ের একটি চেক ডিজঅনারের মামলা চলছে আজ ১১ বছর। চেকের টাকা তো আটকে আছেই, নানান বাহানায় ১১ বছরে শুধুই তারিখ পড়ছে, যার পেছনে খরচ গুনতে হচ্ছে বাড়তি জরিমানা হিসেবে। এ যেন নিরীহ বাদি দলন। তার পরও আইনজীবীর আশ্বাস, আসামির কাস্টডি হলেই সুরাহা হবে।
এখন তো দেখা যাচ্ছে, সে পথ বন্ধ। তাহলে এ মামলা চলবে। আরো কত যুগ আর টাকা খরচ করতে হবে আরো কত এবং আসামিকে টাকা দিতে বাধ্য করানো হবে কোন মেশিনে! প্রসঙ্গত প্রশ্ন এসেই যায়, চেক ডিজঅনারের আসামি একজন প্রতারক! সে তার ব্যক্তি স্বাধীনতার জোরেই বা ব্যক্তি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে একজন নিরীহ সরল মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে ঠকিয়ে অযাচিত, অপ্রত্যাশিতভাবে আদালতের কাঠগড়ায় আসতে বাধ্য করে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছে।
ব্যক্তিমত, ব্যক্তি স্বাধীনতার অজুহাতে আদালত কর্তৃক সুরক্ষা প্রদান? মাননীয় আদালত আইন প্রণয়নকারী সংস্থাকে আইন সংশোধন পর্যন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এমন আইনি ব্যবস্থাপনা থেকে হাজারো প্রতারিত মজলুম নিষ্কৃতি ও তাদের প্রতারণার ফাঁদে আটককৃত টাকা ফেরত পাওয়ার আশু ও সহজ ব্যবস্থা করে দিতে কর্তৃপক্ষের মর্জি হয়।
মো: হাফিজুল্লা
শান্তিপুর, পীরগঞ্জ, রংপুর

 


আরো সংবাদ



premium cement