২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`
সুশাসন

সঙ্কট অনুধাবন ও নিরাপদ প্রস্থান

-

বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলেও দলীয় সরকার ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় এ দেশের জনমানুষ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতৃত্ব নির্বাচনে বিফল হয়েছে। এ রাষ্ট্রটির অভ্যুদয় পরবর্তী এ যাবৎকাল পর্যন্ত সরকারব্যবস্থায় তিনবার পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা দিয়ে রাষ্ট্রটির যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭৫ সালের প্রারম্ভে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। এ ব্যবস্থাটি ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃসংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন অবধি বহাল আছে।
এ দেশে দলীয় সরকারগুলো সবসময় ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সচেষ্ট ছিল। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় এ যাবৎকাল পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, দশম ও একাদশ- এ সাতটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয় হাসিলে সমর্থ হয়। অপর দিকে, কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত পঞ্চম, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সপ্তম ও অষ্টম এবং সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত নবম সংসদ- এ চারটি নির্বাচনে, নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বের ক্ষমতাসীনরা পরাভূত হয়। পঞ্চম ও নবম সংসদ নির্বাচন অসাংবিধানিক ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠান পরবর্তী ১৯৯১ সালে সংবিধানের একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রথমোক্ত অসাংবিধানিক ব্যবস্থাকে বৈধতা দেয়া হয়। শেষোক্ত অসাংবিধানিক ব্যবস্থা অদ্যাবধি সংসদের মাধ্যমে বৈধতা প্রাপ্ত না হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বৈধতা-বিষয়ক মামলাটির সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল শুনানিকালে অপ্রাসঙ্গিক আলোচনার অবতারণায় এটিকে বৈধতা দেয়ার প্রয়াস নেয়া হয়। সপ্তম ও অষ্টম সংসদ নির্বাচন ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রবর্তিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান অনুসরণে অনুষ্ঠিত হয়।
সামরিক শাসক এরশাদ প্রায় ৯ বছর ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় গণঅসন্তোষে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন। এরশাদের ক্ষমতা থেকে বিদায়কালীন সংসদে তার দল জাতীয় পার্টির সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশের অধিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল; কিন্তু জন-আকাক্সক্ষা ভিন্নতর হওয়ায় বিচক্ষণ এরশাদ তা অনুধাবনে সমর্থ হন এবং বিরোধী শিবির প্রদত্ত রূপরেখায় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর পরবর্তী অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে এরশাদের দল জাতীয় পার্টি প্রতিকূল পরিবেশে ৩৫টি সংসদীয় আসনে বিজয়ী হয় এবং এর মধ্যে এরশাদ এককভাবে পাঁচটি সংসদীয় আসনে কারান্তরীণ থাকাবস্থায় বিজয়ী হন।

পঞ্চম সংসদ বহাল থাকাকালীন অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তুললে তা ব্যাপক জনসর্থন লাভ করে। সে সংসদটিতে কোনো দলের সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। আন্দোলনের একপর্যায়ে উভয় দল সংসদ থেকে পদত্যাগ করলে সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করে ব্যবস্থাটি প্রবর্তনের পথ রুদ্ধ হয়। অতঃপর সংসদের মেয়াদান্তে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী বিরত থাকলে বৈরী পরিবেশে এ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সহিংসতা অনুধাবন করে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একতরফা সংসদে সংবিধান সংশোধনের মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সংশোধনী বিলের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিধান প্রবর্তন করে সংসদের অবলুপ্তি ঘটিয়ে প্রবর্তিত ব্যবস্থার অধীনে সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করেন।
পঞ্চম সংসদ নির্বাচন পূর্ববর্তী ও ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী ক্ষমতা হস্তান্তর শান্তিপূর্ণ হওয়ায় জাতীয় পার্টি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক হয়রানি সীমিত ছিল, যদিও রাজনৈতিক মামলায় বিজড়নে ছেদ ঘটেনি।

অষ্টম সংসদের মেয়াদ অবসানে গঠিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারটি সংবিধান অনুসৃত সব বিকল্প নিঃশেষিত না করে গঠিত হওয়ায় এর গঠন-প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ। অতঃপর বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত গভর্নরের নেতৃত্বাধীন যে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় সেটি যে সংবিধানসম্মত ছিল না- এ প্রশ্নে দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই।
সংবিধানে ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক একতরফা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন বিরোধী শিবিরের দাবির প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিতবহ। অপর দিকে, সংবিধান থেকে ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক একতরফা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অবসান বিরোধী শিবিরের দাবির প্রতি অবজ্ঞা ও উপেক্ষার ইঙ্গিতবহ। উল্লেøখ্য, সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনকালীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ক্ষমতাসীন ছিল এবং সংবিধান থেকে এ ব্যবস্থাটি রহিতকালীন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন ছিল।
সংসদ গঠন বিষয়ে সংবিধানে যে সুস্পষ্ট বিধানের উল্লেখ রয়েছে তাতে বলা হয়েছে- একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ৩০০ সদস্য ও তাদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভোটে নির্বাচিত ৫০ জন মহিলা সদস্য সর্বমোট ৩৫০ সদস্য সমন্বয়ে সংসদ গঠিত হবে। দশম সংসদ নির্বাচনের প্রতি অবলোকন করলে প্রতীয়মান হয়, এ নির্বাচনটিতে প্রত্যক্ষ ভোটের জন্য উন্মুক্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনের প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এটি বিবেচনায় নিলে স্পষ্টভাবে প্রতিভাত যে, দশম সংসদ সংবিধানের নির্দেশিত পন্থায় গঠিত হয়নি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভোটগ্রহণ কোন দিন ও কোন সময়ের মধ্যে হবে তা সংবিধান এবং নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানাবলির অনুসরণে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়। সংবিধান ও আইন মেনে চলা সাংবিধানিক পদধারীসহ দেশের সব নাগরিকের আবশ্যিক কর্তব্য। একাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ভোট গ্রহণ যে আনুষ্ঠানিক ভোটপর্ব শুরুর আগের রাতে পুলিশ, প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের নেতাকর্মীদের সহায়তায় সম্পন্ন হয়েছে- এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং বিশিষ্টজনদের বক্তব্যে যে তথ্য বের হয়ে এসেছে- এর বিপরীতে ক্ষমতাসীন দল ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ অমূলক ও ভিত্তিহীন এমন তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের অবকাশ নেয়া হয়নি।
বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক সঙ্কট তা হলো ক্ষমতাসীন দলবহির্ভূত অপর কোনো সরকারব্যবস্থার অধীন জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠান। ইতঃপূর্বে অনুরূপ সঙ্কটকালীন অস্থায়ী সরকার, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সঙ্কট সমাধানে দেশের জনমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বতর্মান ক্ষমতাসীনদের অধীন ব্যালট বা ইভিএম- যে ব্যবস্থায়ই অনুষ্ঠিত হোক না কেন, তাতে ক্ষমতাসীন ব্যতীত অপর কোনো দলের বিজয়ের সুযোগ যে নস্যাৎ করা হবে সে উপলব্ধি বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ দেশের মানুষের রয়েছে।

বর্তমান ক্ষমতাসীনরা একাদিক্রমে অনুষ্ঠিত নবম, দশম ও একাদশ- এ তিনটি সংসদ নির্বাচনে বিজয় হাসিল করেছে, এগুলোর সাংবিধানিক ও আইনগত বৈধতা বিষয়ে আগত দিনে উত্থাপিত প্রশ্নের সূরাহা যে অনেকের জন্য মর্মবেদনার কারণ হয়ে দেখা দেবে এমন ভাবনা অমূলক নয়। যে সাংবিধানিক ও আইনগত দৃষ্টিকোণ থেকে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে উপরোল্লিøখিত তিনটি নির্বাচনের সাংবিধানিক ও আইনগত অবস্থান সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতাকে আগত দিনে প্রশ্নের মুখে ফেলবে কি না তা নিয়ে ভাববার অবকাশ রয়েছে।
দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বর্তমান সঙ্কটের সমাধান ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে। সঙ্কটের সমাধান দু’ভাবে সম্ভব। এর একটি হলো- সঙ্কট উপলব্ধি করে ক্ষমতাসীন দলবহির্র্ভূত অপর কোনো সরকারব্যবস্থার অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং অপরটি হলো- গণআন্দোলন ও গণঅসন্তোষে সরকারের পদত্যাগ। প্রথমোক্ত পন্থায় সমাধানের পথ বেছে নেয়া হলে তা ক্ষমতাসীনদের জন্য যেমন স্বস্তিদায়ক; অনুরূপ দেশ এবং জনগণের জন্য কল্যাণকর ও মঙ্গলজনক। শেষোক্ত পন্থায় সহিংসতার শঙ্কা থাকায় তার যথাযথ অনুধাবন প্রয়োজন। তাহলে অনাকাক্সিক্ষত যেকোনো ধরনের ঘটনা রোধ সহায়ক হবে।

দেশের প্রধান বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ক্ষমতাসীন দলবহির্র্ভূত অপর কোনো সরকার ব্যবস্থার অধীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে যে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাতে সরকারি দলের মদদে জনসমাগম ঠেকাতে যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও জন-উপস্থিতিতে ছেদ ঘটেছে এমনটি প্রত্যক্ষ করা যায়নি; বরং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, মহাসমাবেশগুলোতে বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই দলীয় নেতাকর্মীসহ জনমানুষের উপস্থিতি ঘটেছে। প্রধান বিরোধী দলের মহাসমাবেশগুলোতে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটিয়ে এগুলোকে যেভাবে ব্যর্থ করার প্রয়াস নেয়া হয়েছিল, তাতে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জনমানুষের মধ্যে আশঙ্কা দৃঢ়তর হয়েছে যে, বর্তমান সাংবিধানিক ব্যবস্থায় দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনমত বা জনসমর্থন যাই হোক না কেন, বিগত তিনটি নির্বাচনের ফলাফলের ভিন্নতর কিছু পরিলক্ষিত হবে না।
অতীতের ঘটনাপ্রবাহের আলোকে সঙ্কট উত্তরণে এরশাদ ও বেগম খালেদা জিয়া যে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন তা সামগ্রিকভাবে দেশের সবার জন্য আশাব্যঞ্জক ও ইতিবাচক হলেও রাজনৈতিক হীন স্বার্থে এর সুফল ধরে রাখতে না পারার ফলে দেশকে পুনঃপুন সঙ্কটের মুখে পড়তে হচ্ছে।
আশু বিপর্যয় উপলব্ধি করে সঙ্কট সমাধানে উদ্যোগী হলে জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ও এর রূপরেখা নির্ধারণ কঠিন কিছু নয়। জন আকাক্সক্ষা বা অভিপ্রায়ে গৃহীত যেকোনো ব্যবস্থার প্রতি দেশের জনমানুষের সমর্থন থাকায় তা কখনো সাংবিধানিক ও আইনগত বৈধতার পথ রুদ্ধ করে না।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ

সকল