পার্বত্য চট্টগ্রামে আতঙ্ক
- ০৩ অক্টোবর ২০২২, ০০:০৫
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়া এলাকার সীমান্তে উপর্যুপরি মর্টার শেল আর গুলি পড়ছে। মাইন বিস্ফোরণে ওই এলাকায় একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হন।
মিয়ানমার সীমান্তে এই গোলাগুলির শব্দ জনমনে অশান্তি আর ভীতির সঞ্চার করেছে। ওই সমস্ত এলাকার কোনো ব্যক্তি প্রয়োজনেও কোথাও যেতে পারছেন না। বড় দুঃখ হয়, একটি স্বাধীন দেশে নাগরিকরা স্বীয় বাড়িঘরে শান্তিতে বসবাস করতে পারছেন না। তুমব্রু সীমান্তে গোলার শব্দ পেয়ে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। অবুঝ শিশুরা দৌড়ে আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি যায়। গুরুত্বপূর্ণ এসএসসি পরীক্ষা নিজস্ব এলাকায় দিতে পারছে না পরীক্ষার্থীরা।
ঘুমধুম থেকে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে। থাকে তারা ঘুমধুম এলাকায় নিজ বাড়িতে গোলার শব্দের আতঙ্ক নিয়ে। দেশে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না কয়েক বছর হয়ে গেল।
মিয়ানমার শুরু করেছে আরো এক অত্যাচার। আরো রোহিঙ্গা পালিয়ে যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে, আরো কূটকৌশল তাদের। বাংলাদেশের মিয়ানমার সংলগ্ন পার্বত্য এলাকার অধিবাসীরা গোলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে যেন চলে যায়। এই এলাকার মানুষ এলাকা ছেড়ে গেলে মানবশূন্য জনপদ দখলে নিতে সুবিধা হয় তা খুঁজছে, যাতে এই এলাকা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের এলাকায় পরিণত হয়। মিয়ানমারের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য আমাদের সরকারকে নমনীয় হলে চলবে না। দেড় মাস ধরে মানুষ আতঙ্কিত। দেশের মানুষ নিজ ঘরে পরবাসী হয়ে থাকবে, এটি হয় না। দেশের সুনাগরিক হিসেবে আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।
সালেহা আফরীন বেলী
বুরহানবাগ, (ব্রাহ্মণপাড়া) শিবগঞ্জ, সিলেট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা