রোহিঙ্গা পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে
- ড. মাহবুব হাসান
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০৫
সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান থেকে গোলা ছুড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে। আমরা প্রতিদিনই মিয়ানমারের হেলিকপ্টারের টহল দেয়ার ছবি দেখেছি টিভির নিউজগুলোতে। বাংলাদেশ সরকার ওই সীমান্ত লঙ্ঘন ও হত্যার প্রতিবাদ জানানোর পরও তাদের আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি। টিভির সচিত্র নিউজেও আমরা দেখেছি ও শুনেছি সীমান্তবর্তী এলাকার নাগরিকদের ভীতিকর পরিস্থিতির বিবরণ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন। তারা নিরাপত্তা চায় সরকারের কাছে। নিশ্চয়ই সরকারও সেই নিরাপত্তা দেবার কাজটি করছে। কিন্তু তা তেমনভাবে দৃশ্যমান নয়। ফলে সেখানকার নাগরিকদের মধ্যে ভীতি রয়ে গেছে। প্রতিবাদের পরও সেই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বন্ধ করেনি মিয়ানমার। পরপর চার দিন এই সীমান্ত লঙ্ঘন ও গোলা ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে এবং তাদের একটি মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এক শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
কেন মিয়ানমার এমনটা করছে? এই প্রশ্ন এখন দেশের সচেতন মানুষের। তারা ভাবছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রী জাতিসঙ্ঘে আন্তর্জাতিক নেতাদের সমর্থন ও সাহায্য চাইছেন, তখন এ ঘটনা নতুন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। এটা কি সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির পরিণতি? নাকি আরো কোনো গভীর সঙ্কটের সূচিমুখ এই মিয়ানমারের ঔদ্ধত্যপূর্ণ সামরিক আচরণ? দেশের রাজনৈতিক দলগুলোও মিয়ানমারের এই উসকানিমূলক আচরণকে সরকারের দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির জন্য ঘটে চলেছে বলে দাবি করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৭ সেপ্টেম্বর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন সরকারের নতজানু নীতির কারণেই মিয়ানমার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে।
তিনি বলেন, এমনিতেই ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে বাংলাদেশ মহাসঙ্কটে রয়েছে। তার ওপর নতুন করে সীমান্ত সমস্যা সৃষ্টি করছে মিয়ানমার বাহিনী। এটা সম্ভব হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসকদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে। এ সময় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার্থে মেরুদণ্ড সোজা করে যথযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। (নয়া দিগন্ত ১৭/০৯/২২)
জাতীয় পার্টির প্রধান জি এম কাদের বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ সরকার। অকারণে নিরীহ রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার সেনাদের গোলাবর্ষণের ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের ওপর এই হামলা ক্ষমার অযোগ্য। কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বসম্প্রদায়ের কার্যকর উদ্যোগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের তেমন কোনো সাফল্য নেই। (মানবজমিন ২৩/০৯/২২)
এই দুটি দলের মিয়ানমার সম্পর্কিত অভিযোগ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় যখন জাতিসঙ্ঘে প্রধানমন্ত্রী এই ইস্যুটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতাদের সামনে তুলে ধরছেন। প্রশ্নটা এখানেই যে, পাঁচ বছর পর কেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকার উদ্বেগাক্রান্ত হলো। তিনি তো প্রতি বছরই জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে যোগদান করেন এবং ভাষণ দেন। সে সব ভাষণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ ক্যাম্প এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ফলে যে আমাদের সামাজিক পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, জনজীবনে মারাত্মক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে, তারও চেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে, মাদকের অবাধ চোরাচালান এবং ক্যাম্পের ভেতরে অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীসহ চোরাই মাদকের সাম্র্রাজ্য গড়ে উঠেছে- এ সবই তিনি বলেন। কিন্তু এর বিপরীতে তার সরকার যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে বা নিয়েও সফল হতে পারছে না, সেই নির্মম সত্যটি অনুচ্চারিতই থেকে যাচ্ছে। ফলে এটাই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে, সরকারের সদিচ্ছা সত্ত্বেও প্রশাসনের অদক্ষতা, সরকারি দলের কায়েমি স্বার্থবাদী নেতা-কর্মীদের কারণে সেখানে শান্তি-স্থিতি আনতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। এই ব্যর্থতা সাদা চোখে দেখা যায় না, কারণ সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য যেসব উদ্যোগ আয়োজন অব্যাহত রাখছে, তাদের বিভিন্ন এলাকায়, যেমন ভাসানচরে পুনর্বাসন করছে, সবই সত্য, কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ক্যাম্পগুলোর অভ্যন্তরের পরিস্থিতি কেবল অমানবিকই নয়, তাদের সার্বিক জীবনমানের দশাও অত্যন্ত খারাপ। জাতিসঙ্ঘের শরণার্থীবিষয়ক কার্যক্রম অব্যাহত থাকলেও, তারা কেন আরো ভালো কিছু করতে উদ্যোগ নিচ্ছে না, তা বোধগম্য নয়। আরেকটি উদ্বেগজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসি ১২ লাখ সেলুলার সিম দিতে চাইছে রোহিঙ্গাদের। যদি রোহিঙ্গাদের হাতে সিম যায় তাহলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তাকে কেবল উদ্বেগজনক বলা যাবে না, পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলবে বলেই মনে করা যেতে পারে। কারণ, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে যারা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত তাদের আরো পোয়াবারো হবে। সেই সঙ্গে যুক্ত হবে অবাধ টেলিযোগাযোগ মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা এলাকার মানুষদের মধ্যে। এখন তো মানিলন্ডারিং হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ বাড়লে মানি ট্রান্সফারসহ আরো কিছু অপরাধ সঙ্ঘটিত হতে থাকবে। সরকারের এই বিটিআরসি কোন লক্ষ্য সামনে রেখে এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বা নিয়েছে তা বোধগম্য নয়। এটা যে গভীর একটি ষড়যন্ত্রের অংশ সেটা বোঝা যায়।
স্বীকার করুক বা না করুক, এটা সত্য যে ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে হত্যা করতে থাকে তাদের। সেই জাতিগত ক্লিনজিং থেকে বাঁচার জন্য রোহিঙ্গারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। এই সত্য কি মিয়ানমার অস্বীকার করতে পারবে? আমরা ভাবি, যে সত্য আন্তর্জাতিক সমাজের চোখের সামনে ঘটেছে, সেই ঘটনা কিভাবে অস্বীকার করে? না সেটা পারবে না বলেই আমরা ভাবি। কিন্তু মিয়ানমার জান্তা সরকার ঠিকই অস্বীকার করছে। শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন যাতে না হতে পারে, সে কারণেও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সীমান্তে মর্টার শেল ছুড়ে থাকতে পারে, যা অব্যাহত। অতিসম্প্রতি আমাদের সীমান্তের ঘুমধুমের তুমব্রু এলাকায় গোলা ছুড়ে তারা বাংলাদেশের সার্বভৗমত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছে। মোট চারবার সীমান্ত এলাকায় গোলা ছুড়েছে। ১৫ বছরের একটি রোহিঙ্গা বালক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। এই উসকানিমূলক সীমান্ত লঙ্ঘনের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছে এবং ব্যাখ্যা চেয়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কী জবাব দিয়েছে তা দেশের প্রেস বা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানতে পারেনি। পরপর চারবার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেও যে ফল পাওয়া যায়নি। তার মানে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবাদের তোয়াক্কা করছে না, তাতে কান পাতছে না। একে বলা যায় পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া বাধানোর চেষ্টা। কিন্তু কেন তারা এমনটা করছে? তার রাজনৈতিক ও সামরিক মননে কী অভিসন্ধি কাজ করছে, সেটা গভীরভাবে বুঝতে হবে এবং মিয়ানমারের মতো একটি দেশের এতটা উদ্ধত আচরণ কেন তাও খুঁজে বের করা জরুরি। কারণ বিষয়টির সাথে আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত।
২.
মিয়ানমারের এই উদ্ধত আচরণের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে হবে তাদের পেছনে বৃহৎ কোন কোন রাষ্ট্রের গোপন, প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন সায় আছে কি নেই, তার ওপর ভিত্তি করে। এক্ষেত্রে ২০১৭ সালেই রোহিঙ্গা ঢল নামার সময় প্রতিবেশী বন্ধুদেশ ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকেনি বরং যাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে যায়, সে জন্য জান্তা সরকারকে নীরব সায় দিয়েছে। আবার চীনও জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা প্রশ্নে প্রথমাবধিই নীরব। দেশটি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তারা মিয়ানমারেও বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করে রেখেছে। চীন সব সময়ই মিয়ানমারের পাশে আছে। আজকে দেশগুলো বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক সুবিধার কারণে মিয়ানমারের অনৈতিক ও অমানবিক নৃশংসতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করে না।
এখন কিভাবে এই সঙ্কটের মোকাবেলা করতে হবে, তা সরকারকে নতুন করে ভাবতে হবে। অর্থাৎ নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমানের উসকানি মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপ কী হবে।
ধারণা করা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরাশক্তিগুলোর স্ট্র্যাটেজি নতুন বিন্যাস চাইছে। আমরা এটা বিবেচনা করি যে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের কথায় তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে। সেটা হয়তো নতুন কোনো মাত্রা নয়। কিন্তু আমরা এটা মনে করতে পারি যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দিনের দিল্লি সফরের পর তিস্তা নদীর পানি বণ্টন বাদ দিয়ে কুশিয়ারার পানি বণ্টনকে সরকার সাফল্য হিসেবে দেখছে। বাংলাদেশ কি ভারত ও চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক ও আঞ্চলিক বিষয়াদিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে চায়? নাকি টেনিস বলের মতোই কেবল একবার ভারত আরেকবার চীনের কৃপাদৃষ্টির ভেতরে বাস করতে আগ্রহী? ভারতকে অনেক সুযোগ দিয়েও আমরা উল্লেখ করার মতো কোনো সহযোগিতা পাইনি। তার পরও সরকার কেন ওই দেশটির সঙ্গে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ? সেটা কি কেবল স্বাধীনতাযুদ্ধে তাদের সহযোগিতা? শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া? এই অপরিশোধযোগ্য সহযোগিতার সম্মান আমরা করেছি। কিন্তু তার তো কোনো বিনিময় হয় না। ভারত সেই বিষয়ে বিনিময় চায়, যা ১৯৭১ সালে তারা বিনিয়োগ করেছিল, তা সুদেমূলে পরিশোধ করেছি আমরা। তার পরও তাদের চাওয়ার ও পাওয়ার শেষ নেই।
আমাদের ধারণা, পরাশক্তিগুলো তাদের রাজনৈতিক ও সামরিক বিজনেসের ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মিয়ানমারকে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ওই শরণার্থী এলাকায় যদি একটি সামরিক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, তাহলে সামরিক ব্যবসার একটি ক্ষেত্র সৃষ্টি হতে পারে। আর বিশ্বের ওয়ার ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা কেবল টাকাই চেনে। মানুষের মূল্য তাদের কাছে তেমন একটা নেই। মানুষ, মানবতা, মানবাধিকার ইত্যাদি তখনই গুরুত্বপূর্ণ যদি সেটা তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে নিহিত থাকে। উপাত্ত হিসেবে তার ব্যবহার তারা করেন। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন যুক্তরাষ্ট্রকে পরম বন্ধু হিসেবে পায়, তখন এটা নিশ্চিত করা যায় যে দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আরো একটি সামরিক কনফ্লিক্টের সূচনা হতে যাচ্ছে। সেখানে চীন হচ্ছে তাদের পুরোনো প্রতিপক্ষ। মিয়ানমারের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ সামরিক তৎপরতা কেবল আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে আর সীমাবদ্ধ থাকবে না, তা ছড়িয়ে পড়বে চার দিকে। এই ভয় আমাদের। এমনো তো হতে পারে চোরাচালানের মাধ্যমে আসা অস্ত্র শরণার্থী ক্যাম্পের বাইরে চলে আসছে বিপুল বেগে ও উদ্যমে, যার নিয়ন্ত্রণ কি সরকারের পুলিশ, বিজিবি করতে সক্ষম? যদি সক্ষম হয়, তাহলে এখন তারা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান কেন বন্ধ করতে পারছে না? মূল গলদ এখানেই।
আসলে সব কিছুর আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমারের সামরিক তৎপরতার পেছনকার উদ্দেশ্য খুঁজে দেখতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা