১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আন্দোলনের প্রথম দু’টি দফা

অন্য দৃষ্টি
-

সরকারি দল আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ‘রসিকতা’র প্রধান একটি ইস্যু হলো, বিএনপির আন্দোলন ‘কোন ঈদের পরে?’ দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মুখে কথাটি যেন অন্য ধরনের এক ব্যঞ্জনা পায়। তিনি একজন কবি, তার ওপর সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা তার বাক্য ও শব্দ বিন্যাসে মিছরির ছুরির মতো আঘাত করে। সরকারি দলের নেতাকর্মীদের জন্য এটি হয়তো এক মধুর প্রতিশোধ। বিরোধীদের জন্য এ এক মর্মপীড়াদায়ক নিষ্ঠুরতা।
আন্দোলন সংগ্রামে বিরোধীদের দীর্ঘ এক অসহায়ত্বের ইতিহাস তৈরি হয়েছে। ব্যাখ্যা করে এ ব্যাপারে বলার মতো সাংবাদিক সুশীল ব্যক্তিরও বড় অভাব। নানা অনাচার অনিয়মের পরও কেন কোনো আন্দোলন দানা বেঁধে উঠল না তার জন্য বিএনপিকে উপহাসের পাত্র বানানো হয়েছে কিন্তু এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের সাংবাদিকতা নিয়ে হতাশাজনক মন্তব্য আমরা একটু তলিয়ে দেখি। সাংবাদিকতার পরিবেশের অধপতনের নিরাশার সুরের মধ্যে আমরা রাজনৈতিক আন্দোলনের ব্যর্থতার অন্তর্নিহিত কারণটিও খুঁজে পাবো আশা রাখি। তিনি ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে সাংবাদিকতা হচ্ছে পুকুরের মধ্যে অনেক কুমির ছেড়ে দিয়ে বলা হলো, এপার থেকে ওপার সাঁতার কেটে যাও। কিন্তু কুমিরের লেজের মধ্যেও পড়তে পারবা না, মুখেও পড়তে পারবা না।’ তার মতে, এ কুমিররা সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের লোক। তিনি সাথে বিএনপি ও ছাত্রদলের কথাও জুড়ে দিয়েছেন, যদিও ক্ষমতা চর্চার কোনো সুযোগ বিগত ২০০৬ সালের পর বিএনপি ও ছাত্রদল পায়নি। আর এর পরেই সাংবাদিক নির্যাতনের বর্ধমান চিত্র দেখা গেছে। গুম করে ফেলা, আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে বেধড়ক নির্যাতন, জেল খাটানো এমনকি হেফাজতে মৃত্যুর শিকারও হয়েছেন। এসবের পক্ষে ভূরি ভূরি তথ্য-উপাত্ত রয়েছে, তাই রেফারেন্স দেয়ার প্রয়োজন মনে করছি না।
আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য বিএনপিকে নিয়ে নির্মম রসিকতা করা হলেও দেশ গণতন্ত্রহীন হয়ে বিএনপি একাই নয়, পুরো দেশবাসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এ থেকে দেশকে মুক্ত করার দায়িত্বও একা বিএনপির নয়। তার পরেও বিএনপি কেন পারেনি সেটি আমরা একটু চোখ বুলিয়ে দেখতে পারি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০২০ সালের আগস্টের মাঝামাঝিতে আওয়ামী লীগ সরকারের এক দশকে তার দলের ওপর কতটা নিষ্ঠুরতা চালানো হয়েছে এক সংবাদ সম্মেলনে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, এই সময় সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর হাতে তিন হাজার মানুষ হত্যার শিকার হয়েছেন। দৈনিক যুগান্তরের ১৩ আগস্টের অনলাইন ভার্সনে খবরটি এখনো রয়েছে। বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে এক লাখের বেশি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দেয়া হয়েছে। তাতে আসামি করা হয়েছে ৩৫ লাখের বেশি নেতাকর্মীকে। সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের হত্যা নিয়েও তিনি মন্তব্য করেছেন ওই সংবাদ সম্মেলনে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে পুলিশ হত্যা করেছে। সাধারণ মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পায় না। কিন্তু সিনহা হত্যার পর অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা, সমগ্র জাতি, যেভাবে প্রতিবাদমুখর হয়েছে, তাতে তার পরিবার বিচার পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি আইএসপিআরের বক্তব্য তুলে ধরেন। তাতে বলা হয়েছে, পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা হবে না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, ‘ক্রসফায়ারের ঘটনা পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ঠাণ্ডা মাথায় সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত।’ এর আগেও বিএনপির পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর চরম দমন পীড়ন নেমে আসে। এর আগেই সাধারণত বিরোধীরা আন্দোলন করে। ঠিক এ সময়ে বাংলাদেশে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। নির্বাচনের ঠিক আগের বছর ২০১৩ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে ৩২৯ হয়। তার আগের বছর এটি ছিল ৭০। নির্বাচনের পরেও দমন পীড়নের উচ্চ হার বজায় ছিল। ২০১৪ সালেও ১৭২ বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটে। গুমের সংখ্যাও আগের বছরের চেয়ে ২০১৩ সালে দ্বিগুণ বেড়ে ৫৪ হয়। পরের বছর অর্থাৎ নির্বাচনের বছরেও সেটা ৩৯ অর্থাৎ অন্যান্য বছরের চেয়ে ঊর্ধ্বমুখী থাকে। আবারো ২০১৮ সালের নির্বাচনকে ঘিরে বিচারবহির্ভূত হত্যা বিপুল বেড়ে ওই বছর দাঁড়ায় ৪৬৬ জন। পরের বছর দমন পীড়নের ধারা ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এ বছর ৩৯১ জন এর শিকার হন। গুমের সংখ্যাও এ বছর আগের বছরের চেয়ে তিনগুণ বেড়ে ৯৮ হয়ে যায়। এ পরিসংখ্যান মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর।
গণতন্ত্র একটি অহিংস অসামরিক প্রক্রিয়া। এখানে রাজনৈতিক দলগুলো একটি অঙ্গীকারের মধ্যে আবদ্ধ থাকে। সবাইকে মিলে এর পরিবেশ অনুকূল রাখতে হয়। ক্ষমতা গ্রহণ করে যদি সরকারি দল সেই অঙ্গীকার থেকে সরে যায় সেটি প্রকৃতপক্ষে আর গণতন্ত্র থাকে না। কারণ রাষ্ট্র পরিচালনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে। একটি বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে অপরাধ দমন করবে। অন্য বাহিনী জনগণকে বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা করবে। ক্ষমতা গ্রহণ করে সরকার তার এ নীতিটি বদলে নিয়ে বন্দুকের নলটি যদি উল্টো জনগণের দিকেই ঘুরিয়ে দেয়, তাকে বাধার দেয়ার কে আছে?
সরকারের অন্যায় ও অনিয়ম নিয়ে বিরোধীরা মিছিল সমাবেশ করবে; সরকার না শুনলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেবে। এটিই ছিল স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি। এক যুগের বেশি ধরে রাজনৈতিক কর্মসূচি অস্ত্রের ভাষায় জবাব দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে দমানো হয়েছে। বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার সরকার নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে ছিনিয়ে নিয়েছে।
গণতন্ত্রের আরেকটি মৌলিক অনুষঙ্গ গণমাধ্যম। রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পার্ট না হয়ে তারা ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের চরিত্রটি ভিন্ন মাত্রায় উন্মোচিত হয়েছে। জনগণ স্পষ্ট দেখতে পেয়েছে, মূল ধারার গণমাধ্যম সরকার ও রাজনৈতিক দল ভেদে ভিন্ন আচরণ করেছে। তারা নিজেদের স্বীকৃত নিয়মকানুন ও আইনকে নিজেরাই মেনে চলেনি। এক সরকারকে তারা পান থেকে চুন খসলেই ছাই দিয়ে ধরেছে। আবার অন্য সরকার পরিষ্কার কোনো অন্যায় করার পর সেটিকে আড়াল করে দিয়েছে। ডাহা অন্যায়ের পক্ষেও তারা সাফাই গেয়েছে। এ জন্য কেউ সামান্য কিছু অন্যায় করেও বড় মাশুল গুনেছে। অন্যরা বড় অপরাধ করে ছাড়া পেয়ে গেছে। এ সুযোগে ক্রিমিনালদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। এ সরকার যখন আইনকানুনের বাইরে গিয়ে বিরোধী দলকে সামরিক কায়দায় দমন করেছে, সাংবাদিকের কালিতে খুব কমই গণতন্ত্রের জন্য মায়া দেখা গেছে। এমনকি যেসব প্রখ্যাত সম্পাদকরা ছাত্র দল নিয়ে, মৌলবাদ জঙ্গিবাদ নিয়ে ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কলমে রক্ত ঝরিয়েছেন তারা বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম নিয়ে একেবারেই চেপে গেছেন। এর ফল কিন্তু কারো জন্য ভালো হয়নি। সাথে থাকার পরও বর্তমান সরকারের পক্ষে থেকে সাংবাদিক সমাজের জন্য কোনো সুবিধা আদায় করা যায়নি। বরং প্রস্তুত হচ্ছে একের পর এক বৈরী আইন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরও আরো আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যদিও সাংবাদিকদের দমনের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে কোনো আইনের দরকার হয়নি সরকারের। তবে আমাদের অভিজাত সাংবাদিক সমাজ আগের সাংবাদিক দমনের তালিকায় পড়েনি। তখন বিএনপি সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা পরবর্তীতে দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ওই পত্রিকার সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান ও একুশে টিভির ড. কনক সরওয়ারসহ অল্প কয়েকজন সাংবাদিক আক্রান্ত হয়ে জেলের ঘানি টেনেছেন, নির্বাসিত হয়েছেন। দৈনিক সংগ্রামের বয়োবৃদ্ধ সম্পাদক আবুল আসাদ জেল খেটেছেন। অভিজাত সাংবাদিকরা তখন নিজেদের সহযোদ্ধাদের পক্ষে একটা বিবৃতি দেয়ার উদারতা দেখাতে পারেননি। ডিজিটাল আইনের ভয়টি এখন তাদেরও কাবু করেছে। কারণ পাড়া মহল্লার রাজনৈতিক নেতারা এ আইনে সাংবাদিকদের জেল খাটাতে পারবেন। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সবুজসঙ্কেত ছাড়াই তারা এ কাজটি করতে পারবেন। আগে সরকারে উপরের পর্যায়ের লোকেরা বাছ বিচার করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন এখন সেটি আমপর্যায়ে চলে যাচ্ছে। হয়তো এই ভয় তাদের বেশি করে কাতর করে ফেলেছে। তাই তারা মাঠে নেমেছেন।
সরকারের নির্মম দমন ও মিডিয়ার বিমাতাসুলভ আচরণের জোড়া আঘাতে বিরোধীরা ময়দান থেকেই ছিটকে পড়ে গিয়েছিলেন। এ অবস্থায় ‘বিএনপির আন্দোলন কোন ঈদের পর?’ বলাটা মৃদুমন্দ অনুকূল বাতাসের মধ্যে বসে যতটা সহজ, হামলা মামলা ও বুলেটের মুখে থেকে রাস্তার আন্দোলন করা ততটাই কঠিন। তবে মনজুরুল আহসানের মন্তব্যটি মির্জা ফখরুল আরো বহু আগে করতে পারতেন। সে জন্য তাকে ভাষাটা আরো অনেক বদলে নিতে হতো। তিনি বলতে পারতেন, আন্দোলন নিয়ে এমন রসিকতা করা হচ্ছে, যেখানে আন্দোলনের মাঠটি একটি খরস্রোতা নদী। এতে নরখাদক ভয়ঙ্কর কুমির কিলবিল করছে। তার ওপর আমাদের হাত-পা বেঁধে সেই তীব্র স্রোতের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে।
বিএনপির উদার ও নমনীয় নীতি বাংলাদেশের একটি সুন্দর গণতন্ত্রের আশা জাগায়। গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দলটি একটি সময়োপযোগী মতবিনিময় সভা করেছে। দলটির মহাসচিব তাদের আমলে কৃত ত্রুটিবিচ্যুতি সংশোধন করে নেয়ার দৃষ্টিতে দেখেন। সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত সব আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা ও পরিসর বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখেন। গণমাধ্যমকে স্বাবলম্বী করা এবং এর কর্মীদের সুরক্ষায় আইন করা হবে বলে জানান। তারা যদি ক্ষমতায় যান এগুলো করবেন আশা করা যায়। চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি ও আমার দেশসহ অনেক গণমাধ্যম সরকারি নির্বাহী আদেশে বন্ধ করা হয়েছে। এ দিকে বলা হচ্ছে আন্দোলনের ইস্যু নেই। বিএনপি চাইলে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়ার দাবি করতে পারে। এটি তাদের আন্দোলনের প্রথম ইস্যু হতে পারে।
সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের। এসব ব্যাপারে কথা বলাই বিপজ্জনক ছিল। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, এটি উল্টো এ সরকারের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে গেল। এ-সংক্রান্ত অভিযোগগুলো এত দিন স্বীকার না করলেও এখন এর বাস্তবতা সরকার মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। সিলেটে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তাকে সরকার চাকরিচ্যুত করেছে। তার বিরুদ্ধে ১২০ ভরি স্বর্ণ আত্মসাৎ করার অভিযোগ বিভিন্ন পর্যায়ের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বাহিনীর মনোবল সতেজ রাখার জন্য শুদ্ধিকরণের প্রয়োজন হয়। বাহিনীর কোনো এক সদস্য যদি কোনো একটি অপরাধ করেন তাহলে এর দায়ভার পুরো বাহিনীর ওপর পড়ে, মুহূর্তে তার উচ্চ ভাবমর্যাদায় কালিমা লেগে যায়। যেকোনো বাহিনীতে এমন অপরাধীর সংখ্যা শতাংশের হিসাবের মধ্যেও পড়বে না। বাকি নিরান্নব্বই দশমিক নয় ভাগ সদস্যের পরিশুদ্ধির জন্য কেবল দশমিক এক অংশের শোধনের প্রয়োজন রয়েছে। এতে অপরাধীদেরও শুদ্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে। বিএনপিসহ বিরোধীদের আন্দোলনের দ্বিতীয় প্রধান ইস্যু হতে পারে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম নিয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি পেশ করা। এ দাবিটি জোরালো হওয়ার দরকার হলেও, কোথাও থেকে সেভাবে উত্থাপিত হয়নি।
jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২

সকল