স্ম র ণ : চারণ কবি মুকুন্দ দাস
- ১৮ মে ২০২২, ০০:০০
চারণ কবি মুকুন্দ দাসের জন্ম মুনশীগঞ্জ বা বিক্রমপুরের বানাড়ি গ্রামে ১২৮৫ বঙ্গাব্দে। বাবা-মায়ের দেয়া নাম যজ্ঞেশ্বর। পদ্মা নদীতে বানাড়ি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে বাবা গুরুদয়াল দে সপরিবারে বরিশাল চলে যান এবং ডেপুটির আদালতে আরদালির চাকরি নেন। ১৯ বছর বয়সে বীরেশ্বর গুপ্ত নামে এক বৈষ্ণবের কণ্ঠে গান শুনে একটি কীর্তনের দল গঠন করেন। ১৯০২ সালে রামানন্দ গোঁসাইজী বা হরিবোলানন্দ নামে এক ত্যাগী সাধুর কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন।
মন্ত্রগুরু রামানন্দ স্বামী ‘মুকুন্দ দাস’ নাম দেন। বরিশালের অশ্বিনীকুমার দত্তের কাছে স্বদেশী মন্ত্রে দীক্ষা নেন। এরপর চারণ কবিরূপে আত্মপ্রকাশ করেন। দেশাত্মবোধক সঙ্গীত ও নাটকের রচয়িতা। ‘স্বদেশী যাত্রা’ নামে এক অভিনব যাত্রার উদ্ভাবক, প্রবর্তক, প্রচারক ও অভিনেতা।বরিশাল হিতৈষী পত্রিকায় লিখতেন। যাত্রাগানে সমগ্র বরিশাল মাতিয়ে রাখতেন। কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যথাক্রমে ‘বাংলা মায়ের দামাল ছেলে চারণ-সম্রাট মুকুন্দ’ উপাধিতে ও ‘সন্তান’ আখ্যায় ভূষিত করেন তারা। মুকুন্দ একজন স্বভাবকবি।
গীত-সঙ্কলনে ইংরেজবিদ্বেষী গান প্রকাশিত হওয়ায় তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। কারাবাসের সময় স্ত্রী সুভাষিণী দেবী মারা যান। অসহযোগ আন্দোলন (১৯২০-১৯২২) ও আইন অমান্য আন্দোলনকালে (১৯৩০) যাত্রাপালা গেয়ে জনসাধারণের মনে কৃষক-মজুর, জেলে, তাঁতি, কামার, কুমারসহ ভারতকে ইংরেজ শাসকদের কবল থেকে মুক্ত করার বাণী তার গান ও যাত্রাপালায় শাণিত অস্ত্রের মতো প্রেরণা জোগাতে থাকে। রচিত গ্রন্থ : সাধনসঙ্গীত, পল্লীসেবা, ব্রহ্মচারিণী, পথ, সাথী, সমাজ, কর্মক্ষেত্র প্রভৃতি। অনেক মেডেল ও পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। জনগণের কাছে ‘চারণ কবি’ নামেই সমধিক পরিচিত। মৃত্যু : ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৩৪১ বঙ্গাব্দ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা