২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
দৃষ্টিপাত

সড়কে আর কত স্বপ্ন বিসর্জন

-

এত আন্দোলন, সচেতন মহলের উদ্বেগ, বিশেষজ্ঞের মতামত আর সংশ্লিষ্ট মহলের আশ্বাসের পরও সড়কে কেন স্বপ্নগুলো বিসর্জন দিতে হচ্ছে? প্রতিদিনই কারো না কারো রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে রাজপথ। প্রতিটি শিক্ষার্থী ছিল দেশের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন; কিন্তু আজকে তাদের পশুর মতো চাপা দিয়ে স্বপ্নের পৃথিবী থেকে বিদায় জানানো হচ্ছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে জানা যায় ২০২০ সালে সড়কে প্রাণ গেছে ৭০৬ জন শিক্ষার্থীর। কেন এতগুলো স্বপ্ন আজকে বিসর্জন দিতে হচ্ছে!
কেন স্বপ্নগুলো রাস্তায় রক্তে ভাসছে! এর পেছনে বড় কারণগুলো হলো, বাসচালকদের অশুভ প্রতিযোগিতা, রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে যাত্রী তোলা, যত্রতত্র থামানো, গাড়ি চলন্ত অবস্থায় চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহার- সবই চলছে। ফিটনেসবিহীন জরাজীর্ণ বাসের চলাচল, উল্টোপথে বা ট্রাফিক সিগন্যাল না মেনে গাড়ি চালানো ফুট ওভারব্রিজ ইত্যাদি ব্যবহার কিংবা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হওয়ার ঘটনাও থেমে নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াদের ৫৪ শতাংশের বয়স ১৬ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। আর দুর্ঘটনায় নিহতদের সাড়ে ১৮ শতাংশ ১৫ বছরের নিচে।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) বলছে, দেশে ৫৩ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে। আর চালকদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে ৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ অনেক সম্ভাবনাময় প্রাণ ঝরে যাচ্ছে প্রতিদিন- এর যেন কোনো শেষ নেই, বিচার নেই। এভাবে প্রতিদিন কোনো না কোনো স্বপ্ন ধূলিসাৎ হচ্ছে সড়কে গাড়ির চাপায়। সড়ক দুর্ঘটনায় যথাযথ আইনের প্রয়োগ না হওয়াতে আজকে আমাদের স্বপ্নগুলো রাস্তায় বিসর্জন দিতে হচ্ছে। আর চাই না এমন বিসর্জন! তাই কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে এই দুর্ঘটনা বন্ধ করা প্রয়োজন।
মাজহারুল ইসলাম শামীম,
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ


আরো সংবাদ



premium cement