২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ম র ণ : কৃষি বিজ্ঞানী ড. এস এম ইলিয়াস

-

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক সদস্য পরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য এবং কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সাবেক সভাপতি ড. এস এম ইলিয়াস ছিলেন কৃষি অর্থনীতিবিষয়ক গবেষণায় একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। ১৯৪৫ সালে বগুড়া জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বগুড়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, আইন পরিষদের সদস্য বি এম ইলিয়াস। কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তার বড় ভাই। ড. ইলিয়াস ১৯৬৫ সালে বিএজি (অনার্স) ডিগ্রি ও ১৯৬৮ সালে কৃষি অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণীতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৭ সালে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ থেকে পিএইচডি করেন। ১৯৭৭ সালেই ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সদস্য পরিচালক ছিলেন। ১৯৯৮ সালে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হন এবং অবসর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। কৃষির সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতেন। সৎ, নম্র, উদার, বিনয়ী ও নিরহঙ্কার ছিলেন। বেশ কয়েকটি বৈদেশিক ট্রেনিং এবং কনফারেন্সে নিজে না গিয়ে জুনিয়র বিজ্ঞানীদের যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। যেকোনো কর্মচারী, শ্রমিক, কর্মকর্তা প্রয়োজনে সব সময় তার সাথে কথা বলতে পারতেন। পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক বঞ্চনার শিকার হন তিনি।
ড. ইলিয়াস রচিত এক শ’রও বেশি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ ও প্রতিবেদন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। অত্যন্ত উঁচুমানের গবেষক ছিলেন। তার তত্ত্বাবধায়নে পাঁচজন ছাত্র পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। রচিত আন্তর্জাতিক মানের গবেষণামূলক গ্রন্থ ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত জাতিসঙ্ঘের ঊঝঈঅচ-থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তার রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ, প্রবন্ধ উচ্চতর ডিগ্রির ছাত্র এবং গবেষকরা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন। বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ড. ইলিয়াস কয়েকবার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর বরেণ্য এই কৃষি বিজ্ঞানী চিরবিদায় নেন।
গোলাম হাফিজ কেনেডি


আরো সংবাদ



premium cement