স্ম র ণ : সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ
- ২৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ। ২৮ নভেম্বর ২০০৬ সালে ৬২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৪৪ সালে ১ এপ্রিল সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন সবচেয়ে ছোট ছেলে। ১৯৬৭ সালে ঢাকার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মরহুম আলহাজ মাজেদ সরদারের কন্যা ফাতেমা খাতুনের সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন। মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ছয় দফা আন্দোলনের প্রস্তুতি, ছয় দফা প্রণয়ন এবং প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ’৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০ সালের জাতীয় নির্বাচন, মুক্তিসংগ্রামে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা স্মরণীয়। সাংগঠনিক দক্ষতা ও বাগ্মিতা তাকে ব্যাপক খ্যাতি ও ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং পরে হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৬ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মাঝখানে কিছু দিন বিরত থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ৩০ বছর এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ’৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৪ সালে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তাই ’৯৬ সালের ১২ জুন আওয়ামী লীগের বিজয়ে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
২০০৪ সালের ভয়াল ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের ট্রাক মঞ্চে শেখ হাসিনার ওপর নারকীয় গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে মানবঢাল রচনা করে শেখ হাসিনাকে রক্ষার প্রাণান্ত চেষ্টা করেন মোহাম্মদ হানিফ। একের পর এক ছোড়া গ্রেনেডের সামনে নির্ভয়ে পেতে দিলেন নিজেকে, মারাত্মক আহত হন তিনি। মস্তিষ্কসহ দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য স্পিন্টার ঢুকে পড়ে। দীর্ঘ দিনের চিকিৎসাতেও কোনো ফল দেয়নি, বরং মাথার গভীরে ঢুকে থাকায় অস্ত্রোপচার করেও স্পিন্টার অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মাথায় বিদ্ধ স্পিন্টারের প্রতিক্রিয়া শারীরিক অবস্থার অবনতি ও মৃত্যুর কারণ হিসেবে কাজ করে। দেশের রাজনীতিতে তার অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয়। আমরা তার রূহের মাগফিরাত কামনা করি। হ
মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম সুমন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা