২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

দৃষ্টিপাত: শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল বাস্তবায়ন

-

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিশেষ করে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বিএড স্কেল ও উচ্চতর স্কেল; এ ছাড়া পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আগে প্রাপ্ত ইনক্রিমেন্ট কেটে রাখা হচ্ছে। একই সাথে, পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন, যার ফলে তাদের প্রাপ্ত বেতনও অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকদের তুলনায় কমে যাচ্ছে যা অত্যন্ত লজ্জা ও দুঃখজনক। আমাদের দেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি, এর বেশির ভাগই এমপিওভুক্ত। উন্নত দেশগুলোতে যেখানে শিক্ষকদের বেতনভাতা সন্তোষজনক, সেখানে আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতনভাতা সরকারি অফিসের ছোট পদধারীর চেয়েও কম, যা দিয়ে বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে চলা অত্যন্ত কষ্টকর। অথচ ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতিতে সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতনকাঠামো করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সেটি বাস্তবায়ন করছে না। শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মাত্র এক হাজার টাকা, যা দিয়ে বাড়িভাড়া করা দূরে থাক, বর্তমানে একটি কুঁড়েঘরও ভাড়া পাওয়া যায় না। চিকিৎসাভাতা দেয়া হয় মাত্র ৫০০ টাকা, অথচ বর্তমানে একজন সিনিয়র ডাক্তারের ফি জনপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা; এর সাথে আছে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট, তারপর আছে বিভিন্ন ওষুধ কেনা। উৎসবভাতা কর্মচারীরা পান বেসিকের ৫০ শতাংশ আর শিক্ষকরা পান মাত্র ২৫ শতাংশ। একই দেশে দুই ধরনের নিয়ম কেন? শিক্ষকরা যদি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েন তাহলে তারা কিভাবে ক্লাসে মন দেবেন? কারণ মাথায় অর্থাভাবের চিন্তা নিয়ে পরিপূর্ণ পাঠ দান করা সম্ভব নয়। দেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভালো বেতন দেয়ার বিকল্প নেই।
সুতরাং সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু করে অবহেলিত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষে-
মো: মোশতাক মেহেদী
সহকারী প্রধান শিক্ষক, বুজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুমারখালী, কুষ্টিয়া


আরো সংবাদ



premium cement

সকল