১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দি ব স : নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করুন

-

২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনে বাংলাদেশ অটোরিকশা-অটোটেম্পো পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কর্মসূচি পালন করছে। দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে সময় উপযোগী উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা। যে দেশে যোগাযোগব্যবস্থা যত আধুনিক সে দেশ তত উন্নত। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সড়কের মাধ্যমে স্বল্পসময়ে গন্তব্য পৌঁছে যাওয়া যায়। দেশে প্রায় পাঁচ লাখ অটোরিকশা, সিএনজি, পেট্রল, ডিজেলচালিত থ্রি- হুইলার চলাচল করে। এ ছোট যানের শ্রমিকেরা ১৯৫৬ সাল থেকে চলাচল শুরু করে এ পরিবহন গ্রাম শহরে দিন-রাত যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে আসছে। এ পরিবহনটি ডোর টু ডোর সেবা দিয়ে আসছে, এ ক্ষুদ্র পরিবহনটি গরিবের অ্যাম্বুলেন্স বলে খ্যাতি অর্জন করেছে। ১৯৬৯ সালে মরহুম মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর কারামুক্তি আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক চালক অংশগ্রহণ করেছিল। দেশে পরিবহন শ্রমিকদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। এ শ্রমিকরা আজ রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে অবহেলিত। দেশে পরিবহন শ্রমিক ভুল করলে অনেক যানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়, পক্ষান্তরে একজন ডাক্তার ভুল করলে একজন রোগীর ক্ষতি হয়। দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিবহন শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। শ্রমিকরা স্বউদ্যোগে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ পেশায় সেবা দিয়ে আসছে। আজ ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। অনেক প্রাণের বিনিময়ে দিবসটি জাতীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি লাভ করেছে। যাদের প্রাণের বিনিময়ে এ দিবসটি জাতীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি লাভ করেছে আমরা তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
১০-১০-২০১৫ তথ্যমন্ত্রীও জাতীয় প্রেস ক্লাবে বলেছিলেন, তিন চাকার ছোট গাড়ির জন্য মহাসড়কে বাইলেন করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। ০৯-০৮-২০১৫ তৎকালীন বিমানমন্ত্রীও বলেছিলেন বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া তিন চাকার গাড়ি মহাসড়ক থেকে উচ্ছেদ করা সঠিক হয়নি। এ ছাড়া অনেক সংসদ সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা শ্রমিকদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। বিগত দিনে আমরা আশার বাণী ছাড়া কিছুই পাইনি। শ্রমিকরা এখনো অনেক আশায় বুক বেঁধে আছে। ফেডারেশনের ১০ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি গত ১২-০৯-২০১৭ ৩২টি জেলা থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাখিল করা হয়েছে। এ ছাড়া একাধিকবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, আলোচনা সভা, গোলটেবিল বৈঠক, সংবাদ সম্মেলন, টকশোর মাধ্যমে এ দাবি তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু আমরা আশার বাণী ছাড়া আর কিছুই পায়নি। মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ার ফলে চালক ও তার পরিবার পরিজন অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। মহাসড়কে এ গাড়িগুলো চলাচল বন্ধ হওয়ায় চালকদের সন্তানরা প্রয়োজনীয় শিক্ষা, চিকিৎসা পায় না। চালকরা ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছে। তাদের কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছে। অনেক চালক ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হ
লেখক : মো: গোলাম ফারুক
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অটোরিকশা-অটোটেম্পো পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
E-mail: batwfbd@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল