১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দৃষ্টিপাত : সরকারি হাসপাতালগুলোর দিকে নজর দিন

-

আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশে বসবাস করে থাকি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত যা প্রয়োজন তাকেই মৌলিক চাহিদা বলে যার মধ্যে আছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশ উন্নত বিশ্বের সাথে পালা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ছোট আয়তনে হলেও আমাদের দেশের জনসংখ্যা অত্যধিক। একদিকে যেমন জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করার চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের চ্যালেঞ্জ।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান , শিক্ষা এই চারটা দেশের জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছলেও চিকিৎসা সেবা এখনো তেমনভাবে জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়নি। জনসংখ্যার তুলনায় চিকিৎসাব্যবস্থা খুবই সীমিত। করোনার সময়ে তা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। দেশ যেভাবে উন্নত হচ্ছে তার সাথে পালা দিয়ে চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত হতে পারছে না। এখনো গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরমুখী হতে হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ নাগরিক মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত। এই নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম নয়। তাই তাদের শেষ আশ্রয় স্থান সরকারি হাসপাতালগুলো। সরকারি হাসপাতালগুলোতেও যেন ভোগান্তির শেষ নেই। রোগীর চিকিৎসা পাওয়া থেকে শুরু করে মেডিসিন ক্রয় করা পর্যন্ত ভোগান্তি। এর মধ্যে আছে চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাওয়া, স্বজনপ্রীতি, দালালের দৌরাত্ম্য, মেডিসিনের দাম বৃদ্ধি। এসব ভোগান্তি পোহাতে হয় একজন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষকে। দালালদের যোগসাজশে সরকারি হাসপাতালের রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে যাওয়ার জন্য ম্যানশন করে থাকে; শুধু তাই নয় দালালদের সাথে সরকারি হাসপাতালগুলোর ডাক্তারদের ও অনেকের যোগসাজশ রয়েছে।
দালালদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে যদি কোনোরকমে মেডিসিনের দোকানে যাওয়া যায় সেখানেও ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মেডিসিনের গায়ে নির্দিষ্ট কোনো মূল্য না থাকায় যে যার মতো বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। একই ওষুধের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন দোকানে ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণ জনগণকে এই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। কর্তৃপক্ষের উচিত এই দিকে নজর দেয়া। হ
মুহাম্মদ মহেদী হাসান সাগর
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।


আরো সংবাদ



premium cement