২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
দৃষ্টিপাত

করোনাকালে শিশুদের প্রতি মানবিক হোন

-

বাংলাদেশে বিদ্যমান শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী যাদের বয়স ১৮ বছরের কম তারাই শিশু। জাতিসঙ্ঘ শিশু অধিকার সনদে একই কথা বলা হয়েছে। সমাজে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে শিশুরও অধিকার রয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। নেহায়েত অজ্ঞতায় অথবা অবহেলায় আমরা সেগুলোকে তোয়াক্কা করি না। আমরা বই পুস্তকে পড়ি আজকের শিশুই জাতির ভবিষ্যৎ। বাস্তবে আমরা তাদের কাছে ঋণী। শিশুদেরকে এই মহামারী বা অতিমারী অনেক ভোগান্তিতে ফেলেছে নিঃসন্দেহে। করোনায় কেমন আছে আমাদের নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের শিশুরা, আমরা কি তার খোঁজ রেখেছি? স্কুল বন্ধ; সংসার চলে না। কাজ হারানো বাবার সাথে বা স্বল্প আয়ে সংসার চালানো বাবার সাথে সন্তানকে তাই যেতে হচ্ছে কাজে। ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক কাজ করতে হচ্ছে নামমাত্র পারিশ্রমিকে। এ ছাড়া বর্ণবৈষম্য, নিপীড়ন, অবমাননা, শারীরিক আগ্রাসন, যৌন নিপীড়ন, ঘরোয়া সংঘর্ষ, অনলাইনে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানোসহ বিভিন্নভাবে শিশুদের নির্যাতন করা হচ্ছে। মহামারীর এই সময়ে বিশ্বব্যাপী শিশুশ্রমের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী ২০২০ সালে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ১৬ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। তন্মধ্যে ৫-১১ বছর বয়সী শিশু সবচেয়ে বেশি এবং বালক শ্রমিকের সংখ্যা ৯ কোটি ৭০ লাখ। ÒChild Labour : Global Estimates 2020, Trends and the Road ForwardÓ -আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা কর্তৃক চার বছর অন্তর অন্তর প্রকাশিত এ রিপোর্টে বলা হয়েছেÑ ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চার বছরে নতুন শিশুশ্রমিক হয়েছে ৮৪ লাখ শিশু যেটি বিগত ২০ বছরে সর্বোচ্চ এবং যা ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছিল ৯ কোটি ৪০ লাখ। শিশু শ্রমিকের এই ঊর্ধ্বগতি ২০২০-এর জানুয়ারি থেকে বৃদ্ধিই পাচ্ছে। বিশ্বে প্রতি ১০ জন শিশুর একজন শিশুশ্রমে নিযুক্ত এবং এই হার আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি। শ্রম আইন ২০০৬ তে বলা হয়েছে, কোনো কিশোরকে কারখানা বা খনিতে দৈনিক ৫ ঘণ্টার বেশি এবং সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টার বেশি ও অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে দৈনিক ৭ ঘণ্টার বেশি ও সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার অধিক কোনো কাজ করতে দেয়া যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ, বিপজ্জনক কাজের ক্ষেত্রে তাকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদানপূর্বক কাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করানো হবে। তারপর তাকে কাজে নিযুক্ত করা যাবে। কিন্তু মহামারীর এই সময়ে কতটা মানা হচ্ছে সেসব বিধিবিধান? প্রতিনিয়তই আমরা শুনছি ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর ঊর্ধ্বগতির কথা। আমাদের সমাজে ধনী দরিদ্রের আয়ে রয়েছে বিস্তর ফারাক। আমাদের উচিত এখন থেকেই সামাজিকভাবে নিজেকে সচেতন করে গড়ে তোলা এবং শিশু নিগ্রহের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা। শিশুর সঠিক মানসিক বিকাশের পরিবেশ তাকে সৃষ্টি করে দিতে হবে। বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক, নৈতিকতার চর্চা ও একে অন্যের প্রতি সহমর্মিতার শিক্ষার মাধ্যমে দুর্যোগের সময়ে শিশুদের প্রতি মানবিক হওয়া জরুরি।
মেহেদী হাসান নয়ন
শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


আরো সংবাদ



premium cement
জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে?

সকল