স্মরণ : বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন
- ০২ আগস্ট ২০২১, ০০:১৪
১৯১৬ সালে হবিগঞ্জ জেলার লস্করপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন। তার পিতা ছিলেন হজরত শাহজালাল র:-এর ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সৈয়দ নাসির উদ্দিনের বংশের। সিলেটের এমসি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে আইএ এবং বিএ পাস করেন। ১৯৩৬ সালের ঢাকার শাহ আহসান উল্লাহর পুত্র শাহ আবদুল আযীযের কন্যা সুফিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। মাহমুদ হোসেন ঢাকার নারিন্দায় দারুল উলুম আহসানিয়া মাদরাসার অবৈতনিক সুপারিনটেনডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন কিছু দিন। ১৯৩৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএল ডিগ্রি লাভ করে পরের বছরে ঢাকা জজকোর্টে আইন ব্যবসায় শুরু করেন। দুই বছর পর আইন ব্যবসায় শুরু করেন হবিগঞ্জে।
১৯৪৩ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত হবিগঞ্জ মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছিলেন আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের কাউন্সিলর। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান মুসলিম লীগের কাউন্সিলর ছিলেন। ১৯৪৮ সালের ৮ এপ্রিল পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের প্রথম অ্যাডভোকেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং পরে দেওয়ানি মামলা পরিচালনায় খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৪৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান ফেডারেল কোর্টে অ্যাটর্নি নিযুক্ত হন এবং ১৯৫০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের প্রথম গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত এ পদে থেকে জনদাবির সমর্থনে সোচ্চার ছিলেন। ইসলামী ইস্যুতে এবং বাংলা ভাষার পক্ষে আন্দোলনে ছিলেন আপসহীন। ১৯৬৫ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ হাইকোর্টের জজ হিসেবে শপথ নেন। ১৯৭২ সালের ১৬ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হন।
১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়ে ১৯৭৮ সালে অবসর নেন। তিনি পেশাগত ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। বিচারপতি হোসেন অত্যন্ত বিনয়ী, সদালাপী, নিরহঙ্কার, ধর্মভীরু ও সহজ-সরল ছিলেন। তিনি ইংরেজি, উর্দু, আরবি ও ফারসি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। বিচারপতি মাহমুদ হোসেনের সাথে আমার পরিচয় ঘটে ১৯৭২ সালে। জেদ্দাগামী বিমানের জন্য আমরা তখন লন্ডন বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ। ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালের ২ আগস্ট আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তিনি। রেখে গেছেন তার আদর্শ।হ
আফতাব চৌধুরী
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা