২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ম র ণ: মাওলানা আতাউর রহমান খান

-

৩১ জুলাই মাওলানা আতাউর রহমান খানের মৃত্যু দিবস। রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সক্রিয়। মনে পড়ছে জাতীয় শরিয়া কাউন্সিলের সভায় ঢাকা দারুস সালামে রাজনীতিতে আলেমসমাজের ভূমিকার ইতিহাস বিষয়ে তার সারগর্ভ বক্তৃতার কথা। বক্তব্যের মূল কথাটি ছিল এরূপ : ‘বর্তমানে পৃথিবীর সব প্রান্তে আলেমরা রাজনীতিতে সক্রিয়। বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে আলেমরা রাজনীতি করছেন। কিন্তু ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে দীর্ঘ এক হাজার বছর পর্যন্ত আলেমরা জ্ঞানচর্চা নিয়েই অধিক ব্যস্ত ছিলেন। ৭০০ থেকে ১৭৫০ সাল পর্যন্ত আলেমরা সক্রিয় রাজনীতিতে এত ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেননি। আর এ প্রেক্ষাপটে এখনো আলেমদের একাংশ মনে করেন, আলেমদের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা জরুরি নয়। ১৭৫০ সালের পর দেশে দেশে ইসলামের সামাজিক বিধান আরো সঙ্কুচিত হতে শুরু করে। তখনই ওলামায়ে কেরাম রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ইসলামের সামাজিক বিধান কার্যকর রাখার অথবা পুনরায় কার্যকর করার জন্য চেষ্টা সাধনা শুরু করেন। তাদের সাধনা ও কোরবানির মাধ্যমে ইসলামের সামাজিক বিধান পুনরায় চালু করার উদ্যোগ ইতোমধ্যে মুসলিম বিশ্বে পরিলক্ষিত হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আলেমরা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমান বাস্তবতায় আলেমগণকে এ দেশে জ্ঞানচর্চা, মাদরাসা ও খানকা পরিচালনার সাথে সাথে রাজনীতি তথা সমাজ সংস্কারের কাজেও সোচ্চার হতে হবে।’ এটাই ছিল মাওলানা আতাউর রহমান খানের সেদিনের বক্তৃতার সারমর্ম।
তিনি ছিলেন অতীত যুগের আলেমদের গুণের মধ্যে অনেকগুলোর অধিকারী। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে এসব গুণের অধিকারী না হয়ে আলেমরা সমাজের নেতৃত্বের আসনে বসতে পারবেন না। এ বিষয়ে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সচেতন। তার মতো আলেমের সংখ্যা সমাজে স্বল্প। মাওলানা আতাউর রহমান খান এবং মাওলানা আব্দুল জাব্বার- এই দু’জন আলেম কওমি মাদরাসার ইতিহাস ও সিলেবাস নিয়ে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছিলেন। ইতিহাস ও সমাজসচেতন আলেমের স্বল্পতার কারণে তাদের প্রয়াস কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে না পৌঁছালেও আশা করা যায়, একদিন তাদের আন্দোলন সফল হবে।


আরো সংবাদ



premium cement