২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দৃষ্টিপাত : ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আবেদন

-

মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। জাতি স্বাধীনতার ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ এবং ‘মুজিবশতবর্ষ’ উদযাপনের আনন্দে ব্যাকুলÑ এমন মাহেন্দ্রক্ষণে প্রধানমন্ত্রী আপনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২০ সালের রূপরেখায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাকে বোর্ড পরীক্ষা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে; যা আমাদের শিক্ষা নৈতিক শিক্ষার পরিপন্থী। যে বিষয়ে বোর্ড পরীক্ষা হবে না সে বিষয় শিক্ষার্থীরা পড়তে চাইবে না। তাই প্রকারান্তরে তা শিক্ষা থেকে বাদ দেয়ারই শামিল।
প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম ২০২০ নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে ইসলাম শিক্ষা বিষয়টি নেই, বিষয়টি থাকবে, কি থাকবে না, তা স্পষ্ট নয়, যা অবিলম্বে স্পষ্ট হওয়া দরকার।
বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ইসলাম শিক্ষা বিষয় নেই। অথচ ১৯৯৮ সালের আগে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ইসলাম শিক্ষা ছিল। বর্তমানে মানবিক বিভাগে ইসলাম শিক্ষা চতুর্থ গুচ্ছে (১৬টি বিষয়ের মধ্যে একটি) ঐচ্ছিক, যা না পড়লেও চলে।
শিক্ষার উচ্চস্তরে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, মেডিক্যাল, ব্যবসায় প্রশাসন ও মানবিক বিভাগে কোথায়ও ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। শিক্ষার্থীদের ইচ্ছা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অর্জন করতে পারছে না। ফলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভোগবাদী মানসিকতায় গড়ে উঠছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি ধর্মভীরু, জাতির পিতার যোগ্য সন্তান এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসলামের অনেক খেদমত ও অবদান রেখে চলেছেন। যেমনÑ ইসলামী আরবি বিশ^বিদ্যালয়, এক হাজার ১০টি দারুল আরকাম মাদরাসা ও ৫৬০টি মডেল মসজিদ দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠা, দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সনদ প্রদান এবং ঈদে মিলাদুন্নবী সা:কে জাতীয় দিবসের মর্যাদা প্রদান।
ধর্মপ্রাণ এমন কর্ণধার সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়ক সমীপে দেশবাসীর হৃদয়ের আবেদনÑ
জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২০ (যা ২০২২ সাল থেকে কার্যকর করার প্রস্তাব দেয়া হয়) স্থগিত করে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে সর্বজন গ্রহণযোগ্য, সব বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, ধর্মপ্রাণ শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও আলেম-ওলামার সমন্বয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম কমিটি গঠন করে পাঠক্রম ও পাঠ্যসূচি তৈরি করার ব্যবস্থা গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষাকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম-দশম শ্রেণী পর্যন্ত এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সব বিভাগে আবশ্যিক বিষয় ও বোর্ড পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
উচ্চশিক্ষার সব শাখা ও ডিসিপ্লিনে অন্যান্য আবশ্যক বিষয়ের মতো ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’ এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর জন্য ‘মূল্যবোধ ও নৈতিকতা’ ১০০ নম্বরের একটি বিষয় বাধ্যতামূলক করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
আশা করি, প্রিয় দেশবাসীর ওই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
লেখক : উপাধ্যক্ষ, রোকনউদ্দিন মোল্লøা গার্লস ডিগ্রি কলেজ, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ।
E-mail: marahman_biu@yahoo.comv


আরো সংবাদ



premium cement