১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাকে ছাড়ছেন বাইডেন আফগানদের না দুনিয়া শাসন

-

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের আন্তর্জাতিক আইন বা কনভেনশন হলো, হিটলারের উত্থান ও দমনের পর থেকে রেসিয়াল গর্ব দেখানো, কাউকে রেসিয়ালি তুলনা করা, উঁচা-নিচা দেখানো ইত্যাদি সবই মারাত্মক অপরাধ-কাজ বলে চিহ্নিত হয়ে গেছে। তবু চর্চায় ছোট গ্রুপে এখনো এসব বিষয় উঠে আসে। তবে লিখিত অক্ষরে তা আর চর্চা করা হয় না, প্রমাণ না থুয়ে কানে কানে চর্চাই পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ট্রাম্পের গত চার বছরের প্রশাসন। সেটিই প্রথম কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্টের প্রশাসন যা যতটা সম্ভব প্রকাশ্যে সাদা শ্রেষ্ঠত্ববাদী রাজনৈতিক ধারার পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে গেছে। সেটি কাছ থেকে দেখেছি আমরা। সেই সাদা-কালো অথবা জাত শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের কথা এখানে এখন কেন?
মূল কথা হলো, জাত শ্রেষ্ঠত্ববাদিতা কেন খারাপ ও অন্যায়-অপরাধ সে সবই এখন গ্লোবালি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও গ্লোবাল নেতৃত্বে পালাবদলের এই সময় যারা হেরে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন তাদের কারো কারো মধ্যে ওই হার স্বীকার না করে সাদা শ্রেষ্ঠত্ববাদিতা আঁকড়ে ধরে আবার উঠে দাঁড়ানোর বৃথা চেষ্টা করার ঝোঁক বর্তমান থাকতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেটিও তো প্রবল বেড়েছিল ট্রাম্পের ক্ষমতার শেষ কয়েক মাসে যা এখন বাইডেনের ক্ষমতায় আসা তিন মাস পার হওয়ার পর ক্রমে পাকাপোক্ত হয়ে বসার সাথে সাথে ওসব সাদাবাদী ঝোঁক তো আপাতত শীতল হয়ে গেছে বা যাচ্ছিল! তাহলে আবার হঠাৎ পুরান অভিযোগ কেন?
একমাত্র কারণ, গত ১৩ এপ্রিল সারা পশ্চিমা মিডিয়ার মূল শিরোনাম ছিল, ‘বাইডেন আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করে ফিরে আসবেন।’ লন্ডন ইকোনমিস্ট শিরোনাম লিখেছে, ‘বাইডেন আফগান যুদ্ধ ফেলে পালিয়ে আসছেন’। আর সাথে আরেকটা ছোট শিরোনামও আছে, সেটি বলছে, ‘চিরদিনের জন্য যুদ্ধ শেষ করে’। কিন্তু এমন করে কথাটা লিখছে কেন? কারণ, এটাই বাইডেনের কোট-আনকোট করা কয়েকটা শব্দ। এর মানে কি আমেরিকা আর কখনো যুদ্ধে যাবে না? তাই কি বুঝাচ্ছে? আসছে সে কথায়!
কিন্তু এর আগে ট্রাম্পও তার ক্ষমতায় আসার বছর (২০১৭) থেকেই তো প্রায় একই কথা বলে আসছিল। সেটি বাস্তবায়ন হলে এতদিনে ট্রাম্পেরই তো সব ফেলে পালিয়ে আসার কথা! কিন্তু তখন তো ইকোনমিস্ট এমন শিরোনাম করেনি? আবার এটিকে কি কেবল ইকোনমিস্ট পত্রিকাই শিরোনাম ও রিপোর্ট করছে? না একেবারেই না। আমেরিকা-ইউরোপ মিলিয়ে সারা পশ্চিমের সব লিডিং পত্রিকার টোন এই ইকোনমিস্টের মতনই। যেমন আমেরিকান ‘ফরেন পলিসি’ লিখেছে, বাইডেনের ‘আফগানিস্তান ছেড়ে আসা কি বিপথগামিতা না অনেক আগেরই বকেয়া?’ তখন ওয়াশিংটন পোস্ট লিখছে, ‘আমেরিকান-মিথ্যা-গর্বের এক কবরে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তান।’ নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, আমেরিকা আফগান সেনা প্রত্যাহারের পরে কী করে দূর থেকে আবার কোনো যুদ্ধ করার পরিকল্পনা আঁটতে পারবে।’ এ ছাড়া প্রত্যেকটি মিডিয়ায় গত দু-তিন দিনের মধ্যে একই ইস্যুতে আট-দশটা পর্যন্ত আর্টিকেল ছাপা হয়েছে। আর বলাই বাহুল্য, প্রতিটা লেখাই পশ্চিমা মন ভারাক্রান্ত, হতাশ, সব হারিয়ে গেছে এমন সুর ও টোনে লেখা। এক কথায় বললে, এটা আমেরিকার আফগান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া নয়, যেন বাইডেনের ঘোষণা সারা দুনিয়া থেকেই আমেরিকান সেনা ও নেতৃত্ব প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা, এমন অনুভব ও সুরে আর্টিকেলগুলো লেখা হয়েছে। আর এখানকার এমন সঠিক মনোভাবটা ফুটিয়ে তুলতে গেলে বলতে হবে, দুনিয়াতে একদিন সাদা শ্রেষ্ঠত্ব, সাদা শাসন, সাদাদের গর্ব, সাদারাই মরদ এ টাইপের যেসব বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছিলÑ ঠিক তারই উল্টা যেন এটা। সাদাদের শোকÑ যখন তারা বুঝে গেছে বাইডেন কথাটা কেবল আফগান বললেও আসলে এর অর্থ সবারই কানেই বেজে উঠেছে যে বাইডেন বলছেন, ‘আমেরিকা আর কখনো কোনো যুদ্ধেই যাবে না’। যেন তার ‘দুনিয়াকে নেতৃত্ব দেয়ার দিন শেষ হয়েছে’।
ঝোঁক আকারে দুনিয়াতে কলোনি দখল শুরু বলা হয় ১৫ শতাব্দীতে (১৪০০-১৪৯৯)। আর ১৬০৫ সাল থেকে মোটামুটি এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। আর এটিকেই সাদাদের শাসনের যুগ, সাদা শ্রেষ্ঠত্ব বা ফিটেস্ট ইত্যাদি নাম দিয়ে নানা তত্ত্ব চালু হয়েছিল। তাহলে বাইডেনের এই আফগান ঘোষণা, এটাই কি সেই সাদা যুগের অবসান বলে পশ্চিমা মনে কু-ডেকে উঠেছে! সে কারণেই সাদা মনের আহাজারি এগুলো? তাই কি?
বিপরীতে নতুন ও আসন্ন গ্লোবাল নেতা হিসেবে এবং রেস বা প্রজাতি পরিচয়ে দেখলে চীনারা সম্ভবত মঙ্গোলয়েড। যদিও এই ২১ শতাব্দীতে এসে জাত্যাভিমান, জাতগর্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি সব ধরনের জাতবাদিতা ভয়ঙ্কর রকমভাবে সবার জন্যই প্রবল ক্ষতিকারক হবে। সেই মেসেজ যারা আমল করবেন তা তাদের কাছে পৌঁছে গেছে। আর যারা আমল করবেন না, বুঝমান নন তাদেরকে বলে লাভ নেই। তবে সম্ভবত এককালে সাদাদের সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট ধরনের আর্গুমেন্ট আমাদের আর কাউকে মুখোমুখি দেখতে হবে না! তবু, আমরা কি পারব এই নতুন সময়কে সামলাতে! কোনো আরেক জাত বা ধর্ম শ্রেষ্ঠত্ব সামলাতে? তবে এবারও মঙ্গোলয়েডদের সাথে আরেক অর্থে পূর্ব-ইউরোপীয় (রাশিয়ান বা অন্যরা) সাদা ককেশিয়ানও থাকবে। এ ছাড়া সাথে থাকবে ব্যাপক বাদামি এশিয়ান আর আফ্রিকানও। অর্থাৎ প্রথম সাদাবাদের একক উত্থানের তুলনায় এবার অনেক সম্মিলিত, মিশ্রিত জনগোষ্ঠী, মিশ্রিত ব্যাপক রেঞ্জের জনগোষ্ঠী জড়িত ও সংশ্লিষ্ট হওয়ার সুযোগ পাবে। আশা করব সাথে আবার কোনো ‘ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের’ নামে কোনো কিছুর উত্থান ঘটবে না, আমাদের সেই হেদায়েত নিজ থেকেই জেগে উঠুক সে কামনা করি!
তবে আজ যেমন উচ্চশিক্ষার জন্য, উচ্চ-ট্রেনিং ওরিয়েন্টেশনের জন্য আমরা পশ্চিমামুখী হই এটি নিশ্চয় দিক বদলাবে। এই ঝোঁকটাই তবে পশ্চিম থেকে এশিয়ামুখী দেখতে পাওয়াটা আর অসম্ভব থাকবে না।

এবার কথাগুলো অন্য দিক থেকে বলি
জো বাইডেনের শপথ নেয়ার দিন থেকে হিসাব করলে তার প্রশাসন বা সরকারের আয়ু আগামী ২০ এপ্রিলে মাত্র তিন মাস পূর্ণ হবে। গত ২০ জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পর থেকে দুনিয়ার সব কোণে তিনি আশা জাগিয়ে চলছিলেন। কিসের আশা? একটাই মূল বক্তব্য যে আমেরিকাকে তিনিই আবার ২০০১ সালের আগের (নাইন-ইলেভেনে টুইন টাওয়ার হামলার আগের) অবস্থায় নিয়ে যাবেন যে আমেরিকা ছিল গ্লোবাল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নেতা, যা ছিল গত টানা প্রায় ৭৫ বছরের।
এমনকি তা ছিল বাঘের মুখ থেকে বন্ধু-পার্টনারকে ছিনিয়ে আনার মতো। মানে? ইউরোপ আমেরিকার বন্ধু-পার্টনার গত ৭৫ বছর ধরে। আর এরও অনেক, অন্তত ৩০০ বছর (১৬৫০) আগে, সেই কলোনিযুগে আমেরিকা না, ইউরোপই ছিল প্রধান শক্তি। হ্যাঁ, কলোনি মাস্টার ইউরোপ, ব্রিটিশ-ফ্রান্সের ইউরোপ ছিল প্রধান শক্তি। কিন্তু কপালের ফেরে পড়ে হিটলারের হাতে সর্বস্ব, সম্পদ ও ভূমি (নিজ ভূখণ্ডসহ কলোনিতে পাওয়া ভূমিও) হারানোর দশায় পড়ে যায় ব্রিটিশ-ফ্রান্স ইউরোপের এসব শক্তি, ত্রিশের দশকের পর থেকে ক্রমে। বিগত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে ওই সময়ে অবস্থা এতই খারাপ জায়গায় পৌঁছায় যে তাদের জন্য একটাই অপশন খোলা ছিল; তা হলো- আমেরিকাকে গ্লোবাল নেতা মেনে নেয়া, দুই. তার নেতৃত্বে ও তারই অর্থ ব্যয়ে হিটলারের অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা আর তৃতীয়ত, ওই যুদ্ধে বিজয়ের পরে সব দখলি কলোনি ত্যাগ করে প্রাক্তন কলোনিগুলোকে স্বাধীন-মুক্ত করে দিয়ে ব্রিটিশ-ফ্রেঞ্চ, ডাচ, পর্তুগিজ, স্প্যানিস ইত্যাদি শক্তিগুলোর সবারই নিজ নিজ দেশে ফিরে চলে যাওয়া। আমেরিকার কথা মেনে একমাত্র এই পথে গেলে তবেই সে ক্ষেত্রে কেবল কলোনি-মাস্টাররা তারা নিজ ভিটামাটি-দেশ রক্ষা করতে পারে, আবার চাই কি আমেরিকান দান-সাহায্য-বিনিয়োগের সহায়তায় আবার অর্থনৈতিকভাবে তাদের রাষ্ট্র উঠে দাঁড়াতেও পারে। আর তাই-ই হয়েছিল। আর সেই থেকে অনেকটা আমেরিকার ছোট-পতœীর মতো মর্যাদা পেয়ে আসছে ইউরোপ। আমেরিকাও ইউরোপকে আপন পাশেই রেখে আসছে, নেতৃত্ব নিজের হাতে রেখেছে বটে, তবু ইউরোপকে ছোট-পার্টনারের মর্যাদা দিয়েছে। গত ৭৫ বছরের আমেরিকার গ্লোবাল নেতৃত্ব মানে সবসময় ইউরোপকে ছোট-পার্টনারের মর্যাদায় রাখা। আর সাথে এতদিন যত যুদ্ধের খরচ, ন্যাটো পরিচালনার ব্যয়ভার সব কিছুর লায়ন-শেয়ার একা আমেরিকা বহন করে এসেছে। যদিও আমেরিকার ঢলে পড়া অবস্থায় ওবামার সেকেন্ড টার্মের সময় থেকে ন্যাটোর অভ্যন্তরীণ মিটিংয়ে ইউরোপ কেন কোনো ব্যয়ের দায় নেয় নাÑ আমেরিকা ইউরোপের এই অযোগ্যতার কথা তুলে খোঁচা দেয়া শুরু করেছিল। আর চরম ও বিরাট ব্যতিক্রম ঘটে যায় ট্রাম্পের চার বছরে। ট্রাম্প নিজেকে জাতিবাদী-আমেরিকা বলে ঘোষণা দিয়ে নেয়াতে (মানে সে আর গ্লোবাল নেতা থাকতে চায় না) ইউরোপ বুঝে যায়, আমেরিকার কাছে ইউরোপ আর সেই ছোট-পতœীর মর্যাদায় থাকছে না। দিন বদলে যাচ্ছে দ্রুত। এরই প্রকাশ ঘটে যায় আরসিইপিতে (এটা সাধারণ বাণিজ্যজোট নয়, চীনের নেতৃত্বে এক ভ্যালু-এডিশন শেয়ারড প্রডাকশন ব্যবস্থা)। চীন এই ব্যবস্থাটা করেছিল মূলত আসিয়ান-দেশ কেন্দ্রিক, সাথে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দ: কোরিয়া ইত্যাদি যারা কেউই বাইরে থাকতে চায় না তাই তাতে তারা আবার যতই কোয়াড জোটেরও সদস্য হোক না কেন! আর পরে এই আরসিইপি জোটের সাথে ইইউ মিলিয়ে ঈড়সঢ়ৎবযবহংরাব অমৎববসবহঃ ড়হ ওহাবংঃসবহঃ (ঈঅও) গড়ে তুলেছিল; শেষ সময়ে। মানে?
মানে হলো, সেটি ছিল গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। কারণ, চীন চাইছিল বাইডেন পরের মাসে, ২০ জানুয়ারি শপথ নেয়ার আগেই ইইউর সাথে সিএআই (ঈঅও) চুক্তিটা সম্পন্ন করে ফেলা। কারণ বাইডেনের মূল পরিকল্পনা ছিল আবার ইইউকে আমেরিকার নেতৃত্ব ও আস্থায় ফিরিয়ে আনা। শুধু তাই নয়, চীনের বিরুদ্ধে ইইউর সাথে মিলে হিউম্যান রাইটের খামতির কথা তুলে প্রবল চাপ সৃষ্টি করা যাতে চীন তাদের সম্মিলিত চাপের কাছে হার মানে।
এ দিকে চীন আমেরিকাকে বাইরে রেখে ইইউর সাথে আগেই সিএআই চুক্তি করে ফেলতে পেরেছিল বটে। কিন্তু চীনা জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ইস্যুতে আমেরিকাও ঠিকই ইইউকে সাথে নিয়ে একসাথে হিউম্যান রাইটের অভিযোগ তুলতে সক্ষম হয়ে যায়। যদিও পুরা জিনিসটা আর তাতে চীনকে হিউম্যান রাইট কমপ্লায়েন্স করার লক্ষ্যের জায়গায় থাকেনি, বরং চীনের দিকে আঙুল তুলে বাণিজ্য সুবিধা চীনের থেকে বাগিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যেই নেংটাভাবে উন্মুক্ত হয়ে যায়। কারণ এখন পর্যন্ত চীনের বিরুদ্ধে তারা কী চায় এমন কোনোআলোচনাই শুরু হয়নি।
তবে বাঘের মুখ থেকে বন্ধু-পার্টনারকে ছিনিয়ে আনার কথা যেটা বলছিলাম যে বাইডেন ইইউকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি ট্রাম্পের উল্টা পথে যাবেন, ২০০১ সালের আগের আমেরিকান অবস্থানে যাবেনÑ এই লোভ দেখিয়ে ইউরোপকে আস্থায় নিতে পেরেছিলেন।
কিন্তু না, এটিও এখন তলানিতে আর সব কিছু ওদিকে ভেঙে পড়েছে! কেন?
কারণ, বাইডেনের আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাটা সারা ইউরোপে সাদা পশ্চিমা শক্তিরই কানে দুনিয়া থেকে শাসনের দিন ও সুযোগের সমাপ্তি হিসেবে পশ্চিমা মনে অনুরণিত হয়েছে। আফগান-প্রত্যাহার মানে গোটা পশ্চিমা শক্তিরই দুনিয়া থেকেই শাসনের পাততাড়ি গুটানো হিসেবে কানে বেজেছে!
ওদিকে দিনকে দিন গত চার বছর ট্রাম্প যেসব অবস্থান নিয়ে কট্টর চীনবিরোধী তবে জাতবাদী, সাদা শ্রেষ্ঠত্ববাদী ডানাও মেলেছিলেন সে সবের সাথে বাইডেনের নীতিগত পার্থক্য কমে যাচ্ছে। ট্রাম্প ও তার সঙ্গীরা এই কথাটাই বলে গেছিলেন যে ট্রাম্পের নীতির বিরোধী কোনো অবস্থান যেন বাইডেন না নিতে পারেন। বাস্তবত, ব্যাপারটা সে দিকেই যাচ্ছে হয়তো!হ
goutamdas1958@hotmail.com


আরো সংবাদ



premium cement