স্মরণ : শামসুন নাহার মাহমুদ
- ১০ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০
সাহিত্যিক, নারী জাগরণের অন্যতম কাণ্ডারি ও শিক্ষাবিদ শামসুন নাহার মাহমুদের জন্ম ১৯০৮ সালে ফেনী জেলার পরশুরামের গুথুমা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ছয় মাস বয়সে বাবাকে হারান। মায়ের সাথে নানা খান বাহাদুর আবদুল আজিজের চট্টগ্রামের বাড়িতে শৈশব ও কৈশোর কাটে। শিক্ষাজীবনের সূচনা চট্টগ্রাম শহরের খাস্তগীর স্কুলে। পরে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে ম্যাট্রিক পাস করেন ১৯২৬ সালে। কলকাতার ডায়েসিমন কলেজে ভর্তি হন। ১৯২৮ সালে আইএ, ১৯৩২ সালে বিএ এবং ১৯৪২ সালে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে বাংলায় এমএ পাস করেন। এমবিই ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৪৪। ১৯৪৩ সালে বেঙ্গল এডুকেশন সার্ভিসে যোগ দেন।
কলকাতা সাখাওয়াত হোসেন মেমোরিয়াল স্কুলের শিক্ষিকা এবং কলকাতা লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ ও ঢাকা ইডেন কলেজে বাংলার অধ্যাপিকা ছিলেন। বেগম রোকেয়ার সাথে নারী মুক্তি আন্দোলনে অংশ নেন। বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির মহিলা শাখার সভানেত্রী।
এ ছাড়া ১৯৪৮ সালে নিখিল পাকিস্তান মহিলা সমিতির সহসভানেত্রী, ১৯৫৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান শিশুকল্যাণ পরিষদের সভানেত্রী ১৯৬২ সালে ঢাকা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত সাবেক পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সদস্য। প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম : পুণ্যময়ী, রোকেয়া জীবনী, বেগম মহল, শিশুর শিক্ষা (১৯৩৯), নজরুলকে যেমন দেখেছি (১৯৫৮), ফুলবাগিচা, আমার দেখা তুরস্ক ইত্যাদি। বড় ভাই হবীবুল্লাহ বাহারের সাথে যুগ্ম সম্পাদনায় কলকাতা থেকে বুলবুল (১৯৩৩) নামে সাহিত্যপত্র প্রকাশ করেন। তিনি শিক্ষা, সাহিত্য ও সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। গুণাবলির জন্য কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্নেহ ও আশীর্বাদ লাভ করেন।
নজরুল তার সিন্ধু-হিল্লোল (১৯২৭) কাব্যগ্রন্থ ‘বাহার-নাহার’-এর নামে উৎসর্গ করেন। মৃত্যু ঢাকায় ১৯৬৪ সালে ১০ এপ্রিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা