১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আলোকিত মানুষদের বিদায়

দেশ জাতি রাষ্ট্র
-

মৃত্যু একটি অবধারিত সত্য। ‘কুল্লু নাফসি জায়িকাতুল মাউত।’ ‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?’ কোনো কোনো পরিণত মৃত্যু আমাদের অপরিমেয় দুঃখ-বেদনা দেয়। যারা তাদের জীবন সাধনার মধ্য দিয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন তাদের মরণে যেন অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। যেসব মহৎ মানুষের অবদানে সমৃদ্ধ দেশ-জাতি-রাষ্ট্র, তাদের অত সহজে ভোলা যায় না। এভাবেই কোনো কোনো মানুষ মরেও অমর হয়ে থাকে। মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকে তারা অনেককাল। বিগত বছরে করোনা মৃত্যুর অস্বাভাবিকতা আমাদের ভুলিয়ে দিয়েছে স্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি। করোনা অতিক্রান্ত হতে না হতে গত কয়েক দিনের কয়েকটি মৃত্যু আমাদের হৃদয় ছুঁয়েছে।
প্রথমে যে শোক সংবাদটি শিক্ষার অঙ্গনকে আহত করে তা হলো বর্ষীয়ান শিক্ষাবিদ কে এম মোহসীনের ইন্তেকাল। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক এই প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। স্বাভাবিক অর্থে এটি একটি পরিণত মৃত্যু। হয়তো আরো কিছুকাল বেঁচে থাকতেন তিনি। শিক্ষার আলো ছড়াতেন হয়তো। কিন্তু করুণাহীন করোনা তাকে বাঁচতে দেয়নি। করোনা নিয়ে বড় বড় লোকেরা যখন কঠিন কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছে তখন এই মহান শিক্ষক সহজ, সরল মেলামেশা ও সাধারণ কাজকর্ম অব্যাহত রেখেছেন। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। প্রতিদিন অফিসে যেতেন। বাসায় স্বাভাবিকভাবেই দেখা সাক্ষাৎ করতেন। বেশ কয়েক দিন আগে আমি দেখা করেছিলাম তার সাথে কোনো এক সন্ধ্যায় উত্তরার বাসায়। তখন সুন্দর স্বাভাবিক মনে হয়েছে তাকে। ১৯৭৩ সাল থেকে তাকে আমি চিনি। সাবসিডিয়ারি ক্লাসে তিনি ছিলেন আমার সরাসরি শিক্ষক। সেই সময়েই তিনি স্বনামধন্য ছিলেন। তিনি ছিলেন অসম্ভব রকমের প্রো স্টুডেন্ট। যখনই কোনো ছাত্র বিপদ-আপদ বা অসুবিধায় ছিল তার কাছে গেলে সমাধান মিলত।
সারা জীবন ধরে স্কাউট আন্দোলনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। ওই কর্মকাণ্ডের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন তিনি। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক যুব মুট অনুসৃত হয়। মুসলিম বিশে^র প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে আসা যুবকরা মৌচাকে স্কাউট ময়দানে সমবেত হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তা উদ্বোধন করেন। সে সময়ে এই মুটকে সফল করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখেছি তাকে। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে দেখিনি কখনো। কিন্তু গোটা জাতির চিন্তার পুনর্গঠন ও কর্মতৎপরতায় তিনি সবসময়ই সক্রিয় ছিলেন। বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়ামে ইসলামী মূল্যবোধ ও মানবিক চেতনার পক্ষে কথা বলতেন।
অধ্যাপক মোহসীন ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ। লন্ডনের স্কুল অব অরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতি, অর্থনীতি ও ইতিহাস বিষয়ে অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী ছিলেন তিনি। তিনি একাধারে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন, ইতিহাস সমিতির সভাপতি, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ ও ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্টস কমিটির সদস্য ছিলেন। ইউজিসির সদস্য থাকাকালে আমি একটি পাবলিক ইউনিভার্সিটির ভিসি ছিলাম। সে সুবাদে জাতির ভবিষ্যৎ উচ্চশিক্ষা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখেছি তাকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে আগামী ২৫ বছরের কর্মপত্র রচনায় তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। প্রথিতযশা এই মহান শিক্ষক জন্মেছিলেন আজকের জেলা রাজবাড়ীতে। ১৯৩৮ সালের ২৭ মে তার জন্মতারিখ। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৬০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। তার ৭টি গ্রন্থ ও ৩৫টি গবেষণাকর্ম রয়েছে। তার পিএইচডি সন্দর্ভের আলোকে সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ ‘পার্টিশন টু পার্টিশন’। অনেক কষ্ট করে খুঁজে খুঁজে বইটি আমার হাতে দিয়েছিলেন রিভিউ করার জন্য। যখনই আমার মতো যে কেউ তার কাছে গেছে, পেয়েছে সদুপদেশ, নির্দেশনা ও পরামর্শ। স্বল্পভাষী, গভীর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং নির্মল আলোকিত মানুষ ছিলেন তিনি। তার অভাব সহজে পূরণীয় নয়।
কে এম মোহসীনের মৃত্যুর সংবাদ আত্মস্থ করতে না করতেই আর একটি মৃত্যু সংবাদ আমাদের হৃদয়-মনকে ব্যথিত করে। দেশের খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সিভিল সোসাইটির শক্তিমান ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আবুল মকসুদ ইন্তেকাল করেন ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। কে এম মোহসীনের মৃত্যুর একদিন পর। জনাব মকসুদের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি সুস্থ ছিলেন। দু-এক মাস আগে তার বাসায় গিয়েছিলাম। তখন তাকে বেশ তরতাজা মনে হয়েছে। হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সৈয়দ আবুল মকসুদ বর্ণাঢ্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় লেখক। খ্যাতিমান গবেষক। জনপ্রিয় কলামিস্ট। পরিবেশ ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। মানবাধিকার রক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণ যারাই কোনো সমস্যা নিয়ে তাকে বলেছে তিনি লেখা এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়ে দৌড়ঝাঁপ করে সে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন।
তিনি সাদা কাপড়ের এক পোশাকে অনন্য হয়ে উঠেছিলেন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ কর্তৃক ইরাকি হামলার প্রতিবাদে তিনি সেই যে পাশ্চাত্যের পোশাক ছেড়েছেন, আর গ্রহণ করেননি। একজন মহান ব্যক্তিত্ব হিসেবে আমি আকৃষ্ট ছিলাম তার প্রতি। তিনি বিশ^াসী মানুষ ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগরে তাই তাকে টেনে নিতাম কারণে অথবা অকারণে। এভাবেই গড়ে উঠেছিল অন্তরঙ্গতা। তিনি আমার বাসায় গেছেন। পরিবারের সবার সাথে মিশেছেন একান্ত হয়ে। সাদা পোশাকে চলতেন বলে অনেকেই তাকে গান্ধিবাদী ভাবতেন। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় মজা করে আমি তাকে বলতাম, বাংলাদেশের কেজরিওয়াল। তিনি হাসতেন। তিনি কখনোই অন্যায়ের সাথে আপস করেননি। নির্মম সত্যকে কিভাবে কত কুশলতার সাথে শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করা যায়Ñ সেটি তিনি তার লেখা দ্বারা প্রমাণ করেছেন। মৃত্যুর আগে সর্বশেষ যে লেখাটি প্রথম আলোতে ছাপা হয় সেখানে তিনি কঠোর অথচ তির্যক ভাষায় জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেয়ার চেষ্টার তীব্র সমালোচনা করেন। সরকার বা কারো সাথে ঝগড়া করার মানসিকতা পোষণ করতেন না তিনি। যেটি ন্যায্য মনে করতেন বা সহায়তা দেয়া জাতীয় স্বার্থে সম্পূরক মনে করতেন সেখানে সরকারের সহযোগিতাও তিনি করেছেন। তবে লোভ-লালসা, অন্যায়-অনিয়ম তাকে স্পর্শ করেছে এরকম উদাহরণ তার শত্রুও দিতে পারবে না। আমি অবাক হয়ে শুনতাম যে, তিনি নয়া দিগন্তে প্রকাশিত আমার লেখাগুলো পড়েন। আমার মতো নগণ্য একজন কলামিস্টকে জাতে তুলবার ব্যর্থ চেষ্টাও তিনি করেছেন। তার মৃত্যুতে মনে হয় যেন জাতি একজন নির্মোহ ও নিরপেক্ষ অভিভাবককে হারিয়েছে।
এরপর না ফেরার দেশে চলে গেলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। তিনি ছিলেন সাবেক ব্যাংকার ও শিশু-কিশোর সংগঠক। মূলত ব্যাংকার হিসেবেই তার জীবন শুরু। কৃষি, অগ্রণী, সোনালী ও পূবালী ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মাঝে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং সবশেষে কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন-পিকেএসএফের প্রথম মহাব্যবস্থাপক ছিলেন তিনি। তিনিও করোনার অভিঘাতে অবশেষে মৃত্যুবরণ করেন। তার খ্যাতি ছিল সত্য বলার। ২০১০ সালে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পর তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সরকার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত ক্ষমতাসীনদের রোষানলে পড়েন তিনি। তার প্রতিবেদন প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছিলেন। গত এক দশকে ব্যাংক খাতের বিশৃঙ্খলা, অবাধ লুটপাট এবং ঋণ খেলাপিদের প্রতি সরকারি আনুকূল্যের প্রবল সমালোচক ছিলেন তিনি। তিনি যখন বড় বড় দায়িত্বে ছিলেন তখনো ব্যাংক খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি না লুকিয়ে বরং প্রচার করাকে যথার্থ মনে করতেন। তিনি অকপটে দেশে মাফিয়া চক্রের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতার কথা বলতেন। অর্থনীতিবিদ ও সাংবাদিক শওকত হোসেন তার মৃত্যুকে দেখেছেন সত্য কথা বলার একজন সাহসী মানুষের বিদায় হিসেবে।
এসব জাতীয় ব্যক্তিত্বের মৃত্যুর পর বরিশাল থেকে খবর আসে আর একজন অসাধারণ শিক্ষাবিদের মৃত্যুর। তিনি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হানিফ। বরিশাল অঞ্চলে উত্তর থেকে দক্ষিণ বা দক্ষিণ থেকে উত্তরে ‘হানিফ স্যার’ ছিলেন সবার কাছে পরিচিত একজন মহান ব্যক্তিত্ব। আমার বিগত ৫০ বছরের জীবন অভিজ্ঞতায় এমন শিক্ষক পিতৃপুরুষ আর দেখিনি। তার পায়ের নখ থেকে চুল পর্যন্ত তিনি ছিলেন শিক্ষক। প্রবাদতুল্য ছিল তার কর্মময় জীবন। তিনি বিএম কলেজকে সমৃদ্ধির শীর্ষে স্থাপনের প্রয়াস পান। সৈয়দ হাতেম আলী কলেজকে তিলে তিলে গড়ে তোলেন। অমৃতলাল দে কলেজের মতো আরো অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। ক্লাস নিতেন চমৎকার ভাষায়। নিষ্ঠা ও জ্ঞানের গভীরতার ব্যাপ্তি ছিল তাতে। নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য তেমন কোনো সময় ও যতœ নিয়েছিলেন বলে অন্তত আমার কাছে প্রমাণ নেই। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয় করেছেন সৃষ্টির নেশায়। অসম্ভব যতœ ও সতর্কতায় প্রতিষ্ঠানগুলো লালন করেছিলেন। কেউ যদি তার সযতেœ শোভিত দেয়ালে কিছু লিখত, হৃদয়ে আঁচড় পড়ত যেন তার। ১৯৭০ সাল থেকে তার পিতৃতুল্য স্নেহ ও মমত্ব আমার জীবনকে করেছে মহিমান্বিত। এরকম উদাহরণ অনেক, অজস্র। বাংলাদেশের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে রয়েছে তার একান্ত লালিত সন্তানসম শিক্ষার্থীরা। ৯২ বছর বয়সে ২ মার্চ ২০২১ রাতে তিনি যখন শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন তখন তার ছাত্ররা শোকাভিভূত হয়ে পড়ে। বিএম কলেজের ময়দানে স্মরণকালের বৃহত্তম জানাজা প্রমাণ করে যে তিনি বরিশালবাসীর হৃদয়ের মণিকোঠায় কতটা স্থান দখল করে নিয়েছিলেন।
রাজনৈতিকভাবে আজীবন তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের সমর্থক। সাম্প্রতিককালে বরিশাল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন নির্বাচনে নাগরিক কমিটি নামে আওয়ামী লীগের বিজয়কে নিশ্চিত করেছিলেন। অবাক বিস্ময়, এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভুলেও বিরোধীদের প্রতি তির্যকভাবে তাকাননি তিনি। তার কাছে দল, মত, বিশ^াস ও ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ছিল সমাদৃত। বরিশালের ‘বিমলাধামে’ জীবন কাটিয়েছেন তিনি। আমার জানা মতে বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন সময়ে তাকে উচ্চপদে আসীন করতে চেয়েছে। কিন্তু বরিশাল প্রেমিক এ মানুষটি সেই সীমারেখা অতিক্রম করেননি। আমাকে গল্পচ্ছলে বলেছিলেন, ষাটের দশকে মর্যাদাপূর্ণ ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ তিনি গ্রহণ করেননি। বিমলাধাম অথবা বরিশালের অব্যক্ত টানে তিনি জ্ঞানের বসতি গড়েছেন কীতর্নখোলার তীরে তীরে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হিসেবে তিনি বিশ^বিদ্যালয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেন। অথচ সেটি ছিল তার রাজনৈতিক বৈরী সময়। ভিসি তাকে মনোনীত করায় সমালোচিত হন সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা। তার জীবন ও কর্ম সবার জন্য একটি মহান দৃষ্টান্ত হিসেবে বিরাজ করবে অনেককাল।
জীবন ও মৃত্যু একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানুষ যায়, মানুষ আসেÑ কে তার খবর রাখে? আমরা উপরে যে ক’জন মহান ব্যক্তিত্বের কথা আলোচনা করলাম তারা ছিলেন অসাধারণ মানুষ। তাদের কর্ম ও জীবন আদর্শ দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্র আলোকিত হয়েছে। এই দেশের ঘনঘোর অন্ধকারকে অতিক্রম করতে চেয়েছেন তারা। যে যে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন তারা সে পেশাকে মহিমান্বিত করেছেন। তাদের সততা, সাহস ও কর্তব্য নিষ্ঠা ছিল প্রশ্নাতীত। মানুষকে ভালো বেসেছিলেন তারা। হয়তো এ জন্যই কবিগুরুর উচ্চারণ ‘মরিতে চাহিনা আমি এ সুন্দর ভুবনে। মানবের তরে শুধু বাঁচিবারে চাই।’ প্রচলিত প্রবাদে মানুষের প্রত্যাশা, ‘যে দিন প্রথম তুমি এসেছিলে ভবে/কেঁদে ছিলে তুমি আর হেসে ছিল সবে/এমন জীবন তুমি করিবে গঠন/মরিলে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন!!’ হ
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল