২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্মরণ : হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী

-

হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে ৮ সেপ্টেম্বর ১৮৯২ সালে। তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। পিতা স্যার জাহেদ সোহ্রাওয়ার্দী (কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি) ও মাতা খোজেস্তা বানু। সোহরাওয়ার্দী কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে অনার্সসহ বিজ্ঞানে স্নাতক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে এমএ (১৯১৩), অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সসহ বিএসসি, বিসিএল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও ইংরেজিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। গ্রেস ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে ১৯১৮ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসায় যোগ দেন। স্যার আবদুর রহিমের কন্যা নিয়াজ ফাতেমার সাথে বিয়ে হয় ১৯২০ সালে। বিয়ের তিন বছর পর নিয়াজ ফাতেমা মারা যান। ১৯৪০ সালে ভেরা টিসিস্কো নামে এক রুশ মহিলাকে বিয়ে করেন।
১৯৪৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। আলী ভ্রাতৃদ্বয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত খেলাফত আন্দোলনে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ১৯২০ সালে। খিদিরপুর শিল্প এলাকা থেকে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত। হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সাথে ‘বেঙ্গল প্যাক্ট’ নামে এক ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদন। ১৯২৪ সালে কলকাতা করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত। ১৯২৭ সালে তার নেতৃত্বে ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশন গঠিত। ১৯৩৭ সালে দু’টি আসন থেকে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হন। একই বছর এপ্রিল মাসে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে গঠিত মুসলিম লীগ-কৃষক প্রজা পার্টির বঙ্গীয় কোয়ালিশন সরকারের বাণিজ্য ও শ্রম দফতরের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। খাজা নাজিমুদ্দীনের নেতৃত্বে গঠিত লীগ মন্ত্রিসভার খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের মন্ত্রী হন। ১৯৫৪ সালের ২০ ডিসেম্বর মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের আইনমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
১৯৫৫ সালে পূর্ববঙ্গ পরিষদের সদস্যদের ভোটে পাকিস্তান দ্বিতীয় গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত। ১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বরে তার নেতৃত্বে কেন্দ্রে আওয়ামী-রিপাবলিকান পার্টির কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠিত। পার্লামেন্টে যুক্ত নির্বাচন বিল পাস তার সরকারে প্রধান কীর্তি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক স্থাপন। জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক সরকার তার ওপর এবডো আইন প্রয়োগ করে তাকে কোনো নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানের প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করে। পার্লামেন্টারি গণতন্ত্রের প্রতি গভীর আস্থাশীল একজন প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত রাজনীতিবিদ। ব্রিটিশ শাসনামলে অবিভক্ত বঙ্গে মুসলমানসমাজের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন। সুধীসমাজে তিনি ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত। মৃত্যু বৈরুত, ৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৩।


আরো সংবাদ



premium cement
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারি, মাঠ ছেড়ে উঠে গেল সাদা-কালোরা কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল