২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইবির লক্ষ্য অর্জন কত দূর?

-

প্রচলিত শিক্ষার সাথে ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ের লক্ষ্যে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ছিল এ দেশের মানুষের দীর্ঘ দিনের। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের মধ্যবর্তী শান্তিডাঙ্গা দুলালপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মরহুম জিয়াউর রহমান। তিনি বলেছিলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশ নয়; বরং সারা মুসলিম জাহানের নেতৃত্ব দেবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা প্রাচ্যের দেশগুলো মধ্যে উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রয়াস। সাধারণ শিক্ষার সাথে ইসলামী ভাবধারার পরিচয় ঘটিয়ে সব মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করে ন্যায়-নিষ্ঠ, নীতিবান, সুনাগরিক গড়ে তুলবে এ বিশ্ববিদ্যালয়।’ (ইত্তেফাক, ২৩ নভেম্বর, ১৯৭৯)। যা আজ ৪২ বছরে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পাড়ি দিয়ে দেশের উচ্চশিক্ষার অন্যতম পাদপীঠ।
বর্তমানে এর বিভাগ সংখ্যা ৩৪, ফ্যাকাল্টি আটটি, ছাত্রছাত্রী ১৪ হাজার ৪৫৪, বিদেশী শিক্ষার্থী ৩৬, শিক্ষক ৪০৪ জন, আবাসিক হলÑ ছেলেদের পাঁচটি, মেয়েদের তিনটি, ইনস্টিটিউট একটি। এক হাজার ২৫০ আসনবিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়ামসহ এক নয়নাভিরাম ক্যাম্পাস গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত কাঠামোগত উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে চলেছে; কিন্তু এ ব্যতিক্রমী বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল, তা আজ কত দূর যেতে পেরেছে সে নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
১৭৫৭ সালে পলাশীর বিপর্যয়ে উপমহাদেশে পাঁচ শ’ বছরের মুসলিম শাসনের অবসান ঘটে। ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর ভারতের মুসলমানদের শিক্ষাসহ সব ধরনের উন্নতি স্থবির হয়ে পড়ে। লাখেরাজ সম্পত্তি সরকারি হিফাজতে নেয়ায় মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী লাখেরাজ সম্পত্তিনির্ভর মসজিদ ও মাদরাসাভিত্তিক বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার মাধ্যম ও বিষয়গুলো পরিবর্তন, মিশনারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মান্তরিত হওয়ার ভয় ইত্যাদি কারণে মুসলিম শিক্ষা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। এমন বাস্তবতায় ১৭৮০ সালে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতা আলিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদরাসাটি স্থাপনের মাধ্যমে এ অঞ্চলের বঞ্চিত মুসলিমরা ফের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পান। ব্রিটিশ সরকার কলকাতা, মুম্বাই এবং মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেও তাতে মুসলিমদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিল সীমিত। এ ছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী শিক্ষা ও মুসলমানদের প্রতি অবহেলার কারণে এ অঞ্চলে তাদের উচ্চশিক্ষায় স্বতন্ত্র মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে।
১৯০৬ সালে ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লøাহর নেতৃত্বে মুসলিম লিগ গঠনের পর ভারতীয় মুসলমানরা নতুন করে রাজনৈতিক দিকদর্শন পান। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার প্রতি তাদের চেতনার উন্মেষ ঘটে। এ সময় ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় পূর্ববাংলা ও আসামের মুসলিম শিক্ষা সম্মেলন। সম্মেলনে তৎকালীন মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে মাদরাসা শিক্ষার সাথে প্রচলিত সাধারণ শিক্ষার সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে ‘মাদরাসা রিফর্ম কমিটি’ নামে একটি স্কিম গঠন করা হয়, যেখানে একটি স্বতন্ত্র মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব ছিল।
১৯১০ সালে আগস্টে প্রস্তাবিত স্কিম পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশে পেশ করা হলে সক্রিয় বিবেচনাধীন থাকে। এ দিকে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হলে এ অঞ্চলের মানুষের গণরোষ কিছুটা প্রশমিত করতে ১৯১২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। তাতে ইসলামিক স্টাডিজ নামে একটি ফ্যাকাল্টি রাখার নিশ্চয়তা দেয়া হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীদের তীব্র বিরোধিতা আর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটে।
অবশেষে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও আগের প্রস্তাব অনুযায়ী, ইসলামিক স্টাডিজ নামে স্বতন্ত্র ফ্যাকাল্টি না করে ওই নামে কলা অনুষদের অধীনে ‘অ্যারাবিক অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ’ বিভাগ খোলা হয়। বিভিন্ন কমিটির সুপারিশ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন পাকিস্তান আমলেও অব্যাহত থাকে। ১৯৫৭ সালে আতাউর রহমান খান শিক্ষা সংস্কার কমিটি, ১৯৫৮ সালে এস এম শরিফ কমিশন ‘ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার সুপারিশকে জোর সমর্থন, ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এস এম হুসাইন ‘ইসলামিক অ্যারাবিক ইউনিভার্সিটি কমিশনের’ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রদান, ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর আবদুল মোনায়েম খান ছাত্র-জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বরিশালের কাসেমাবাদে এক সমাবেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। একই বছর সুনামগঞ্জে এবং ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিলেও এসব প্রতিশ্রুতি কার্যকর হয়নি।
একাত্তরে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে মাদরাসাশিক্ষার্থী এবং রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। মওলানা ভাসানীও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার হন। ১৯৭৪ সালে তিনি টাঙ্গাইলের সন্তোষে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। অতঃপর মরহুম প্রেডিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দাবির যৌক্তিকতা অনুধাবন করে ১৯৭৬ সালের পয়লা ডিসেম্বর সরকারিভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম এ বারীকে সভাপতি করে সাত সদস্যবিশিষ্ট উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রূপরেখা প্রণয়ন করে ১৯৭৭ সালের ২০ অক্টোবর তাদের নিম্নবর্ণিত প্রতিবেদন পেশ করেÑ
১. কলা ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় সাধন করতে হবে, যাতে সমন্বিত কোর্স এক নতুন উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে এক অনন্য প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পরিগ্রহ করে।
২. যারা এ সমন্বিত কোর্সের মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের সাথে সাথে কলা ও বিজ্ঞানের আধুনিক বিশেষ বিশেষ শাখায় যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে, তারা তাদের কর্ম জীবনের বিভিন্ন উচ্চপদে আসীন হতে সক্ষম হবে। এভাবে এ দেশের বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠী বিশেষত যারা ইসলামী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত, তাদের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হবে।
৩. ইসলামী শিক্ষা ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কাজে এ বিশ্ববিদ্যালয় একটি সম্পূর্ণ একক আবাসিক শিক্ষাদানকারী পাদপীঠ হিসেবে নিয়োজিত থাকবে।
৪. এ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী শিক্ষা তথা মাদরাসা শিক্ষার পুনর্গঠন, উনয়ন ও নতুন পরিবেশের সাথে পরিচয় ঘটাতে সহায়তা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় যখন পুরোদমে চলবে তখন সেখানে কমিটির সুপারিশ অনুসারে মেডিসিন ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নির্বাচিত কিছু বিভাগ খোলা হবে, যুগের চাহিদার প্রয়োজনে ও বিশ্ববিদ্যালয় সামর্থ্য বিচার করে। কমিটি যেসব ইনস্টিটিউটের প্রস্তাব করে তা হলোÑ এক. ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল রিসার্চÑ এখানে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক এবং মাদরাসার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা থাকবে। দুই. ব্যুরো অব ট্রান্সলেশনÑ এর উদ্দেশ্য হবে অনুবাদ, সঙ্কলন, প্রকাশনার কাজ সম্পন্ন করা এবং কাক্সিক্ষত মানসম্পন্ন পাঠ্যবই প্রস্তুত করা। এ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে রেফারেন্স, লিটারেচার, বিশ্ববিদ্যালয় জার্নাল, গবেষণাসহ মূল্যবান বই অনুবাদ করার কাজ সম্পন্ন হবে। তিন. মধ্যপ্রাচ্য শিক্ষা ইনস্টিটিউটÑ এ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে মুসলিম দেশের ভাষা, অতীত ও বর্তমান অবস্থার ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ও সমাজনীতি সম্পর্কিত শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কমিটি আরো প্রস্তাব করে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ল্যাবরেটরি স্কুল-মাদরাসা স্থাপিত হবে, যেখানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের পড়াশোনার সুবন্দোবস্ত থাকবে।
১৯৭৬ সালে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে ওআইসির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সাথে জিয়াউর রহমান অংশ নেন। সম্মেলনে ওআইসি এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অর্থানুকূল্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মানের তিনটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৭৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশিষ্ট ইসলামী শিক্ষাবিদ ড. এ এন এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দিয়ে ঢাকায় একটি প্রকল্প অফিস স্থাপন করে। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে যুগান্তকারী এক অধ্যায়ের সূচনা হয়।
প্রসঙ্গত, বলা প্রয়োজন, বাংলাদেশই সর্বপ্রথম মুসলিম দেশ, যেখানে ওআইসি সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত প্রথম কার্যকর করে। ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। অতঃপর প্রকল্প পরিচালক ড. এ এন এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ ভাগ নির্মাণকাজ শেষ না হতেই ১৯৮৩ সালের ২১ জুলাই স্বৈরাচারী এরশাদের আদেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আকস্মিকভাবে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ থেকে ঢাকার অদূরে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে স্থানান্তর করা হয়। এখানে ৫০ একর জমির ওপর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের পর ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে দুটি অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগে ৩০০ জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করে।
অন্য দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরে স্থানান্তরের প্রতিবাদে ওই অঞ্চলের মানুষ তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। আন্দোলনের গতি ও প্রকৃতি দেখে সরকার ১৯৮৯ সালের ২ জানুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফের কুষ্টিয়াতে স্থানান্তর করে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি না হওয়ায় কুষ্টিয়ায় বিকল্প ব্যবস্থায় সাময়িকভাবে শিক্ষাকার্যক্রম চলে। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে ১৯৯২ সালের পয়লা নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম মূল ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ শিক্ষাকার্যক্রমের ব্যাপক উন্নতি হয়। দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঈর্ষণীয় অবস্থান সৃষ্টি করেন। ধর্মীয়, বিশেষ করে ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একচেটিয়া অবস্থান করে নিয়েছেন এখানকার শিক্ষার্থীরা।
এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা শুধু জাতীয় পর্যায়েই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দেশের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। তারপরও যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, তা আজো অর্জিত হয়নি, এ কথা বলা হয়তো অত্যুক্তি হবে না। হ
লেখক : অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

 


আরো সংবাদ



premium cement
কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু ইসরাইলের রাফা অভিযান পরিকল্পনা স্থগিত এগিয়ে নিয়ে গিয়েও জেতাতে পারলেন না ত্রিস্তান

সকল