স্মরণ: ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খাঁ
- ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:৩৬
ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালে ভারতের বিহারের তিরহুত শহরে। তিনি ছিলেন দ্বারভাঙার প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ কণ্ঠসঙ্গীতশিল্পী। পিতা ওস্তাদ আহমদ খাঁ। কৈশোর কাটে পাটনায়। পিতার কাছেই সঙ্গীতে হাতেখড়ি। দীর্ঘ আট বছর ধ্রুপদ ও খেয়াল অনুশীলন করেন। পিতার মৃত্যুর পর পিতৃব্য ওস্তাদ হায়দার বকসের কাছে সঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করেছিলেন। পিতা ও পিতৃব্যের কল্যাণে ডাগর ঘরানা বা ডাগরবাণীতে ধ্রুপদ ও খেয়ালে অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করেন। ২০ বছর বয়সে তিনি মথুরা-বৃন্দাবনের মুরসান গ্রামের চান্দ খাঁর কন্যা সাকুরান বিবির সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।
৩৫ বছর বয়সে সপরিবারে ঢাকায় আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। উপমহাদেশের বিভিন্ন সঙ্গীত জলসায় অংশ নিয়ে প্রশংসা অর্জন করেছেন। ঢাকায় উচ্চাঙ্গসঙ্গীত বিস্তারে ও বিকাশে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন এই সঙ্গীত সাধক। তিনি উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের একটি শিক্ষাকেন্দ্র ও আসর চালু করেন। ওস্তাদ মুনশী রইসউদ্দীন, দিপালী নাগ, রানী সোম, লায়লা আর্জুমান্দ বানু, ফেরদৌসী রহমান, রওশন আরা, উৎপলা সেন প্রমুখ খ্যাতনামা কণ্ঠশিল্পী তার কাছে খেয়াল শেখেন। ১৯৩১ সালে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুরিয়া রাগে খেয়াল পরিবেশন করেছেন তিনি। ঢাকা বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। সঙ্গীত শিক্ষকরূপে ছিলেন এই বেতারের সাথে দীর্ঘকাল যুক্ত। পুরিয়া মালকোশ, পুরিয়া বানেশ্রী, মুলতানিÑ এগুলোই ছিল তার প্রিয়তম রাগ।
১৯৫৫ সালে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি স্বীকৃতি সংবর্ধনা দেয় তাকে। সঙ্গীতে অবদান রাখায় তিনি বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদকে ভূষিত হন। মৃত্যু ঢাকায়, ১৯৭৯ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা