১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দৃষ্টিপাত : বাড়িভাড়া আইন প্রয়োগ প্রসঙ্গে

-

রাজধানী ঢাকায় অনেক বাড়িওয়ালার যেনতেনভাবে ভাড়া নেয়া, ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া, ভাড়া নিয়ে অনেক সময় রসিদ না দেয়া বা অশালীন আচরণ ইত্যাদি ঘটনা এখন স্বাভাবিক একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। শুধু ঢাকা নয়, কমবেশি দেশের বড় শহরগুলোতেও বাড়িওয়ালাদের একই প্রবণতা লক্ষণীয়। মূলত আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাড়িওয়ালাদের এমন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় লাগামহীন সংস্কৃতি দিন দিন মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
বাড়িওয়ালাদের এমন আচরণের কারণ, বাসা ভাড়া দেয়া ও নেয়ার ক্ষেত্রে ‘বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১’ থাকলেও তা না মানায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শুধু ভাড়াটিয়াদের। মাথা গোঁজার ঠাঁই এবং বাড়তি সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তার জন্য ভাড়াটিয়ারা মেনে নিচ্ছেন বাড়ির মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা।
আইনের ১০ নম্বর ধারায় বাসা ভাড়ার ক্ষেত্রে অগ্রিম এক মাসের ভাড়া নেয়ার কথা থাকলেও মালিকরা নিচ্ছেন কমপক্ষে তিন মাসের ভাড়া। এলাকাভেদে ছয় মাসের ভাড়াও নেয়া হচ্ছে। আইনের ১৬ নম্বর ধারায় বড় কোনো ধরনের নির্মাণকাজ বা পরিবর্তন আনা ছাড়া দুই বছরের মধ্যে মূল ভাড়া বাড়ানোর নিয়ম না থাকলেও বিগত ২০-২৫ বছরে ঢাকাতে ভাড়া বেড়েছে ২০০ শতাংশ।
এ ছাড়া ভবনে পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ সংশ্লিষ্ট রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত খরচ মালিকপক্ষের বহন করার কথা থাকলেও ভাড়াটিয়াদের ওপর চাপিয়ে দেয়ায় প্রতি মাসে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে ভাড়াটিয়াদের।
লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়া নিয়মনীতি বহির্ভূতভাবে বাড়িওয়ালাদের অত্যাচার থামার কোনো লক্ষণ নেই। সরকারের উচিত ঢাকা শহরের এ নিয়ন্ত্রণহীন বাড়িভাড়ার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করা।
বাড়িওয়ালাদের অনিয়ম, অত্যাচার বন্ধে ‘বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১’-এর যথাযথ প্রয়োগই পারে বাড়িওয়ালাদের অনিয়ম বন্ধ করতে। হ
লেখক : প্রকৌশলী
nazmulhussen@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement