১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হিরোশিমা দিবসের শিক্ষা এবং আমাদের করণীয়

-

হিরোশিমায় বোমা বর্ষণের পর নিচের ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করে যুদ্ধবিমানের কো-পাইলট রবার্ট লুইস মন্তব্য করেছিলেন ‘My God! what have we done?’ তার এই ক’টি শব্দে বর্ণিত ভয়ঙ্কর দৃশ্যাবলি আজো বিশ্বব্যপী প্রতিফলিত হচ্ছে। বিশ্বের বেশির ভাগ জনগণ ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়’। পৃথিবীর কোনো দেশের সাধারণ নাগরিকরা কখনো যুদ্ধ চায় না। তারা কোনো ধরনের সঙ্ঘাত চায় না, শান্তিই চায়। সাধারণ মানুষের সাথে যারা রাজনীতির খেলা করে, তারাই দেশের বাইরে যুদ্ধের খেলা করে। যুদ্ধের খেলা মানে চরম মানবিক বিপর্যয়, মানবজাতির চরম দুর্ভোগ ও দুর্দশা। যুদ্ধবাজদের কে দিয়েছে এই অধিকার? এ পৃথিবী কাদের? মানুষের না অমানুষদের? যারা যুদ্ধ নিয়ে খেলা করে তারা তো অমানুষ। এই পৃথিবী মানুষের জন্য, অমানুষদের জন্য নয়। মহান স্রষ্টা এ পৃথিবীতে অনেক কিছু সৃষ্টি করেছেন, সবকিছুই মানব কল্যাণে। কিন্তু এই যুদ্ধবাজরা নিজেদের সামান্য স্বার্থের কারণে এই সুন্দর পৃথিবীকে নরকে পরিণত করে। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মানব সৃষ্ট চরম নিষ্ঠুরতা গোটা পৃথিবীকে হতবাক করে দিয়েছিল, মুহূর্তের মধ্যে থমকে গিয়েছিল সারা বিশ্ব, বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ। কিন্তু যুদ্ধের নাটের গুরুদের কোনো ভাবোদয় হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান একটুও অনুতাপ করেনি এত বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ, রক্তপাত আর পরিবেশের এই বিশাল ক্ষতির জন্য। বুঝাই যাচ্ছে, তার হৃদয় বলতে কিছু ছিল না, হৃদয় থাকলেই মানবতা থাকবে। এই হৃদয়হীন মানুষেরাই যুদ্ধবাজ, তারাই গোটা পৃথিবীর অশান্তির জন্য দায়ী।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছিল ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে। ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার লোক মারা যান, নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪ হাজার লোক মারা যান। এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরো ২১ লাখ চার হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে বিভিন্ন রোগে যা বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছিল, হিরোশিমায় মোট দুই লাখ ৩৭ হাজার এবং নাগাসাকিতে এক লাখ ৩৫ হাজার লোকের মৃত্যু ঘটে। তারা প্রায় সবাই বেসামরিক লোক। বোমার তেজস্ক্রিয়তা এবং বিষাক্ততা আজো সেখানকার মানুষ বয়ে বেড়াচ্ছে। কতবড় নারকীয় ঘটনা যে, ৬৭-৬৮ বছর পরও তার বিষ মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতি করে চলছে। সুন্দর পৃথিবীকে যারা বীভৎস বানিয়েছে এবং বানানোর পাঁয়তারা করছে এখনো, তারাই মানবতার শত্রু। এই শত্রুরাই বাধিয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৮ সালের ২৮ জুন বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফার্ডিনান্ড সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হলে অস্ট্রিয়া সার্বিয়াকে দায়ী করে এবং হত্যাকাণ্ডের এক মাস পরেই অর্থাৎ ২৮ জুলাই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তাদের সাথে যুক্ত হয় দুই দেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো এবং দুই পক্ষে শুরু হয় যুদ্ধ। অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, তুরস্ক ও জার্মানিকে নিয়ে কেন্দ্রীয় শক্তি এবং সার্বিয়া, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, জাপান, ইটালি ও আমেরিকাকে নিয়ে গড়ে ওঠে মিত্র শক্তি। এ যুদ্ধে জার্মানির নেতৃত্বাধীন বাহিনী পরাজিত হয়। ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত চলে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ যা বিশ্বের ইতিহাসে ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধ’ নামে পরিচিত। অবশেষে ১৯১৯ সালের ১০ জানুয়ারি ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয় এই যুদ্ধ। দীর্ঘস্থায়ী এই যুদ্ধে ৮৫ লাখ লোক নিহত হয় এবং দুই কোটি দশ লাখ লোক মারাত্মকভাবে আহত হয়। প্রকৃতি আমাদের কেন ক্ষমা করবে আমরা যখন এভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠি? বর্তমানের করোনা পরিস্থিতি মানবতাকে জাগ্রত করার একটা কৌশল হতে পারে প্রকৃতির।
প্রথম বিশ^যুদ্ধ শেষ হওয়ার বিশ বছর পর ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে বসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরাজয় ও অপমানের প্রতিশোধ নিতে। শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এ যুদ্ধে জাপান জার্মানির পক্ষে অবস্থান নেয়। জার্মানি, জাপান, ইটালি, রোমানিয়া ও বুলগেরিয়াকে নিয়ে গড়ে ওঠে অক্ষশক্তি। অপর দিকে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, নরওয়ে ডেনমার্ককে নিয়ে গড়ে ওঠে মিত্রশক্তি। টানা ছয় বছরের যুদ্ধে জাপান, জার্মানি, ইটালির নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তি পরাজিত হয়। কিন্তু জাপান আত্মসমর্পণ করতে বিলম্ব করায় জাপানকে ‘সমুচিত’ শিক্ষা দেয়ার জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনার জন্ম দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা। মার্কিন বোমারু বিমান বি-টুয়েন্টি নাইন ইনোলা গে ‘লিটল বয়’ নামে একটি পারমাণবিক বোমা হিরোশিমার ওপর বর্ষণ করে ১৯৪৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে। হিরোশিমা শহর থেকে ৫০০ মিটার উপরে সেটি বিস্ফোরিত হলে মুহূর্তের মধ্যে শহরটির প্রায় ষাট শতাংশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়, সাথে সাথে নিহত হয় ৭৫ হাজার মানুষ, পরে আরো অনেকে মৃত্যুর মিছিলে শামিল হয়। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে তিনিয়ন দ্বীপ থেকে বি-টুয়েন্টি নামে একটি বিমান দ্বিতীয় বোমাটি নিয়ে নাগাসাকির উদ্দেশে রওনা হয়। এ বোমাটির নাম দেয় হয়েছিল ‘ফ্যাটম্যান’। বোমাটি ছিল গোলাকার প্লুটোনাম ক্ষেপণাস্ত্র যা লম্বায় ছিল ৪ মিটার এবং বাস ছিল ২ মিটার। নাগাসাকি শহরে ৯ আগস্ট রাতে ঘুমন্ত মানুষদের ওপর নিক্ষেপ করা হয় এই অভিশপ্ত বোমা; মাটি থেকে ৫০০ মিটার ওপরে। নিমেষে ঝরে যায় প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার প্রাণ। বোমার তেজস্ক্রিয়তায় শিশুদের মাথার চুল পর্যন্ত উঠে যায়। শিশুরা খাওযার শক্তি হারিয়ে ফেলে। আর বোমার আঘাতে আহতরা দীর্ঘ দিন কষ্টে ভুগতে ভুগতে একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দেড় লাখে পৌঁছেছিল।
হিরোশিমায় বোমা বিস্ফোরণের স্থানটি ছিল বাণিজ্যিক ও অফিস আদালতের স্থান। বিস্ফোরণের সাথে সাথে ৫০০ মিটার বৃত্তের মাঝে সুরম্য অট্টালিকাগুলো চোখের পলকে নেতিয়ে পড়ে। পাঁচ বর্গমাইল এলাকা ছাই ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বিস্ফোরণের সময় নগরীতে লোকসংখ্যা ছিল তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার। মার্কিন একটি গবেষণায় দেখানো হয় যে, ১৫-২০ শতাংশ বিকিরণ অসুস্থতা, ২০-৩০ শতাংশ ফ্লাশ পোড়া ও অন্যান্য আঘাত থেকে, ৫০-৬০ শতাংশ অসুস্থতা দ্বারা মারা গেছে। হিরোশিমা-নাগাসাকি দিবস উপলক্ষে আমাদের প্রত্যাশা গোটা পৃথিবী থেকে পারমাণবিক বোমা নির্বাসিত করা হোক, নিশ্চিত হোক অস্ত্রের ঝনঝনানিমুক্ত নির্মল পৃথিবী। বোমার তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে হিরোশিমা আর নাগাসাকির মতো, মানুষকে যেন মৃত, পঙ্গু ও বিকলাঙ্গ হতে না হয়। কিন্তু কে করবে এই কাজটি? শক্তি ও ক্ষমতা সব দেশে এবং গোটা পৃথিবীতে কুক্ষিগত থাকে শুধু রাজনীতিবিদ, অসৎ ও অসাধু মানুষদের হাতে। তারাই দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে ঘটিয়ে চলে দ্বন্দ্ব, সঙ্ঘাত, যুদ্ধ এবং মানবকল্যাণ বিমুখী যত কাজ-কারবার। তাই, আমাদের শিশুদের ও শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে কিভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয়, স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসতে হয়, দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাতের অশুভ পরিণামের কথা শিশুদেরকে পরিবারে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখাতে হবে। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের কল্যাণ করা, বিশ্বের কল্যাণ সাধন করা, মানুষকে প্রকৃত অর্থে ভালোবাসা, প্রকৃতিতে ভালোবাসা। এই শিক্ষা যেন আমরা সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব শিক্ষার্থীদের দিতে পারি সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
১৯৪৯ সালে হিরোশিমা শান্তি স্মৃতি পার্ক নির্মাণ করা হয়, হিরোশিমা প্রিফেকচারাল শিল্প উন্নয়ন হলো, পরমাণু অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়, হিরোশিমা শান্তি স্মৃতি জাদুঘর ১৯৫৫ সালে নির্মাণ করা হয়। ১৯৪৯ সালে জাপানি পার্লামেন্ট দ্বারা হিরোশিমাকে ‘শান্তি শহর’ ঘোষণা করা হয়। জাপানের নাগাসাকি শহরে স্থানীয় সময় রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বোমাবর্ষণ করা হয়। তখন সবাই গভীর ঘুমে বিভোর। সেই ঘুম থেকে অনেকেই চিরনিদ্রায় চলে গেছে। প্রতি বছর যখনই ৬ ও ৯ আগস্ট ফিরে আসে জাপানিরা স্মরণ করে মার্কিনের সেই নির্মমতার কথা, তারা কোনো দিন ভুলতে পারবে না এই নিষ্ঠুরতার কথা। ৬৭ বছর পরও তারা বোমার তেজস্ক্রিয়তার ধকল বয়ে চলেছে। এই ধরনের ঘটনা যেন পৃথিবীর ইতিহাসে আর না ঘটে সে জন্য সব বিবেকবান, শান্তিপ্রিয় ও সুশিক্ষিত মানুষকে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ অমানুষরা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার জন্যই প্রস্তুত থাকে, তারা এই মাদকতায় আসক্ত। ‘নিউক্লিয়াস ক্লাবে’র সর্বাধিনায়ক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তার বাসনা ও কামনা হচ্ছে, বিশ্বে সে ছাড়া আর কেউ যাতে নিউক্লিয়ার বোমার অধিকারী হতে না পারে। ‘ইরাকের কাছে নিউক্লিয়ার বোমা তৈরির সরঞ্জাম আছে’ এই অজুহাতে ইরাকে প্রবেশ করে শুধু দেশটি নয় গোটা মধ্যপ্রাচ্যে গুলিয়ে দিয়েছে তাদের সব হিসাব-নিকাশ। বিশ^বাসীকে তার ধকল সইতে হবে আরো কয়েক যুগ।
যুদ্ধ ধ্বংসযজ্ঞের পাহাড় গড়ে তোলে, হানাহানির তীব্রতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়, মানুষ হারিয়ে ফেলে মানবতা। বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ নিরাপদে জীবনযাপন করতে চায়। আণবিক বোমা মানবজাতির জন্য অভিশাপ। এ বোমার ভয়াবহতা বর্ণনাতীত। এই বোমা আর যাতে পৃথিবীতে বিস্ফোরিত না হয় সে জন্য বহু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিশ্বের সব দেশের আণবিক শক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আইএইএÑ যার গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আছে পরমাণু শক্তিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজে লাগাতে হবে, অস্ত্র তৈরির কাজে নয়। আইএইএ’র চুক্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে সব পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রকে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও আলবেনিয়া পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হয়েও তারা ধ্বংস করে দেয় তাদের পারমাণবিক স্থাপনা। তাদের মতো ইতিহাস সৃষ্টি করে মানবতাকে রক্ষা করতে হবে আণবিক শক্তির অধিকারী দেশগুলোকে। আজো বিশ্বের লাখো কোটি শিশু অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটায়, না খেয়ে ঘুমাতে যায়, বিনা চিকিৎসায় মারা যায় আর যুদ্ধবাজরা কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে সামরিক খাতে, অস্ত্র ও যুদ্ধবিমান ক্রয় খাতে। উদ্দেশ্য, নিজেদের প্রভুত্ব বজায় রাখা লক্ষ-কোটি নিরীহ মানুষের জীবন সংহারের মাধ্যমে। আসুন, এগুলো নির্বাসনে দিয়ে বিশ্বের লক্ষ কোটি নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দিই, অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাই, দুস্থদের পাশে দাঁড়াই চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে, ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিই সব অসহায় মানুষের দিকে।
লেখক : শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, ব্র্যাক শিক্ষা
কর্মসূচিতে কর্মরত ভাইস প্রেসিডেন্ট
masumbillah65@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সিরিয়ায় আইএস-এর হামলায় সরকার সমর্থক ২০ সেনা সদস্য নিহত ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু জনসমর্থনহীন সরকার জনগণের আওয়াজ নির্মমভাবে দমন করে : রিজভী

সকল