২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘনবসতিপূর্ণ বস্তিতে করোনার কী খবর?

অন্য দৃষ্টি
-

করোনার ব্যাপারে সঠিক চিন্তাভাবনার অভাব আমরা লক্ষ করছি। ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব কেমন, এ ব্যাপারে আমাদের স্বচ্ছ ধারণা নেই। গতানুগতিক চিন্তাভাবনা করোনা ও এর ফলে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ইউরোপের মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে না। এমনকি দারিদ্র্যরেখার কাছেও তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা নেই। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালির মতো দেশে গড়ে প্রতি সাতজন আক্রান্ত হওয়া একজন কোভিড রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এখন মাইনাসে রয়েছে। জনসংখ্যার নিম্নমুখী যাত্রা দেশগুলোকে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এর সাথে করোনার উচ্চ প্রাণহানি তাদের আরো উদ্বিগ্ন করছে। এসব ধনী দেশের করোনা ভাবনা এবং এর মোকাবেলা আমাদের দেশের চেয়ে ভিন্ন।
আমাদের দেশে প্রতি ৭৮ জন কোভিড রোগীর একজন প্রাণ হারাচ্ছেন। এই হিসাব পাওয়া যাচ্ছে সরকারের দেয়া তথ্য থেকে। আর সরকার প্রদত্ত তথ্যের ওপর এ দেশে মানুষের বিশ্বাস সামান্য। প্রকৃত হিসাব কারো জানা নেই। গত রোববার ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন থেকে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ধারণা পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনটি রাজধানীর বস্তিবাসীর ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। কোনো জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি রচনা করা না হলেও প্রতিবেদনটি আমাদের দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ে ‘অনেক কিছু বলে দিচ্ছে’। এর সাথে বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসের কোনো মিল পাওয়া যায় না।
ওই প্রতিবেদনের শুরুতে আমাদের সেই পূর্ব ধারণার ব্যাপারে মন্তব্য করা হয়েছে। তাদের মন্তব্য হলোÑ আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঢাকা শহরের ২০টি বস্তি ‘করোনার কেন্দ্র’ হয়ে উঠবে। কারণ ঘনবসতির পাশাপাশি বস্তির অনেক লোক একই রান্নাঘর, টয়লেট, পানির উৎস ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে থাকে। এর সাথে রয়েছে এক রুমে পুরো পরিবারের বসবাস, খোলা পয়ঃনিষ্কাশন, অনিষ্কাশিত খোলা আবর্জনা। রয়েছে এসব বস্তিবাসী জনগণের আর্থিক অনটন। তাই করোনা বিস্তারের হটস্পট হবে এগুলো। পত্রিকাটি লিখেছে, চার মাস পরে দেখা যাচ্ছে, করোনাভাইরাসে বস্তিগুলো ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার কিংবা কোনো বেসরকারি সংস্থা এসব বস্তির করোনার চিত্র নিয়ে কোনো জরিপ চালায়নি। প্রতিবেদক রাজধানীর প্রধান বস্তিগুলো ঘুরেছেন। সেখানকার মানুষের সাথে কথা বলেছেন। জনপ্রতিনিধি ও স্বাস্থ্যসেবা দানকারী এনজিওকর্মীদের সাথেও কথা বলেছেন। প্রতিবেদনে তিনি অনেক উদাহরণ তুলে ধরেছেন। একটি কেসও এমন উল্লেখ পাননি যে করোনায় সংক্রমিত হয়ে কেউ শ্বাসকষ্টে ভুগছেন কিংবা গুরুতর লক্ষণ তাদের অনেকের মধ্যে রয়েছে।
ডেইলি স্টার এটিকে সংশ্লিষ্ট দিনের প্রধান খবর করেছে। এর শিরোনাম, ‘ঢাকার বস্তি যেখানে কোভিড রহস্যজনকভাবে নীরব’। ব্যাপারটিকে আমরা আশ্চর্যজনক মনে করছি আমাদের ‘পূর্ব ধারণা’ থেকে। আমাদের কাছে মেইন স্ট্রিম মিডিয়া ও বিশেষজ্ঞরা যে খবর পাঠাচ্ছেন সে অনুযাযী এটি রহস্য। প্রকৃতপক্ষে করোনাকে আমরা যদি অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখতে পেতাম এর নানা মাত্রিক বৈশিষ্ট্যকে আগে শনাক্ত করতে পারতাম। আমরা সাধারণত ঘটে যাওয়া ঘটনা দিয়ে এর আসন্ন ফলাফল কী হতে পারে তা নির্ধারণ করি। বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে তা সঠিক হয় না। এর পরও বিভিন্ন বিপরীতমুখী ঘটনার যোগফল তৈরি করে তাকে ভাগ করে ‘গড়’ নির্ণয় করি। ফলে সব সময় আমরা ঘটনার প্রকৃত তাৎপর্য অনুমান করতে ব্যর্থ হই। কোভিড-১৯ মোকাবেলার ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে।
করোনার আগমনের শুরু থেকে কিছু বিশেষজ্ঞ ‘অন্য ধরনের’ কথাও বলেছেন। সেসব কথাকে আমরা সাইড লাইনে রেখেছি। কারণ এসব কথার কোনো গুরুত্ব আমাদের কাছে ছিল না। এই দেশে করোনা প্রকৃতপক্ষে বড় কিছু ঘটায়নি। সরকারের দেখানো হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন করে মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে। এদের আমরা যতই বলিÑ করোনায় মারা গেছে, কিন্তু এটি প্রকৃত ঘটনার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনেনি। বাংলাদেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বসবাস। এ দেশে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। করোনা আমাদের সাধারণ মৃত্যুহারে কোনো পরিবর্তন আনেনি। কিন্তু এটি মানুষের মধ্যে ব্যাপক ভীতি ছড়িয়ে দিয়েছে। ভীতির কারণে মানুষের অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে। করোনা মোকাবেলার নামে এলোমেলো বিশৃঙ্খল কিছু পদক্ষেপ দরিদ্র বাংলাদেশে আরেক ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনছে।
বস্তিবাসীর করোনা চিত্র নিয়ে প্রতিবেদন রচনা করতে গিয়ে জানা গেল, এসব মানুষ করোনাকে ভয় পায় না। করোনা থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য তারা সামান্য মাস্কও ব্যবহার করে না। তবে তারা ভীত নিয়মিত নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য জোগাড় করতে পারবে কি না সে ব্যাপারে। ক্ষুধার জ্বালা তাদের জানা আছে, এর কষ্টও তারা অনুভব করতে পারে। কিন্তু করোনা তাদের পরিচিত কিছু নয়। তবে এ থেকে ছড়ানো ভীতি ও এলোমেলো পদক্ষেপে তাদের জীবিকা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
আসন্ন বিপদকে মোকাবেলা করতে হলে করোনার ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা লাভ করা দরকার। যেহেতু রোগটির অভিঘাত আমাদের ওপর ইউরোপ ও আমেরিকার মতো প্রাণঘাতী হয়নি, এটিকে আমাদের সেভাবে দেখতে হবে। বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির সাথে মিল রয়েছে ভারতের। দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লির নাগরিকদের ওপর করোনা নিয়ে একটি জরিপ করা হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং দিল্লি রাজ্যসরকার যৌথভাবে এ জরিপ চালায়। এর লক্ষ্য ছিল যাতে পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন করা যায়। জরিপের এমন একটি ফলাফল পাওয়া গেল; কেউ জন্য প্রস্তুত ছিল না। কেউ ধারণাও করতে পারেনি, এমন কিছু একটা পাওয়া যাবে। করোনা পরিস্থিতি বুঝতে আমাদের জন্য এটি সহায়ক হতে পারে।
করোনার প্রকোপের দিক দিয়ে ভারত বিশ্বে এখন তৃতীয়। সে দেশে ১৫ লাখ মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছে, মারা গেছে ৩৫ হাজার মানুষ। তবে করোনায় ইউরোপ-আমেরিকায় যেমন মড়ক লেগেছে, তেমন ভয়াবহ অবস্থা সে দেশে নেই। দিল্লির ওই জরিপ এ রহস্য উন্মোচন করছে। ওই জরিপে ২৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ মানুষের দেহে করোনার অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা গেছে। বিশেষ ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেহে গড়ে ওঠার অর্থ হচ্ছেÑ তাদের দেহে করোনা সংক্রমণ ঘটেছিল। এই জরিপ চালানো হয়েছিল ২১ হাজার ৩৮৭ জনের ওপর। দিল্লির জনসংখ্যা দুই কোটি। জরিপের জন্য যে নমুনা নেয়া হয়েছে, তাকে কম বলা যায় না। সাধারণ একটি জরিপের ফলাফল সঠিকতার কাছাকাছি থাকার জন্য আরো কম নমুনা নিলেও নির্ভরযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়।
দিল্লির বর্তমান করোনা পরিস্থিতির সাথে জরিপের ফলাফল মেলালে বিস্ময় জাগে। ল্যাবরেটরি টেস্টে সেখানে মাত্র সোয়া লাখ লোক করোনা দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে। কিন্তু জরিপের ফলাফল বলছেÑ দিল্লিতে এখন কমপক্ষে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ রয়েছে। অ্যান্টিবড়ি যেহেতু জন্মেছে সে জন্য তাদের কারো কারো মধ্যে যদি রোগের সামান্য লক্ষণ প্রকাশও পায়; তা সেরে যাবে আশা করা যায়। দিল্লিতে শনাক্ত হওয়া কোভিড আক্রান্তের চেয়ে প্রকৃত কোভিড আক্রান্তের সংখ্য ৩৭ গুণ বেশি। করোনা নিয়ে মূল ধারার প্রচারণা ও খবরের ভিত্তি জরিপের এমন ফলাফল দুর্বল করে দেয়। করোনা থেকে বাঁচার জন্য যেসব উপায়-উপকরণ ও ফর্মুলার কথা জোরেশোরে প্রচার করা হচ্ছে, তার বাস্তবতাও দুর্বল হয়ে যায়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ উপমহাদেশে একই ধরনের অ্যান্টিবডি টেস্ট চালানো হলে নিশ্চিত করে বলা যায়, এমন বিস্ময়কর ফলাফল পাওয়া যাবে। ডেইলি স্টারের রিপোর্টটিও একই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ কথাটি কয়েকজন বিশেষজ্ঞ শুরু থেকেই বলে আসছেন।
নিউ ইয়র্ক সিটির রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারীতত্ত্ব ও গবেষণা ডিজাইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নট উইটকোভস্কি বলেছেন, করোনা সংক্রমণ একটি রকেট ছোড়ার মতো ব্যাপার। প্রথমে সেটি উপরের দিকে উঠবে। তার পর নিচের দিকে নেমে আসবে। একসময় মাটিতে পড়ে বিস্ফোরিত হয়ে শেষ হয়ে যাবে।’ তার মতে, নভেল করোনাকে সাহসের সাথে মোকাবেলা করা উচিত।’ করোনা মহামারীর শুরুতে তিনি এসব কথা বলেছিলেন। এর আগের একটি লেখায় আমরা তা উল্লেখ করেছিলাম।
উইটকোভস্কির মতে, ৮০ শতাংশ মানুষকে ভাইরাসটির সংস্পর্শে আসতে দেয়া উচিত। এতে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। তিনি আরো বলেন, এ ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষেরই ‘কোনো কিছু হয় না’। বিশেষ করে শিশুদের এই ভাইরাস কিছুই করতে পারে না। তার মতে, বক্ররেখাটি সোজা করার কারণে করোনাকাল দীর্ঘায়িত হচ্ছে। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মে আমরা যদি করোনাকে ছড়িয়ে পড়তে দেই, তা হলে সেই বক্ররেখাটি নির্ধারিত সময়ে পতিত হবে। আর করোনাকাল সংক্ষিপ্ত হবে।’ ঢাকার শহরের বস্তির চিত্র এ কথাই বলছে। অথচ আমরা নিজেরাই করোনাকে কঠিন করে মোকাবেলা পথ বেছে নিয়েছে। আমাদের এমন পদক্ষেপ প্রকৃতপক্ষে কোনো কাজে আসেনি।
সুইডেনের করোনা চিত্র আমাদের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে। মহামারীর শুরু থেকে দেশটি লকডাউনের মতো কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে জাতীয় কর্মকাণ্ড স্থবির করে দেয়নি। তারা তাদের কৌশলটিকে বলেছিল, দলীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা অর্জন। সুইডিশ জনস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এপিডেমিওলজিস্ট এন্ডারস তেজনেল শুরুতে পূর্বাভাস দিয়েছিলেনÑ রাজধানী স্টকহোম অচিরেই ‘দলীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা’ অর্জন করবে। স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গণিতবিদ হিসেবে করে দেখিয়েছিলেন, ৪০ শতাংশ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হলে ভাইরাসটির সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যাবে। এ সময়ে এসে বলতে হচ্ছে, প্রচলিত ধারার বিপরীতে তাদের এমন দুঃসাহসী পদক্ষেপ অনেকটাই সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। অথচ ইউরোপের অনেক বিশেষজ্ঞ সে সময় মন্তব্য করেছিলেন মহামারী নিয়ন্ত্রণে সুইডেনের পদক্ষেপ অপরিণামদর্শী এবং তা ভয়াবহ পরিণাম বয়ে আনবে।
ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশ সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে করোনা মহামারী ঠেকাতে চেষ্টা করেছে। ফলাফল দেখা গেল, যুক্তরাজ্য ও ইতালিসহ প্রায় সব দেশে তুলনামূলক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুহার দুটোই সুইডেনের চেয়ে বেশি। গত রোববার পর্যন্ত সুইডেনে করোনা সংক্রমিত হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৯৭ জন। প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ হাজার ৬৯৭ জন। অর্থাৎ সংক্রমিত প্রতি ১৪ জনে একজন প্রাণ হারিয়েছে। অন্য দিকে যুক্তরাজ্য ও ইতালিতে আক্রান্তের প্রতি সাতজনে একজন করে মারা গেছে। অর্থাৎ সুইডেনে মৃত্যুহার তাদের অর্ধেক। তুলনামূলক সংক্রমণও অনেক কম। দীর্ঘ লকডাউনে ইতালির অর্থনীতি এখন প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রায় ৮৬ হাজার কোটি ডলারের উদ্ধার পরিকল্পনা নিতে হয়েছে ‘ইউরোজোন’কে।
সব কিছু খোলা রাখা আর সব কিছু বন্ধ করে ঘরে বসে থাকার মধ্যে কোনো তফাত শেষ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। করোনা তার নিজস্ব গতিতে চলেছে। মানুষের নেয়া পদক্ষেপ তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলেনি। বিজ্ঞানী ও গবেষকরা যা বলছেন, তা যদি সত্যি হতো, তা হলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় করোনার প্রকোপ বেশি দেখা যেত। সেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষও মারা যেত। ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ বস্তিতে গণহারে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু আমরা প্রত্যক্ষ করতাম। কিন্তু বাস্তবতা এর ধারে কাছেও নেই। গণস্বাস্থ্যের বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল শুরু থেকে কিছুটা ভিন্ন কথা বলেছেন। তিনি অবশ্য লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাÑ এসবের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। কিন্তু তার কথার সারবস্তু করলে আমরা করোনাকালের প্রথম দিকে আমেরিকার বিজ্ঞানীর রেখাটিকে সমান করার চেষ্টা, সুইডেনের ঝুঁকিপূর্ণ মডেল, ঢাকার বস্তিতে করোনার নীরবতা এবং দিল্লির জরিপের মধ্যে মিল দেখতে পাই। হ
jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement