১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ম র ণ : তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া

-

আজ পয়লা জুন। প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৯ সালের ২৬ মে মানিক মিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডি যান। সেখানে ৩১ মে রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তার জন্ম ১৯১১ সালে পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়ায়। গ্র্যাজুয়েশন নেন বরিশাল বিএম কলেজ থেকে। অতঃপর পিরোজপুর আদালতে কেরানির চাকরি নেন। কিছু দিন পর বরিশাল জেলা জনসংযোগ অফিসার পদে নিয়োগ লাভ করেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর পরামর্শে পরে তাকে প্রাদেশিক মুসলিম লীগ অফিসের সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
মানিক মিয়া ১৯৪৬ সালে জননেতা সোহরাওয়ার্দীর প্রতিষ্ঠিত ও আবুল মনসুর আহমদ সম্পাদিত দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার পরিচালনা বোর্ডের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৮ সালের শেষ দিকে কাগজটি বন্ধ হয়ে গেলে কলকাতা ত্যাগ করে ঢাকা আগমন করেন। ১৯৫১ সালের ১৪ আগস্ট বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগের মুখপত্র সাপ্তাহিক ইত্তেফাকের সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৫৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর তার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ইত্তেফাক দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৬৩ সালে তিনি আন্তর্জাতিক প্রেস ইনস্টিটিউটের সেক্রেটারি এবং ১৯৫৬ সাল থেকে দুই বছরকাল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারওয়েজের (পিআইএ) পরিচালক ছিলেন।
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার ইতিহাসে অবিস্মরণীয় নাম। তিনি ছিলেন স্পষ্টভাষী, নির্ভীক ও আপসহীন। গণমানুষের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সামরিক শাসনের অবসানে মানিক মিয়ার অবদান স্মরণীয়। ছয় দফা আন্দোলনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন এবং দৈনিক ইত্তেফাকের বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে ১৯৬৬ সালের ১৬ জুন তাকে গ্রেফতার করা হয়। ইত্তেফাকের প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং এর ছাপাখানা নিউ নেশন প্রিন্টিং প্রেস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ১৯৬৭ সালের ২৯ মার্চ মানিক মিয়া মুক্তি লাভ করেন। এর আগেও তাকে ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে গ্রেফতার করা হয় রাজনৈতিক কারণে।
জনতার দাবির মুখে আইয়ুব সরকার ১৯৬৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ইত্তেফাকের প্রকাশনার ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। মানিক মিয়া আজ আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। কিন্তু সংবাদপত্রের জগতে তিনি যে ধারা সৃষ্টি করে গেছেন, সেজন্য জাতি তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। হ


আরো সংবাদ



premium cement