২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কুঋণ বৃদ্ধি ও অবলোপনের হিড়িক

-

দেশের ব্যাংকগুলো বিশেষ করে জাতীয়করণকৃত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক কর্তৃক ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণ পর্যায়ক্রমে কুঋণে পরিণত হওয়া শুরু হলে এর পরিমাণ ও হার কম দেখানোর জন্য কুঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও অবলোপন করে ‘নিয়মিত’ দেখানো এবং হিসাবের খাতা থেকে উধাও করে দেয়ার যে সব তথ্য গত ছয় মাসে বিভিন্ন বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছেÑ ২৫ শতাংশ ঋণখেলাপি হওয়ায় ব্যাংকগুলো অচিরেই বড় ধরনের ধাক্কা খেতে চলেছে এবং এটা তাদের পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব হবে না।
৩১ ডিসেম্বর ২০০৮ পর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণের পুঞ্জীভূত পরিমাণ ছিল দুই লাখ আট হাজার কোটি টাকা। তন্মধ্যে কুঋণের পরিমাণ ২২ হাজার কোটি টাকা আর অবলোপনকৃত কুঋণের পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন নতুন ব্যাংক খোলার অনুমতি দেয়া এবং জাতীয়করণকৃত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতাদের অনেককে পরিচালক এবং শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর মতো চেয়ারম্যান, সেই সাথে দলবাজ আমলাদের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হতে থাকে। দলীয় বিবেচনায় পি কে হালদারের মতো লোকদেরকে এমডি পদে নিয়োগদান করা হলো, যিনি একাই তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাচার করে দেশ ছেড়েছেন। তার মতো লোকদের এমডি/ডিএমডি, জিএম পদে পদোন্নতি ও পোস্টিং দেয়ার কারণে পরিচালনা পর্ষদের সাথে তারা মিলেমিশে এবং যাচাই-বাছাই না করে ঢালাওভাবে ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করায় ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে পুঞ্জীভূত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। তন্মধ্যে কুঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। তবে গত সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিক ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট নিয়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করা হয়েছে এবং অবলোপন করা হয়েছে ৫৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রভাবশালী ৬৭৫ জন বড় ঋণগ্রহীতা ঋণখেলাপি হলেও তারা হাইকোর্টে রিট করে তা ‘খেলাপি দেখানো যাবে না’ মর্মে স্থগিতাদেশ পাওয়ায় তাদের কাছে পাওনা ৭৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খেলাপি হলেও তা নিয়মিত হিসেবে প্রদর্শিত হওয়ার কারণে এ সব ঋণের ওপর ব্যাংক কোনো সুদ পাচ্ছে না। তাই আইএমএফের হিসাব মতে, বাংলাদেশে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে এর পরিমাণ দুই লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার কম হবে না, যা মোট ঋণের ২৫ শতাংশের সমান। কথায় বলে, কাজীর গরু বাস্তবে না থাকলেও কেতাবে লেখা থাকে। ব্যাংকের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো, অর্থাৎ ৫৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা কুঋণ বাস্তবে থাকলেও অবলোপনের কারণে তা ব্যাংকের হিসাবের খাতায় নেই। কিন্তু অবলোপনের মাধ্যমে আমানতকারীদের আমানতের ৫৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হিসাবের খাতা থেকে উধাও করা যাবে না। বরঞ্চ তা সুদসহ কড়ায়গণ্ডায় ‘চাহিবা মাত্র ফেরত’ দিতে হবে।
ব্যাংকগুলোর প্রকৃত কুঋণের পরিমাণ দুই লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ বাবদ, বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই আয় থেকে ব্যাংক শুধু বঞ্চিত হচ্ছে না, উপরন্তু ওই টাকার আমানতের ওপর ন্যূনতম ৬ শতাংশ হারে বছরে সুদ বাবদ ১৫ হাজার কোটি টাকা এবং ব্যাংকের স্টাফ খরচ বাবদ ২.৫ শতাংশ হারে ছয় হাজার ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, দুই লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা কুঋণের কারণে ব্যাংকের না পাওয়া আয় ও আমানতের ওপর সুদ বাবদ এবং স্টাফ খরচ বাবদ ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছেÑ ৩০,০০০+১৫,০০০+৬২৫০ কোটি টাকা একুনে ৫১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা, যা দিয়ে একই সাথে পাটুরিয়ায় দ্বিতীয় পদ্মা সেতু ও আরিচায় দ্বিতীয় যমুনা সেতু নির্মাণের অর্থ জোগান দেয়া সম্ভব হতো। তাহলে কেন আমরা ‘কেয়ারফুলি কেয়ারলেস’ থাকার ভান করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য দুই লক্ষাধিক কোটি টাকা বিদেশী সাপ্লাই ক্রেডিটের জালে জড়িয়ে পড়ছি?
ঋণখেলাপি হওয়ার জন্য উদ্যোক্তার নিজস্ব মূলধন বা ইকুইটি ঘাটতি, ঋণের টাকায় গাড়ি-বাড়ি-জমি ক্রয় ও বিলাসী জীবনযাপন এবং সর্বোপরি ঋণের টাকা বিদেশে পাচার প্রভৃতি কারণ কম দায়ী নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তার সততা, দক্ষতা ও সুনামের ঘাটতিও আমলযোগ্য। প্রকল্পে অনুমিত বিনিয়োগ উদ্যোক্তার সুনাম ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা এবং প্রকল্পের ধরনভেদে ঋণ ও উদ্যোক্তার নিজস্ব মূলধনের অনুপাত থাকা প্রয়োজন ৬০ হাজার ৪৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। কিন্তু শুরুতেই তাদের নিজস্ব মূলধন ঘাটতি থাকায় কম মূল্যে ক্রয়কৃত জমিতে ভূমি উন্নয়নের নামে কিছু মাটির কাজ করে, এর মূল্য বাজারদরের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি দেখিয়ে, এটাকেই উদ্যোক্তার ‘প্রাথমিক বিনিয়োগ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। অবকাঠামো নির্মাণে উচ্চ নির্মাণব্যয় এবং এলসি খোলার সময় আমদানিকৃত মেশিনারির মূল্য বেশি দেখানো হয়। এলসি মার্জিন বাবদ ধার করে জমা দেয়া টাকা বিদেশে রফতানিকারকের কাছ থেকে তুলে নিয়ে ধার পরিশোধ করা হয়। আর বর্ধিত নির্মাণব্যয় এবং আমদানিকৃত মেশিনারির বর্ধিত মূল্যকেই উদ্যোক্তার ‘নিজস্ব বিনিয়োগ’ বলে বিবেচনা করা হয়। এখানেই শেষ নয়, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ বাবদ এক বছর মেয়াদি সিসি (হাইপো) ও সিসি (প্লেজ) হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন, তারা যুক্তি দেখিয়েছেন তারা ব্যাংককে কোটি কোটি টাকা সুদ দিয়েছেন এবং তিন-চারবার ঋণটি সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছেন বিধায় ব্যাংকের দাবির পরিমাণ সঠিক নয়, ‘হিসাবে গড়বড় আছে।’ ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে বারবার বর্ধিত ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণের মাধ্যমে অ্যানন টেক্স, হলমার্ক, ক্রিসেন্ট লেদার, বিসমিল্লাহ টাওয়েল ও টেরিকাটা টাইলসের মতো হাজারো কোটিপতি ঋণখেলাপি গত এক যুগে সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব ঋণগ্রহীতা মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে ঋণ পেয়েছিলেন। সৎ, অভিজ্ঞ ও দক্ষ উদ্যোক্তা কখনো উৎকোচের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ করেন না। কারণ তিনি জানেন, ১০০ টাকা উৎকোচ দিলেও তা সুদসহ তাকেই পরিশোধ করতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে স্থিতিভিত্তিক কুঋণের হার ২৫ শতাংশ হওয়ায় জাতীয়করণকৃত ব্যাংকগুলোতে যে ‘মুনাফা’ দেখানো হচ্ছে, তা সঠিক নয়। এটা ‘উইন্ডো ড্রেসিং’য়ের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে। কারণ ২৫ শতাংশ কুঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে কোনো ব্যাংকের পক্ষে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব নয়। আইন পাস করে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে একই পরিবার থেকে চারজন একটানা ৯ বছর পরিচালক থাকার সুযোগ করে দেয়ায় দুইজন ৯ বছর পরিচালক থাকার পর বাকি দুইজন পরিচালক হয়ে উত্তরাধিকার সূত্রের রাজনীতির মতো উত্তরাধিকার সূত্রে আজীবন ব্যাংকের মালিক থাকায় বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকরা ও তাদের আত্মীয়-স্বজন পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে, এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংক থেকে বিরাট অঙ্কের ঋণ নিয়ে থাকেন। পরিচালকদের নেয়া এরূপ ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। ওই ঋণ খেলাপি হলে সুদ মওকুফের সুবিধা নিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ গ্রহণ করে তা পরিশোধ করা হয়ে থাকে। এই চক্রাকার ঋণগ্রহণ ও সুদ মওকুফের খেলা গত ১১ বছর ধরে চলে আসছে। এই ঋণের টাকা পরিচালকরা কোথায় বিনিয়োগ করেছেন তার কোনো হদিস নেই।
উদ্যোক্তাদের অসততা ও অনভিজ্ঞতার কারণেও ঋণখেলাপি হতে হয় ও কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। যেমনÑ কুষ্টিয়ার মোহিনী মিলস ও সাভারের আফসার কটন মিল, দুটোর মালিক একই। ২০০৮ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া সাভারের বেঙ্গল ফাইন সিরামিক কারখানা। ঋণখেলাপি হওয়ার জন্য সুদের উচ্চ হারকেই একমাত্র কারণ বিবেচনা করে আমানত ও সুদের হার ৩ শতাংশ হ্রাস করে যথাক্রমে ৬ শতাংশ ও ৯ শতাংশ করার যে সিদ্ধান্ত আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে, তা অচিরেই বুমেরাং হয়ে দেখা দেবে। কারণ আমানতের ওপর ন্যূনতম ৬ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে তা থেকে ১০ শতাংশ উৎসে কর কর্তন, হিসাবপ্রতি জমাস্থিতির ওপর বিভিন্ন হারে আবগারি শুল্ক কর্তন এবং ব্যাংকের আনুষঙ্গিক চার্জ কর্তনের পর আমানতকারীর নিট প্রাপ্তি ৫ শতাংশের বেশি না হওয়ায় মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ হওয়ার কারণে বছর শেষে আমানতকারীর মূল টাকা কমে যাবে। তাই তারা আমানত ব্যাংক থেকে উঠিয়ে অন্যত্র বেশি লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করবেন। ব্যাংকের আমানত কমে যাওয়ায় ঋণ দানের ক্ষমতাও হ্রাস পাবে, ফলে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। অপর দিকে ব্যাংকের স্টাফ খরচ ২.৫ শতাংশ হওয়ায় এবং বেতনভাতা, ভবন ভাড়া, মুদ্রণসামগ্রী, বিদ্যুৎবিল ও গাড়ির জ্বালানি খরচ হ্রাস করা সম্ভব নয় বিধায় ওই খরচ অপরিবর্তিত থাকায় ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে ব্যাংকের নিট খরচ ৬ শতাংশ+ ২.৫ শতাংশ বা ৮.৫০ শতাংশ হওয়ায়, খরচ বাদে ব্যাংকের নিট মুনাফা থাকবে ৯ শতাংশ-৮.৫০ বা মাত্র ০.৫০ শতাংশ, তা-ও যদি শতভাগ ঋণ আদায় হয়। এত কম মুনাফায় ব্যাংকগুলো টিকে থাকতে পারবে কি? কুঋণের অনারোপিত সুদ শতভাগ মওকুফ করে অবশিষ্ট ঋণ সুদমুক্ত হিসাবে সংরক্ষণ করে কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেয়ার পরও ৮০ শতাংশ ঋণগ্রহীতা তা পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছেন কেন? ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ৯ শতাংশ সুদে যে সব ঋণ ১০-১৫ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করা হয়েছে, তারাও ওই ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছেন কেন? যারা কিস্তি পরিশোধ করছেন তারা এই পুনঃতফসিলের সুযোগে নতুন ঋণ গ্রহণ করে ওই টাকা দিয়ে কিস্তি পরিশোধ করছেন।
শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করে যে ৫৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ অবলোপন করা হয়েছে, তাতেও শুভঙ্করের ফাঁকি। যেমনÑ বন্ধকী সম্পত্তির মালিকানা ত্রুটিপূর্ণ থাকায় তা আদৌ বিক্রয় হবে না। তদুপরি তা বাজারদরের চেয়ে অতিমূল্যায়িত করে ঋণ দেয়া হয়েছিল। ওই মূল্যের সাথে আলাদা খাতায় রক্ষিত অনারোপিত সুদ যোগ করে ঋণ হিসাবের স্থিতি শূন্য করতে যে নামেমাত্র ঘাটতি পড়েছিল, তা ব্যাংকের মুনাফা থেকে প্রভিশন হিসেবে সংরক্ষণ করে ঋণ অবলোপন করা হলেও ওই টাকা পরে মূলধন ঘাটতি পূরণের নামে জাতীয় বাজেট থেকে ব্যাংকগুলোকে দেয়া হয়েছে; যার পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি টাকা।
কুঋণের অপসংস্কৃতি থেকে ব্যাংকগুলোকে রক্ষার জন্যই ২০০৯ সাল থেকে বিতরণকৃত ঋণগুলোর মধ্যে যে সব ঋণ কুঋণে পরিণত হয়েছে, যা পুনঃতফসিল করা হয়েছে ও অবলোপন করা হয়েছে এবং আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে যেসব ঋণ খেলাপি দেখানো যাচ্ছে না, ওই ঋণগুলোর সহযোগী জামানত হিসেবে প্রদত্ত বন্ধকী সম্পত্তির মালিকানার সঠিকতা যাচাই অন্তে তা সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক বর্তমান বাজারদরের নিরিখে এর মূল্যায়ন সঠিক আছে কি না তা তদন্ত করে দেখার জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং উইং, বাণিজ্যিক হিসাব নিরীক্ষা অফিস, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিরীক্ষকদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি অবিলম্বে গঠন করা হোক। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের পরই সুদের হার যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার সার্কুলার কার্যকর করা যেতে পারে। ঋণখেলাপির যেমন সম্পদের মূল্যের চেয়ে ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি দাঁড়িয়েছে, তেমনি অনেক ব্যাংকের ক্ষেত্রে তাদের সম্পদের মূল্যমানের চেয়ে আমানতের পরিমাণ বেশি হওয়ায় ওই ব্যাংকগুলো ঝুঁকির মুখে রয়েছে। জনগণের আমানতের টাকার সুরক্ষার জন্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা আশু প্রয়োজন।হ


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল