২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

করোনার বিশ্বে তেলযুদ্ধের সূত্রপাত

-

করোনাভাইরাস হামলায় কমে গেছে বৈশ্বিক তেলের চাহিদা। চলছে না গাড়ি, উড়ছে না বিমান, জাহাজ দিচ্ছে না সমুদ্র পাড়ি। এ নিয়ে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছে না। পেট্রো ডলারের জন্য আমেরিকা কিছুই পরোয়া করছে না। আমেরিকার পলিটিক্যাল সাইনটিস্ট উইলিয়াম জে. ওলসন তার ÔThe US strategic interest in the Gulf RegionÕ-এ লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম এশিয়ার তেল নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আমার মনে হয় এতে পশ্চিম এশিয়া নয়, সমগ্র এশিয়া ও বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ডিজিটাল বিশ্বে রাজনীতি ও পলিসির সাথে ভূ-অর্থনীতি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।’ তেলের ব্যবহার নেমেছে অনেকখানি। ফ্রান্স ও ইতালিতে ভাইরাসের তীব্র আক্রমণে তেলের ব্যবহার এক-চতুর্থাংশ নেমেছে। বিষয়টি এমন যে, চাহিদা কমে যাওয়ায় তেলের পরিশোধনাগারগুলোর কাজও কমিয়ে দিতে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও সৌদি যুবরাজ বিন সালমানের সাথে কথা বলে এনার্জি মার্কেটকে আরো কার্যকর করার প্রচেষ্টা নিতে বলেছেন। চলমান তেলের নিম্নমূল্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের বেশি তেল উৎপাদনের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট, এতে রাাশিয়া চাপের মুখে থাকবে। ট্রাম্প বিন সালমানকে বলেছেন, তেলের দাম নিচে রাখায় রাশিয়া সঙ্কটে পড়বে তবে দাম যেন এত নিচে না নামে যাতে আমেরিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তেলের কম দাম ট্রাম্পের নির্বাচনী দৌড়ে ভালো কাজ করছে। করোনার কারণে ট্রাম্প যতটুকু খারাপ ইমেজ সঙ্কটে পড়েছেন, তেলের দাম কমে সমাজে ততটাই স্বস্তি ফিরেছে মনে করা হয়। জনগণকে বোঝানো হয়েছে কম দামে তেল কিনে একটা বড় রিজার্ভ গড়ে তুলবে যুক্তরাষ্ট্র। ১৩ মার্চ ট্রাম্প বলেছেন, ‘সেক্রেটারি অব এনার্জিকে বিপুল তেল কম দামে কিনে রিজার্ভে রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ রিজার্ভ গড়ে তুললে দীর্ঘ সময়ের জন্য আমেরিকানরা কম দামে তেল ব্যবহার করতে সক্ষম হবে। এ পদক্ষেপ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে ট্রাম্পের জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। ওপেক প্লাস সংগঠনের দুই উদ্যোগী দেশ সৌদি আরব ও রাশিয়া এখন তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। তেলের বিষয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছে না। তেলের দাম প্রতিযোগিতামূলকভাবে কমে যাওয়ার ট্রাম্প আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তা ছাড়া রাশিয়ার অর্থনীতিতে তেলের দাম আঘাত করছে বিধায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর অনেকটা খুশি। তবে সৌদি আরবের জন্য বিষয়টি তেমন ভালো নয়। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে যুদ্ধের ময়দানে নেমেছি।’ তবে ১৩ জন রিপাবলিকান সিনেটর বিন সালমানের কাছে চিঠি দিয়েছেন এই মর্মে যে, আরামকো যেন তেল উৎপাদন করে বিশ্ববাজার সয়লাব করে না দেয়। সিনেটররা লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সারা বিশ্ব, সৌদি আরবও কোভিড-১৯ মহামারীর সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এমন একসময়ে তেলের কোনো যুদ্ধ চাই না।’ সৌদি আরবের উচিত বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে কোনো ধাক্কা যেন লা লাগে সে দিকে লক্ষ রাখা।
কংগ্রেস সদস্যরা সৌদি আরবের সাথে আরো বেশি রাজনৈতিক আলোচনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন সৌদি-রাশিয়ার সঙ্ঘাতে আমেরিকার তেল ইন্ডাস্ট্রিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা চলতে থাকলে যেসব আমেরিকান কোম্পানি উচ্চমূল্যে তেল উৎপাদন করে তারা দেউলিয়া হতে পারে। এটা প্রতিরোধ করার জন্য প্রতি ব্যারেলের দাম ৭০ ডলার রাখা উচিত। অথচ এখন বড় বড় সরবরাহকারীরা ১৫ বা ১০ ডলার করে দাম রেখে তেলের বাজার লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে। সৌদি আরামকো ঘোষণা দিয়েছে, ইউরোপীয় ক্রেতাদের এই এপ্রিলে প্রতি ব্যারেল ১৫ ডলার করে তেল বিক্রি করা হবে, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অনুরোধ সৌদিরা রাখছেন না।
সৌদি আরবের সাথে মার্কিনিদের সম্পর্ক ৮০ বছর গড়াল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ১৯৪৫ সালে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশা কিং আবদুল আজিজ বিন সৌদের সময় এই সুসম্পর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। বিভিন্ন চড়াই উতরাইয়ের মাঝ দিয়ে এই সম্পর্ক আজো চলছে। সৌদি আরব বিশ্বের বড় তেল সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র বড় ভোক্তা হলেও আজ শুধু সৌদি তেলের ওপর নির্ভরশীল নয়।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরব থেকে প্রতিদিন আমদানি করেছে ২.৬৬ মিলিয়ন ব্যারেল; ২০১৮ সালে নেমে ১.৪৭ মিলিয়ন ব্যারেলে আসে। যুক্তরাষ্ট্র মূলত তখন সাবধান ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এমন একসময়ে ঘণ্টা বাজায় যখন যুবরাজ বিন সালমান শক্ত হাতে সৌদি আরবের ক্ষমতা গ্রহণের কলকাঠি নাড়া শুরু করেন। এখন নিরাপত্তার জন্য তেল পলিসি আর কাজ করছে না। সৌদি আরব একই সাথে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে এক দাবার ঘুঁটিতে শিক্ষা দিয়ে দিলো। যুবরাজ যে দাম কমিয়ে গেম খেলবেন তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অভাবনীয়। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে বা চাপে সৌদি আরব বা রাশিয়া আদৌ মূল্য ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করছে না। এই যুদ্ধে বিশ্ব তেলবাজার নিয়ন্ত্রণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ছাড়া তেলের ময়দানে আরো দেশ ও নিয়ামক কাজ করছে।
নাইজেরিয়াও বড় তেল রফতানিকারক দেশ। এই দেশটিও প্রচুর ডিসকাউন্ট দিয়ে তেল বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। নাইজেরিয়ার দু’টি অপরিশোধিত তেলের গ্রেড ‘লবো’ ও ‘বনি লাইট’ এই এপ্রিলে ডিসকাউন্ট দিয়ে তিন ডলারে নিয়ে আসছে! ২০০৮ সালের তেল-মন্দার সময়ও এমন দরপতন হয়নি। কলম্বিয়াও ৭.৭ ডলারে এপ্রিলে বাজারে তেল ছাড়ছে।
তেলের দাম, চাহিদা ও সরবরাহ উভয় দিক দিয়েই চরম চাপের মুখে। করোনার আক্রমণ ও ভবিষ্যৎ শঙ্কার কারণে তেল ক্রয় করে মজুদ বাড়ানো অব্যাহত রয়েছে। কেননা তেলের দাম এখন খুব কম। কম দামে তেল সরবরাহ এশিয়া ও ইউরোপের দেশের প্রতিও উন্মুক্ত করেছে সৌদি আরব।
করোনার আগ্রাসনে জানুয়ারি থেকেই তেলের মূল্যহ্রাস শুরু হতে থাকে। সরবরাহ নিয়ে সৌদি আরব ও রাশিয়া কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি, কোনো সমঝোতা হয়নি। গত ২০ বছরেও তেলের দাম এত নিচে নামেনি। করোনা ভাইরাস চীন থেকে ছড়ানো শুরু হলে চীনা রিফাইনারিগুলো উৎপাদন কমিয়ে আনে। নানা দৃষ্টিকোণ থেকে চলতি এপ্রিল মাসকে তেলের মূল্য, সরবরাহ, উৎপাদন ও কৌশলের সেরা মাস হিসেবে বিবেচিত করছে তেল-বিশ্ব। এ মাসেই সৌদি আরব তার উৎপাদন প্রতিদিন ১২.৩ মিলিয়ন ব্যারেলে নিয়ে আসছে। রাষ্ট্র পরিচালিত সৌদি তেল জায়ান্ট আরামকো এই ঘোষণা দিয়েছে। তেলযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট রাশিয়া-সৌদি সম্পর্ক খুবই বিস্ফোরণমুখ।
রাশিয়া তেল উৎপাদন কাটছাঁট করতে চায় না, তাই তেল-আলোচনা কোনো সফলতা দেখেনি। রাশিয়ার লক্ষ্য যেভাবেই হোক ইউরোপে তেল সরবরাহ করা। কিন্তু রাশিয়া কেন এমনটি করল? রাশিয়া জানে তেলের দাম কমলে তারাও কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। চলতি বছরের মার্চে রাশিয়া প্রতিদিন ১০ হাজার ৮৩৫ মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদন করেছে, যা আগের মাসগুলোর চেয়ে বেশি। পূর্বাভাস দেয়া হয়েছেল, রাশিয়ার জানুয়ারিতে ইকোনমিক গ্রোথ হবে ২.৩ শতাংশ, কিন্তু হয়েছে ১.৬ শতাংশ। ২০১৯ সালের পর এটা রাশিয়ার সর্বনিম্ন গ্রোথ রেট। তেলের টাকায় ক্রেমলিন বাজেট বানায়। এটা ক্রেমলিনের বোঝার কথা নয় যে, সৌদি আরব হঠাৎ দাম কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করবে। ধারণা করা হয়েছিল, উভয় দেশ তেল নিয়ে আলোচনা করবে এবং মূল্যের বিষয়টি সুরাহা করবে, আদতে তা হয়নি। মস্কোর আরেকটি কৌশল হলো, মস্কো প্রতি ব্যারেল ২৫-৩০ ডলার করে রাখবে ছয় থেকে ১০ বছরের জন্য। তাদের জাতীয় ওয়েলফেয়ার ফান্ডের সম্পদ থেকে এই বছরগুলোতে সম্পদ জোগান দেয়া সমস্যা হবে না। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালে তেলের বাজারে কঠিন অবস্থান নেয়। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইউরোপ, রাশিয়া, ইরান ও ভেনিজুয়েলার বড় বড় ক্রেতা ও সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। রাশিয়া-জার্মানির গ্যাস পাইপলাইনের ওপর নানা ধরনের অবরোধ ও নির্মাণে বাধা দিতে থাকে, ফলে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস জায়ান্ট গ্যাজপ্রম ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে কাক্সিক্ষত অবস্থান হারিয়ে ফেলে। রাশিয়া এটাও বুঝে যে, তেলের দাম কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তেলযুদ্ধ চালাতে হবে। গ্যাজপ্রমের এনালিস্ট কিরিল কনোনভ বলেন, ৫০ ডলারের নিচে নামলেই যুক্তরাষ্ট্রের তেলের ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলবে।
বলা হয়েছে, তেলের দাম হঠাৎ করে ৩০ শতাংশ নেমেছে। রাশিয়া ও সৌদি আরবের তেলের দামের যুদ্ধে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ৩৫ ডলার বা তারও নিচে বিক্রি হচ্ছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ২৮ ডলার দাম হেঁকেছে। ২০১৬ সালের পর এমনভাবে আর তেলের দাম পড়েনি। সৌদি আরব এশিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের ছয় ও আট ডলার করে ডিসকাউন্ট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি আরব আরো বলে, অপরিশোধিত তেলের দাম পড়ে গেলেও এবং বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও তারা তেলের উৎপাদন বাড়াবে। ওপেক ও রাশিয়ার সাথে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ার পর সৌদি আরব এ পদক্ষেপ নেয়। তেলযুদ্ধের এই পর্যায়ে ওপেক ও নন-ওপেক দেশগুলো ভিয়েনায় বৈঠকে বসে। কিন্তু বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবস্থানের কারণে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি এতগুলো দেশের কর্মকর্তারা। বৈঠকে রাশিয়া ও সৌদি আরবের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়।
ইরান আন্তর্জাতিক অবস্থার চাপে পড়ে তার উৎপাদন দুই হাজার ১০০ মিলিয়ন ব্যারেল থেকে কমে এখন ৯ হাজার ব্যারেলে নেমেছে। মেহের নিউজের সংবাদে জানা যায়, তেলের দামও পড়ে গেছে। ফলে ইরানের আয়ের পথও সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই ভাইরাস মহামারীর ভেতরও ইরানে কয়েক দফা অবরোধ দিয়েছে। ইরানকে এখন করোনা ও তেল উভয় সঙ্কটের মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
২০১৯ সাল ইরানের জন্য ভালো ছিল না, ২০২০ যেন আরো খারাপ। যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সবচেয়ে ‘বেশি চাপ প্রয়োগের নীতি’ নিয়ে এগোচ্ছে। এতে ইরানের ত্রাহি অবস্থার মতো। ইরান কত আর চুপ থাকবে? হরমুজ প্রণালীতে হিট অ্যান্ড রান পলিসি প্রয়োগ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ ও ম্যান অব ওয়্যারের বিরুদ্ধে তাদের তৈরি মনুষ্যবিহীন ছোট টর্পেডো বোটগুলো ছোটখাটো টার্গেট প্র্যাকটিস করে জাহাজকে বেকায়দায় ফেলছে এখন। হরমুজ প্রণালী থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ তেলবাহী জাহাজ ও রণতরীগুলো পারস্য উপসাগরে যাতায়াত করে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরানে অবরোধ দিতে থাকে তার ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে ইরানের তেলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়। তথাপি চীন, ভারত, কানাডা ও অন্যান্য দেশ ইরান থেকে তেল ক্রয় করে। এখন দাম কমে যাওয়ায় ইরান আরো বেকায়দায় পড়েছে। হেনরি রোম, ওয়াশিংটনভিত্তিক ইউরেশিয়া গ্রুপের এক বিশ্লেষক বলেন, ২০২০ ইরানের অর্থনীতি খুবই বিপদাপন্ন হবে। তবে একেবারে ধসে পড়বে না।
কোভিড-১৯ এর ভেকসিন তৈরি না হলে তেল উৎপাদন, মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহের ওপর এবং একে অন্যের ওপর কর্তৃত্ব করতে পারবে না এবং ওপেকের ২০১৬ সালের মূল্য নির্ধারণ নীতিমালাও মানবে না বলেও মনে হচ্ছে। রিগের সংখ্যা কমিয়ে নিলে তেল ইন্ডাস্ট্রিতে বেকারত্ব সমস্যাও প্রকট হয়ে দেখা দেবে। জরুরি এই সময়ে বিশ্ব শাসনে তেল ও স্বর্ণ বড় হাতিয়ার। আমরা দেখেছি, প্রায় ক্ষেত্রে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন খরচ ব্যারেল প্রতি পাঁচ ডলার, অন্যান্য খরচসহ ১০ ডলারে দাঁড়ায়। এই তেল যখন ব্যারেল প্রতি ১০০ বা ১৫০ ডলার বিক্রি হয়, তখন কী পরিমাণ অর্থ হাতে আসে তা কল্পনাতীত। এই পৃথিবীকে শাষণ করার জন্য যার হাতে যত বেশি ডলার রয়েছে সে দেশ তত শক্তিশালী। এই অবস্থানটি কেউ ছাড়তে রাজি নয়।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী

সকল