২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আসুন, আল্লাহর শরণাপন্ন হই

-

কোথাও ভূমিকম্প হলে সেই এলাকাটি কেঁপে ওঠে। এলাকার বাড়িঘর, নদীনালা, গাছপালা; এমনকি পাহাড়-পর্বত পর্যন্ত সব কিছু কেঁপে ওঠে, ধসে পড়ে, রাস্তাঘাট, ভূমি ফেটে যায়। সব মানুষ ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। খোলা জায়গায় আশ্রয় নেয়। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-দলমত নির্বিশেষে সবাই আল্লাহ আল্লাহ করে, আল্লাহর সাহায্য কামনা করেÑ যার যার ধর্মমতে স্রষ্টাকে স্মরণ করে এবং কায়মনোবাক্যে তার সাহায্য কামনা করে। বিপদ-আপদ দুর্যোগকবলিত মানুষের ধর্ম-বর্ণ-ভাষা ভিন্ন হলেও, অভিব্যক্তি ও আকুতি একইভাবে প্রকাশ পায়।
আজ এমন এক ঘটনা সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে তুলেছে। দরিদ্র দেশ থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল, উন্নত-সমৃদ্ধ, যারা বিশ্বের মোড়ল, ধনসম্পদ-জ্ঞান-গরিমায়, প্রযুক্তি, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকেও সর্বোচ্চ শিখরে, তারা পর্যন্ত কেঁপে উঠেছে। বিশ্বের অনেক দেশ বিমান, ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেমে গেছে। একত্রে অনেক লোক জমা হওয়া, সভা-সমাবেশ ও অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি বায়তুল্লাহ শরিফে ওমরাহ পালনও স্থগিত করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশেরও ১০ হাজার ওমরাহযাত্রী যেতে পারেনি। এককথায় দুনিয়াটা স্থবির হয়ে গেছেÑ সবাই যেন স্তম্ভিতÑ কী হলো? ভূমিকম্পের চেয়েও যেন ভয়াবহ। প্রতিনিয়ত মিডিয়াতে একই খবর পরিবেশিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রত্যেক দেশের সরকার এ বিষয়ে নজর রাখছে। হাসপাতাল-আইসোলেশন সেন্টার খোলাসহ প্রতিরোধমূলক এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এদিকে নজর রাখছেন।
সারা বিশ্ব নড়েচড়ে ওঠার কারণ কী? মানবজাতি আতঙ্কে কেঁপে উঠেছে কেন? কারণ ভয়াবহ ‘করোনাভাইরাস’। মরণব্যাধি কোভিড-১৯।
গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-মাঠে-ঘাটে, শহরে-বন্দরে একই আতঙ্ক। এর নাম করোনাভাইরাস। বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা এর কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না এবং প্রতিকারের উপায় কী তাও জানা নেই। এর কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক আজো আবিষ্কার হয়নি। বিশিষ্ট কলামিস্ট শ্রদ্ধেয় আবদুল গাফফার চৌধুরী ৯ মার্চের যুগান্তরে লিখেছেনÑ দিগি¦জয়ী করোনাভাইরাসের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আছি। ছাত্র থাকাকালে পাঠ্যপুস্তকে আলেকজান্ডারের ভারত অভিযানের কাহিনী পড়েছি। চেঙ্গিস খানের মস্কো অভিযানের কাহিনী পড়েছি। যে অভিযানে মস্কোর ঘরে ঘরে কান্নার রোল উঠেছিলÑ ভগবানের মা (মা মেরি) আমাদের রক্ষা করো। নাদির খাঁর দিল্লির অভিযানের কথা জেনেছি। আতঙ্কে সারা শহরের লোক পালিয়েছিল। তারপর এ যুগে দেখেছি হিটলারের বিশ্বযুদ্ধ। ‘বিশ্বযুদ্ধ’ নামে হলেও তা ছিল মূলত ইউরোপে সীমাবদ্ধ। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর অভিযান সত্যি সত্যি বিশ্বঅভিযান। বিশ্বে কতগুলো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, কত লোক আক্রান্ত হয়েছে, কত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তাও তিনি তুলে ধরেছেন। এরপর তিনি লিখেছেন, ‘এ ভাইরাসের বিশ্ব অভিযানের বৈশিষ্ট্য যে, শত্রু-মিত্র কাউকে রেহাই দেয় না। চীন এবং ইরান প্রায় আমেরিকার শত্রুদেশ, এই দুই দেশ ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়েছে। তাতে ট্রাম্প সাহেবের খুশি হওয়ার কথা। না, ট্রাম্প সাহেবের দেশেও এই ভাইরাস হামলা চালিয়েছে।’ তিনি বলেছেন, ‘বর্তমানেও বহু বিজ্ঞানী আশঙ্কা করেনÑ করোনাভাইরাসও প্লেগ, কলেরা, যক্ষ্মা, বসন্তের মতো কোনো প্রাকৃতিক বা জীবজন্তুবাহিত রোগ নয়Ñ এটা মানুষের সৃষ্ট রোগ।’ মূল কথা একটিই তা হলোÑ এটা মরণব্যাধি। এই ভারাইস থেকে বাঁচতে হবেÑ সচেতন হতে হবে, সার্বিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারি, বেসরকারি এবং ব্যক্তিপর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবেÑ সবাইকে সচেতন করতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে ইত্যাদি।
সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে বিশিষ্ট দুইজন আলোচক বলেছেন, এই বিশ্বজুড়ে যে উগ্রতা, যে অনাচার, যে অনৈতিকতা ‘ও ধস the best এর যে ব্যাপকতা এসব কারণেই দুর্যোগ, বিপদ-আপদ তথা এই মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে থাকতে পারে।’ এ বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য আল্লাহ তায়ালার শরণাপন্ন হয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করার কথাও তারা বলেছেন। কয়েক দিন আগে একটি দৈনিকের অমুসলিম সম্পাদকও টকশোয় আলোচনা করার সময় সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে বলেছেন, চারদিকে করোনাভাইরাসের যে অবস্থা, তাতে স্রষ্টাকে স্মরণ করা ছাড়া উপায় নেই।
আমেরিকাসহ অনেক দেশ জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ সরকারও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য সবার প্রতি নিয়মিত আহ্বান জানাচ্ছেন। এমতাবস্থায় আজ আমাদের করোনাভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করে সর্বতোভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে।
যুগে যুগে এ দুনিয়ায় মানুষ যখন সীমালঙ্ঘন করে নানা রকম অপকর্ম, অনৈতিক, অনাচার-অবিচারে লিপ্ত হয়েছে, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে সতর্ক করার জন্য, সুপথে ফিরে আসার জন্য মানব সমাজকে সতর্কবার্তা হিসেবে আপদ-বিপদে নিপতিত করেন। আর এই দুর্যোগ মানুষের দ্বারা সংঘটিত কার্যকারণ হিসেবেই আবির্ভূত হয়।
আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জীবনে যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তো আপনা থেকে তিনি এমনিই ক্ষমা করে দেন’ (সূরা আশ শূরা : ৩০)। ‘পৃথিবীতে কিংবা তোমাদের ওপর যে বিপদ আসে, তা সংঘটিত করার আগেই লিপিবদ্ধ থাকে। এটা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ। যাতে করে তোমরা যা হারাও, তাতে বিমর্ষ হয়ে না পড় এবং যা তিনি তোমাদের দেন, তাতে অতি উৎফুল্ল না হও। আল্লাহ উদ্ধত দাম্ভিকদের পছন্দ করেন না’ (সূরা আল হাদিদ : ২২-২৩)। ‘কোনো মুসিবতই আসে না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। আর যে ঈমান আনবে আল্লাহর প্রতি আল্লাহ তার অন্তরকে পরিচালিত করবেন সুপথে। আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ে জ্ঞানী’ (সূরা আত-তাগাবুন : ১১)।
সূরা বাকারার ১৫৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করবÑ কিছুটা ভয়, ক্ষুধা এবং জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ফল ও ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে ধৈর্যধারণকারীদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ।’
ইতিহাস পড়ে আমরা জানতে পারিÑ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় নানারূপ দুর্যোগ বিপদ-আপদ মহামারী আকারে আবির্ভূত হয়েছে। হজরত নূহ আ:-এর সময় দেশজুড়ে মহাপ্লাবনের কাহিনী তো প্রায় সবাই জানেন। প্লেগ রোগের বর্ণনাও হাদিস শরিফে এসেছে। জানা যায়, মহানবী সা:-এর যুগেও মহামারী দেখা দিয়েছিল। আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ সা: বলেছেন, ‘যদি মহামারীর কোনো সংবাদ শোন, তবে সেখানে যেও না, আর যদি কোনো শহরে বা নগরে কেউ মহামারীতে আক্রান্ত হয়, তাহলে সেখান থেকে বের হয়ো না’ (বুখারি শরিফ)।
আল্লাহ তায়ালার বাণী এবং রাসূলে করিম সা:-এর হাদিস থেকে আমরা শিক্ষা পাই, ধৈর্যধারণ করতে হবে। খারাপ কাজ পরিহার করে সংশোধন হয়ে সৎ পথে, ন্যায় পথে চলতে হবে। ভুলভ্রান্তি এবং অন্যায় কৃতকর্মের জন্য তাওবা করে আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার করতে হবে। সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর নির্ভর করতে হবে।
ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। এ ধরনের দুর্যোগ-মহামারী মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি এবং নিয়মকানুন যথারীতি মেনে চলতে হবে।
কোনো অবস্থাতেই আতঙ্কিত হওয়া উচিত হবে না। নিজের জীবনের একটি ঘটনা। কিশোর বয়সে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়েছিলাম। আমার বাবা আমার পাশে দিনরাত অবস্থান করেছেন, রাতে পাশে শুয়ে ঘুমাতেন। মা আমাকে গ্রাম্য স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক পাশে বসে সর্বদা খাদ্য খাওয়াতেন। আল্লাহর রহমত, তাদের কোনো কিছুই হয়নি এবং বাড়িতে অন্য কারো কিছু হয়নি। কথাটা এ জন্যই বললাম যে, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে আল্লাহ না করুন কেউ যদি আক্রান্ত হন, তার পাশে দাঁড়াতে হবে। সতর্কতা অবলম্বন করলে, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মকানুন এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা আর অপকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তাওবা করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন।
আমরা যদি আমাদের ধ্বংস না করি, গাফুরুর রাহিম, রাহমাতুল্লিল আলামিন, দয়ার সাগর আল্লাহ তায়ালা আমাদের ধ্বংস করবেন না। এই বিশ্বাস, দৃঢ় রাখতে হবে। আমরা ভালো থাকব ইনশা আল্লাহ। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ‘Will Force কে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর করতে হবে।
হাদিস শরিফে আছেÑ ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।’ তাই সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নবী করিম সা: দুর্যোগ এবং বিপদ-আপদের সময় যেসব দোয়া এবং আমল করেছেন সেই সব দোয়া এবং আমল করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সা: অসুস্থ হলে ‘কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক’ এবং ‘কুল আউযু বিরাব্বিন্নাস’ পড়ে হাতে ফুঁ দিতেন এবং তাঁর হাত দ্বারা শরীরে যতটুকু সম্ভব মাসাহ করতেন (হাত বুলাতেন)। মাথা ও মুখমণ্ডল থেকে নিচের দিকে যতটুকু সম্ভব হতো তিনবার মাসাহ করতেন’ (বুখারি ও মুসলিম)। যেকোনো খারাপ ব্যাধি থেকে আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। হজরত আনাস রা: বলেন, নবী করিম সা: এই বলে দোয়া করতেনÑ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন সাইয়্যিল আসক্বাম।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ আমি আশ্রয় চাচ্ছি তোমার কাছে শ্বেত, কুষ্ঠ, উন্মাদ ও সব খারাপ ব্যাধি থেকে। সুস্থ থাকার জন্য দোয়া করতেন ‘আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি ছামঈ, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাছারি লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি, ওয়া আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আনতা।’
‘ইয়া আল্লাহ! আমার জন্য আমার স্বাস্থ্য রক্ষা করো, ইয়া আল্লাহ! আমার জন্য আমার শ্রবণশক্তি রক্ষা করোÑ ইয়া আল্লাহ! আমার জন্য আমার দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করো’ তুমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। ‘হে আল্লাহ! আমি অবিশ্বাস এবং দরিদ্রতা থেকে তোমার আশ্রয় চাই এবং কবরের শাস্তি থেকে তোমার আশ্রয় চাই। তুমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই’ (আবু দাউদ, আহমাদ, নাসাঈ, হাসান)।
শ্রদ্ধেয় আল্লামা আহমদ শফী সাহেব প্রসঙ্গে যে আহ্বান জানিয়েছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন, তাও আমাদের পালনীয় এবং করণীয়। হে আল্লাহ, আমাদের হেফাজত করুন। বিপদ-আপদ বালা মুসিবত থেকে হেফাজতের জন্য সদাসর্বদা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা:-এর শেখানো দোয়া সর্বদা পাঠ করতে হবে। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাদের রীতি অনুযায়ী এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করবেন।
অন্যান্য দোয়া-কালামের সাথে সাথে মুসলিম ভাই-বোনেরা নি¤েœাক্ত দোয়াটি সবসময় বারবার পড়বেন। ইনশা আল্লাহ, আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন, আল্লাহ আমাদের হেফাজত করবেন। ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন সাইয়্যিল আসক্বাম।’
আমরা তাওবা করব, ভালো পথে চলব, মন্দ এবং খারাপ পথ পরিহার করব। মানুষের কল্যাণে তাদের পাশে দাঁড়াব। আল্লাহর রহমতে মানবতার জয় হবে, ইনশা আল্লাহ। সবাই মিলে তাওবা করে কায়মনোবাক্যে অন্তর দিয়ে আল্লাহর কাছে এই দুর্যোগ থেকে মুক্তি চাই। আল্লাহ আমাদের মাফ করুন এবং হিফাজত করুন। আমিন।হ


আরো সংবাদ



premium cement