২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ম র ণ : হাসান হাফিজুর রহমান

-

কবি, সাংবাদিক ও গল্পকার হাসান হাফিজুর রহমানের (১৯৩২-১৯৮৩) জন্ম জামালপুর শহরে, মাতুলালয়ে, ১৪ জুন ১৯৩২ সালে। পৈতৃক নিবাস একই জেলার কুলকান্দি গ্রাম। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯৪৬) ও ঢাকা কলেজ থেকে আইএ (১৯৪৮) পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (১৯৫১) এবং বাংলায় এমএ (১৯৫৫) ডিগ্রি লাভ। ফেব্রুয়ারির (১৯৫২) ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন। তার সম্পাদনায় ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম সঙ্কলন একুশে ফেব্রুয়ারি (১৯৫৩) প্রকাশিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাহিত্য সম্পাদক (১৯৫৪-১৯৫৫)। ১৯৫২ সালে মহিলাদের বেগম পত্রিকায়, ১৯৫৩-১৯৫৪-তে সওগাত পত্রিকায় ও ১৯৫৫-১৯৫৭-তে দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন। বিখ্যাত মাসিক সাহিত্যপত্র সমকাল (১৯৫৭)-এর সম্পাদক সিকান্দার আবু জাফরের সহযোগী ছিলেন। ১৯৫৭ সালে জগন্নাথ কলেজের বাংলার প্রভাষক। ১৯৬৪ সালের গোড়ার দিকে চাকরিচ্যুত হয়ে কয়েক মাস দৈনিক পয়গামে সহকারী সম্পাদক। ১৯৬৫ সালের ১ জানুয়ারি দৈনিক পাকিস্তানের সহকারী সম্পাদক পদে যোগদান। স্বাধীনতার পর দৈনিক বাংলা নামে দৈনিক পাকিস্তান প্রকাশিত হলে এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতির পদ লাভ (১৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১)। একপর্যায়ে মস্কোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস কাউন্সিলর (১৯৭৩-১৯৭৪)। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সংস্থাপন বিভাগের ওএসডি (১৯৭৪-১৯৭৫)। বাংলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য (১৯৭৬-১৯৭৯)। প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাসনামলে ১৯৭৭ সালে সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রকল্পের প্রধান। তার সম্পাদনায় ১৬ খণ্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র (১৯৮২-১৯৮৩) প্রকাশিত। প্রকাশিত গ্রন্থÑ কবিতা : বিমুখ প্রান্তর (১৯৬৩), আর্ত শব্দাবলী (১৯৬৮), অন্তিম শরের মতো (১৯৬৮), যখন উদ্যত সঙ্গীন (১৯৭২), বজ্রে চেরা আঁধার আমার (১৯৭৬), শোকার্ত তরবারী (১৯৮২), আমার ভেতরের বাঘ (১৯৮৩), ভবিতব্যের বাণিজ্যতরী (১৯৮৩); প্রবন্ধ : আধুনিক কবি ও কবিতা (১৯৬৫), মূল্যবোধের জন্য (১৯৭০), সাহিত্য প্রসঙ্গ (১৯৭৩), আলোকিত গহ্বর (১৯৭৭), গল্প : আরো দু’টি মৃত্যু (১৯৭০)। পুরস্কার :ৃ লেখক সঙ্ঘ পুরস্কার (১৯৬৭), আদমজী পুরস্কার (১৯৬৭), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭১), সুফি মোতাহার হোসেন স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৬), অলক্ত সাহিত্য পুস্কার (১৯৮১), নাসির উদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৮২), একুশে পদক-১৯৮৪ (মরণোত্তর)। হার্ট, লিভার ও কিডনির চিকিৎসার জন্য মস্কো গমন ১৭ জানুয়ারি, ১৯৮৩ সালে। সেখানকার সেন্ট্রাল ক্লিনিক হাসপাতালে ইন্তেকাল ১ এপ্রিল, ১৯৮৩ সালে। হ


আরো সংবাদ



premium cement
চীনের আনহুই প্রদেশের সাথে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই বিলাশপুরে আ’লীগ ২ গ্রুপের সংঘর্ষ : ২ শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ, আহত ৫ রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬ প্রতিবাদ সমাবেশকারীদের গ্রেফতারের নিন্দা জামায়াতের ‘সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না’ ফরিদপুরে বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের অভিযোগে ৫ জন‌ আটক ঈশ্বরদীতে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ তীব্র তাপদাহে খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করল একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশন

সকল