২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্মরণ : আবদুস সালাম খান

-

প্রখ্যাত রাজনীতিক, আইনজীবী ও সাহিত্যিক আবদুস সালাম খানের মৃত্যুদিবস আজ। ফরিদপুর শহরে ১৯০৬ সালে জন্ম। পৈতৃক নিবাস গোপালগঞ্জে। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯২৯ সালে ইংরেজিতে বিএ অনার্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩০ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং ১৯৩১ সালে এলএলবি। হাইকোর্টের খ্যাতনামা আইনজীবী। ত্রিশের দশকে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট হয়ে পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন গঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৫৩-৫৫ সালে এর সহসভাপতি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনয়নে আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত। আওয়ামী মুসলিম লীগের নাম আওয়ামী লীগ রাখা হলে বিরোধিতা করেন এবং সভাপতির পদে আসীন হয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগের নামে নেতৃত্ব দেন (১৯৫৫-১৯৫৮)। ১৯৫৫ সালের ৭ জুন পূর্ববঙ্গের পূর্ত ও যোগাযোগমন্ত্রী নিযুক্ত হন। মন্ত্রী থাকার সময় তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থান নির্বাচন এবং এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। আইয়ুব খানের সামরিক সরকার ‘এবডো’ আইন প্রয়োগ (১৯৬০) করায় ১৯৬৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ছিলেন। ১৯৬৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবনে সক্রিয় ভূমিকা পালন। ১৯৬৬ সালের আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সভা উদ্বোধন করেন তিনিই। এ সভায় শেখ মুজিব কর্তৃক উত্থাপিত ঐতিহাসিক ৬ দফা দলের কর্মসূচি হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। ১৯৬৬-৬৭ সালে ঢাকা হাইকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি। ১৯৬৭ সালে গঠিত পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন আবদুস সালাম খান। ৬ দফা সমর্থন করা-না-করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ দ্বিখণ্ডিত হলে বিপক্ষে অবস্থান নেন। ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন কমিটির সদস্য হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণ-আন্দোলনে অংশ নেন এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের আহূত রাজনীতিবিদদের গোলটেবিল বৈঠকে পিডিএম-পন্থী আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৬৯ সালের ২৪ জুন নুরুল আমীনের নেতৃত্বাধীনে পিডিপি (পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি) গঠন করে এর পূর্ব পাকিস্তান সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন এবং রাজনীতি থেকে অবসর নেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা তথা শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যদের মামলায় (১৯৬৮) আসামি পক্ষের প্রধান কৌঁসুলি। মুসলিম সাহিত্য সমাজের মুখপত্র শিখা, সওগাত প্রভৃতি পত্রিকায় প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও রোহতাসগড় নামে উপন্যাস রচনা করেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান বিরাট। মৃত্যু ১৯৭২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। হ


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল