১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য

সুশাসন
-

আমাদের বায়ুমণ্ডল যেসব গ্যাসীয় উপাদান সমন্বয়ে গঠিত, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন। বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের পরিমাণ যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ০৯ শতাংশ ও ২০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। উভয় গ্যাসের সম্মিলিত পরিমাণ ৯৯ শতাংশের চেয়ে বেশি। অবশিষ্ট ১ শতাংশের কিছু কম যেসব গ্যাসীয় উপাদান সমন্বয়ে গঠিত তা হলো, আর্গন দশমিক ৯৩ শতাংশ ও কার্বন ডাই-অক্সাইড দশমিক ০৩ শতাংশ। তা ছাড়া বায়ুমণ্ডলে ১ শতাংশের অতি ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে নিয়ন, হিলিয়াম, মিথেন, ক্রিপটন, হাইড্রোজেন, জেনন এবং ওজোনের উপস্থিতি রয়েছে। বায়ুমণ্ডলের নিম্নভাগে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন মাত্রার জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি রয়েছে। সাধারণত বৃষ্টিপ্রবণ এলাকায় জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি শতভাগ। যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ কম, সেসব অঞ্চলে তুলনামূলক হারে জলীয়বাষ্পের পরিমাণও কম। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে মানুষের শরীর থেকে নির্গত পানি যেটিকে ঘাম বলা হয় তা সহজে শুকায় না। এ কারণে বাতাসের জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে ঘাম না শুকানো মানুষের জন্য অস্বস্তিদায়ক। বায়ুমণ্ডলের নি¤œভাগে ধুলাবালির উপস্থিতি বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করে তোলে। সমুদ্রতীরবর্তী স্থানে প্রবাহিত বায়ু সমুদ্রের জলরাশিকে অতিক্রম করে আসায় তা ধুলাবালিমুক্ত নির্মল থাকে। উঁচু পর্বতবেষ্টিত এলাকা বরফ অথবা বৃক্ষরাজি দিয়ে আবৃত থাকায় সেখানকার বায়ু সমুদ্রতীরের বায়ুর মতো ধুলাবালিমুক্ত ও নির্মল থাকে। এসব কারণে সমুদ্রতীরের এলাকা ও উঁচু পর্বতবেষ্টিত এলাকা স্বাস্থ্যকর স্থান হিসেবে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে প্রিয়।
মানুষসহ পৃথিবীর অপরাপর প্রাণিকুলের জীবনধারণের জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য। মানুষ প্রতিনিয়ত তার চারপাশের বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করছে ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করছে। অক্সিজেন ছাড়া একজন মানুষের পক্ষে ৩-৪ মিনিটের বেশি বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। যেকোনো প্রাণীর জন্য নাইট্রোজেন অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রাণীর দেহে প্রোটিন গঠনে সহায়তা করে। মানুষের দেহের ত্বক ও চুলের গঠনে নাটট্রোজেনের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন আমরা উদ্ভিদ থেকে পাই। অপর দিকে, উদ্ভিদ মাটির সাথে সংমিশ্রিত ব্যাকটেরিয়া থেকে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে। মানুষ প্রতিনিয়ত অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগের কারণে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের যে কম-বেশি হয় তার ভারসাম্য উদ্ভিদের কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ ও অক্সিজেন ত্যাগের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে রক্ষিত হয়ে চলছে। এ কারণে পৃথিবীর ভূভাগে ন্যূনতম চার ভাগের এক ভাগ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন। পৃথিবীর যেসব দেশ সম্পদশালী ও জনবসতি কম, এমন দেশগুলো এ হার বজায় রাখতে পারলেও দরিদ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে এটি সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর এ কারণেই আমাদের দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ কাক্সিক্ষত পরিমাণের চেয়ে অনেক নিচে।
পৃথিবীর যেকোনো দেশের গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চল ও শিল্পাঞ্চল ঘনবসতি ও কোলাহলপূর্ণ হওয়ায় শেষোক্ত অঞ্চল দু’টিতে বায়ুদূষণ অধিক। এসব অঞ্চলে গাড়িঘোড়া ও কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং রান্নাঘর থেকে নির্গত ধোঁয়া এক দিকে বায়ুমণ্ডলের কার্বনের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, অপর দিকে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বাড়িয়ে চলেছে। উভয় দূষণের কারণে শহরাঞ্চল ও শিল্পাঞ্চলে বসবাসরত জনমানুষ বিশুদ্ধ ও নির্মল বায়ুর প্রভাব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ পৃথিবীতে রেলগাড়ি চালুর পর এগুলো স্টিম ইঞ্জিন-চালিত ছিল। এ ধরনের ইঞ্জিনে জ্বালানি হিসেবে খনিজ কয়লা ব্যবহার হতো। স্টিম ইঞ্জিন ব্যাপকভাবে বায়ু দূষণ করার কারণে ধীরে ধীরে এর ব্যবহার কমে এসে বর্তমানে শূন্যে পৌঁছেছে। এখন পৃথিবীর কোথাও রেলগাড়ি চালাতে স্টিম ইঞ্জিনের ব্যবহার নেই। আমাদের দেশে রেলগাড়িতে স্টিম ইঞ্জিন ব্যবহারকালীন রেলে ভ্রমণ মোটেও স্বস্তি ও আরামদায়ক ছিল না। স্টিম ইঞ্জিন-চালিত রেলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভ্রমণ-পরবর্তী দেখা যেত পরিধেয় বস্ত্রের মধ্যে ইঞ্জিনের ধোঁয়া থেকে নির্গত কয়লার ক্ষুদ্র অংশের উপস্থিতি; এ বস্ত্র ধোয়া ছাড়া পুনঃপরিধানের অনুপযোগী করে তুলত। স্টিম ইঞ্জিনের ব্যবহার উঠে যাওয়ায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও বর্তমানে স্টিম ইঞ্জিনের ঠাঁই হয়েছে দর্শনীয় বস্তু হিসেবে, জাদুঘর অথবা রেল ভবনের সামনে।
সমুদ্র ও নদীপথে অতীতে স্টিম ইঞ্জিন-চালিত জাহাজের ব্যাপক প্রচলন ছিল। বর্তমানে সমুদ্র বা নদীপথে স্টিম জাহাজ নেই বললেই চলে। স্টিম জাহাজে রেলের স্টিম ইঞ্জিনের মতো কয়লা প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হতো। ডিজেল ইঞ্জিন-চালিত জাহাজ পরিবেশবান্ধব ও অধিক সুবিধাজনক হওয়ায় এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব তুলনামূলকভাবে স্টিম ইঞ্জিনের চেয়ে অনেক কম হওয়ায় এটি দ্রুত স্টিম ইঞ্জিনের স্থান দখল করে নেয়।
সড়কে যেসব যান্ত্রিক যান চলাচল করে, এগুলো গ্যাস-চালিত হলেও তুলনামূলকভাবে পেট্রল ও ডিজেলের চেয়ে দূষণ কম। আমাদের দেশে কোনো একসময় বেবিট্যাক্সি বা অটোরিকশায় জ্বালানি হিসেবে মবিল ও ডিজেলের মিশ্রণ ব্যবহার করা হতো। এ ধরনের মিশ্রিত জ্বালানি ব্যাপক কালো ধোঁয়া উৎপন্ন করত। আমাদের রাজধানী শহর ঢাকায় এ ধরনের জ্বালানি চালিত বেবিট্যাক্সি প্রচলনকালীন সমগ্র শহর সকাল থেকে রাত অবধি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকত। এ ধরনের ধোঁয়ার আচ্ছন্নতা ঢাকা শহরের পরিবেশকে অসহনীয় করে তুলেছিল। এ দেশের জনমানুষের দাবির মুখে আমাদের নীতিনির্ধারকরা ডিজেল ও মবিলের মিশ্রণের জ্বালানি চালিত বেবিট্যাক্সির ব্যবহার নিষিদ্ধ করায় ঢাকা শহর দ্রুত ধোঁয়ামুক্ত হয়ে জনজীবনে স্বস্তি বয়ে আনে। বর্তমানে ঢাকা শহরে যেসব যান্ত্রিক যান চলাচল করে, এগুলোর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অপরাপরগুলো গ্যাস-চালিত হওয়ায় ধোঁয়াজনিত বায়ুদূষণ অনেকাংশে কমেছে।
জ্বালানি হিসেবে খনিজ কয়লার দাম ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলের চেয়ে কম হওয়ায় এবং এটির মজুদ অভ্যন্তরীণ উৎসে পর্যাপ্ত হওয়ায় অনেক দেশ দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খনিজ কয়লাকে প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। কিন্তু বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও বিশ্বব্যাপী এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে শিল্পোন্নত দেশগুলো মূল্য সাশ্রয়ী হওয়া সত্ত্বেও খনিজ কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে প্রতিস্থাপনের পথে রয়েছে। ঠিক এমন সময় দেখা গেল আমাদের দেশের একটি ও ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের কাছে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন খনিজ কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্থাপন করা হলে এর ২৫০ মিটার চিমনি থেকে নির্গত গ্যাসীয় বর্জ্যরে তাপমাত্রা হবে ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা প্রকারান্তরে পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা বাড়িয়ে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা পোড়ানোর কারণে প্রতিদিন আর্সেনিক, পারদ, সিসা, নিকেল, ভেনাডিয়াম, বেরেলিয়াম, বেরিয়াম, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, সিলেনিয়াম, রেডিয়ামসহ আরো প্রচুর বিষাক্ত পদার্থসমৃদ্ধ যে ফ্লাই অ্যাশ ও বটম অ্যাশ উৎপাদিত হবে; এগুলো কোথায় অপসারণ করে নিষ্ক্রিয় করা হবে সে বিষয়ে দেশবাসীকে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এখনো আশ্বস্ত করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, প্রকল্পটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে প্রতিদিন ১০ হাজার টন কয়লা পোড়ানোর কারণে ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড ও ৮৫ টন নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হবে। বছরব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত থাকলে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পোড়ানোর কারণে সাড়ে সাত লাখ টন ফ্লাই অ্যাশ পাওয়া যাবে। আর মাটি-পানিতে যাবে দুই লাখ টন বটম অ্যাশ। এ বিপুল অ্যাশ বাতাস, পানি ও মাটিতে পড়বে। এতে পরিবেশ হবে দারুণভাবে বিপর্যস্ত এবং ইকো সিস্টেম মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।
আমাদের দেশে নির্মাণসামগ্রী হিসেবে পাথর ইটের তুলনায় ব্যয়বহুল। পৃথিবীর যেসব দেশের ভূভাগের ওপরের স্তরে পাথর রয়েছে, এসব দেশ প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাথর সংগ্রহ করে নির্মাণকাজ সমাধা করে থাকে। আমাদের দেশে প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগৃহীত পাথর অপ্রতুল হওয়ায় নির্মাণকাজে ইটের ব্যবহার অধিক হচ্ছে। ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে খনিজ কয়লার ব্যবহার অনুমোদিত হলেও জ্বালানি কাঠের ব্যবহার অনুমোদিত নয়। খনিজ কয়লার মূল্য জ্বালানি কাঠ থেকে অধিক হওয়ায় বেশির ভাগ ইটভাটা মালিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের সহায়তায় ইটভাটায় খনিজ কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করে অধিক মুনাফা অর্জনের পথ সুগম করছে। আইন অনুযায়ী শহরাঞ্চল ও লোকালয়ের আশপাশে ইটভাটা স্থাপন অনুমোদিত না হলেও আমাদের দেশে এমন কোনো ইটভাটা নেই, যা লোকালয় থেকে অনতিদূরে। ইটভাটায় জ্বালানি কাঠের ব্যবহার আমাদের বনভূমি দ্রুত কমিয়ে যেমন বায়ুদূষণে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে, অনুরূপ ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বায়ুদূষণকে আরো তীব্রতর করছে। ইটভাটায় ইট, বালু ও সিমেন্ট মিশ্রিত অধিক উচ্চতার চিমনি ব্যবহারের বিধান থাকলেও এ চিমনি নির্মাণ ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক ইটভাটা মালিক এখনো পুরনো ড্রাম দিয়ে নির্মিত চিমনি ব্যবহার করছেন।
আমাদের দেশে শহরাঞ্চলের গৃহস্থালি বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা বিজ্ঞানসম্মতপন্থায় গড়ে না ওঠায় শহরের যেসব অঞ্চলে গৃহস্থালি বর্জ্য প্রাথমিকভাবে রাখা হয়, সেগুলোতে বর্জ্যরে পরিমাণ ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত হওয়ায় এবং বর্জ্য উন্মুক্ত অবস্থায় রাখায় যে অসনীয় দুর্গন্ধ ছড়ায় তা আশপাশের বায়ুমণ্ডলকে দূষিত করে তোলে। এ ধরনের দূষিত বায়ু দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করা হলে তা যেকোনো মানুষের শারীরিক অস্বস্তির কারণ হয়ে দেখা দেয়। তা ছাড়া বর্জ্যগুলো উন্মুক্ত ট্রাকে দিনের বেলায় পরিবহন করায় রাস্তায় চলাচলকারী জনমানুষের স্বাচ্ছন্দ্যে চলার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে। আমাদের বর্জ্য অপসারণ স্থল শহরের সন্নিকটবর্তী হওয়ায় তা আশপাশে বসবাসরত জনমানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোয় কখনো বর্জ্য প্রাথমিক স্থানে উন্মুক্ত রাখা হয় না এবং এগুলো সব সময় ঢাকনাযুক্ত গাড়িতে রাতের শেষ প্রহরে পরিবহন করা হয়। এসব দেশে অপসারণ স্থলও শহর থেকে অনেক দূরে জনবসতিহীন এলাকায় হয়। অধুনা অনেক উন্নত দেশ গৃহস্থালি বর্জ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সার উৎপাদনে ব্যবহার করছে। আমাদের দেশে অনুরূপ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে তা বায়ুদূষণ রোধে সহায়ক হবে।
বায়ুমণ্ডলে ধুলাবালির উপস্থিতি স্বাচ্ছন্দ্যে ও সাবলীলভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের অন্তরায়। আমাদের দেশে শহরাঞ্চলে বছরব্যাপী এবং গ্রামাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালির ব্যাপক উপদ্রব দেখা দেয়। এ ধরনের ধুলাবালুযুক্ত বায়ু প্রতিনিয়ত আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটিয়ে বিভিন্ন রোগের কারণের উদ্ভব ঘটাচ্ছে।
পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনমানুষের জন্য সহায়ক ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। আমরা এ পথে উন্নত দেশের মতো সফলতা না পাওয়ায় আমাদের দেশের সামগ্রিক বায়ুমণ্ডলের পরিবেশ সুস্বাস্থ্যের জন্য এখনো নিরাপদ হয়ে উঠতে পারেনি। আর যত দিন পর্যন্ত এটি নিরাপদ না হবে তত দিন বায়ুদূষণ আমাদের উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অন্তরায় হয়ে থাকবে।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement