২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ম র ণ : সুকুমার রায়

-

প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের জন্ম ১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতায়। তাদের আদিনিবাস কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসুয়ায়। বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ ও যন্ত্রকুশলী উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী তার বাবা এবং অস্কারপ্রাপ্ত বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় তার ছেলে। সুকুমার রায় প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়নে অনার্সসহ বিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ফটোগ্রাফি ও প্রিন্টিং টেকনোলজিতে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কলারশিপ’ নিয়ে তিনি ইংল্যান্ড যান। সেখানে তিনি প্রথমে লন্ডন এবং পরে ম্যানচেস্টারে স্কুল অব টেকনোলজিতে লেখাপড়া করেন। এ স্কুলে বাবার উদ্ভাবিত হাফটোন পদ্ধতি প্রদর্শন করে এর কার্যকারিতা প্রমাণ করেছিলেন। প্রবাসে সুকুমার রায় ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্ট সোসাইটিতে ' 'Spirit of Rabindranath' শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন। প্রবন্ধটি ঞযব ছঁবংঃ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সভায় বক্তৃতা করার আমন্ত্রণ পান।
তিনি Royal Photographic Society -এর ফেলো নির্বাচিত হন। এ ক্ষেত্রে তিনি দ্বিতীয় ভারতীয়।
১৯১৩ সালে দেশে ফিরে বাবার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘ইউ রায় অ্যান্ড সন্স’-এ যোগ দেন। সুকুমার রায় অল্প বয়স থেকেই মুখে মুখে ছড়া রচনা ও ছবি আঁকার সাথে ফটোগ্রাফিরও চর্চা করতেন। কলেজজীবনে তিনি ছোটদের হাসির নাটক রচনা এবং অভিনয় করতেন। তিনি শান্তিনিকেতনে একবার রবীন্দ্রনাথ ও অবনীন্দ্রনাথের সাথে ‘গোড়ায় গলদ’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। স্বদেশী আন্দোলনের সময় বেশ কিছু গান রচনা করেন এবং নিজে সেগুলো গেয়েছেনও। বাবার মৃত্যুর পর তার প্রতিষ্ঠিত ‘সন্দেশ’ পত্রিকা পরিচালনা ও সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন সুকুমার। প্রবাস থেকে এ পত্রিকার জন্য নিয়মিত গল্প, কবিতা ও নিজের আঁকা ছবি পাঠাতেন। সুকুমার রায় প্রেসিডেন্সিতে ছাত্র থাকাকালে ‘ননসেন্স ক্লাব’ গড়ে তোলেন, যার মুখপত্র ছিল ‘সাড়ে-বত্রিশ-ভাজা’। বিলেত থেকে ফিরে গঠন করেন ‘মানডে ক্লাব’।
এখানে আলোচনা ও পাঠের সাথে থাকত ভূরিভোজের ব্যবস্থা। তাই ব্যঙ্গ করে কেউ কেউ একে বলত ‘মণ্ডা ক্লাব’। সুকুমার রায়ের প্রধান অবদান শিশু-কিশোর উপযোগী বিচিত্র সাহিত্যকর্ম।
কবিতা, নাটক, গল্প, ছবি সব কিছুতেই সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ ও কৌতুকরস সঞ্চার করতে পারতেন। তার কাব্যে হাস্যরসের সাথে সমাজচেতনাও প্রতিফলিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো : আবোল-তাবোল, হ-য-ব-র-ল, পাগলা দাশু, বহুরূপী, খাইখাই, অবাক জলপান, শব্দকল্পদ্রুম, ঝালাপালা প্রভৃতি। এ ছাড়া বাংলা ও ইংরেজিতে রচিত তার কিছু গুরুগম্ভীর প্রবন্ধও রয়েছে। ডায়েরির আকারে ‘হেসোরামের ডাইরী’ নামে তার একটি অপ্রকাশিত রম্যরচনা আছে। ১৯২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। হ


আরো সংবাদ



premium cement