কবি আফজাল চৌধুরী
- ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
৯ জানুয়ারি বাংলা সাহিত্যে ষাটের দশকের শক্তিমান কবি অধ্যক্ষ আফজাল চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী। কল্যাণব্রতের কবি খ্যাত শিক্ষাবিদ আফজাল চৌধুরী ছিলেন তার সমসাময়িক কবিদের মধ্যে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। সাহিত্যের টাইরেসিয়াস খ্যাত দূরদর্শী এই প্রবক্তা কবি আত্মিক দিক দিয়ে নিপীড়িত বিশ্বের সব মানুষের বিশেষভাবে শোষিত ও নির্যাতিত মুসলিম জনগণের পক্ষে ছিলেন অত্যন্ত সোচ্চার। মানবাত্মার সব ধরনের অবমাননার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন চিরপ্রতিবাদী কবিকণ্ঠ। তার বেশির ভাগ কবিতায় এ সত্য বিধৃত। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠীসহ বিশ্বব্যাপী কমিউনিজমের ধ্বজাধারী কায়েমি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর সাত দশকের অপশাসন, শোষণ ও গণহত্যার নিন্দায় অধ্যক্ষ কবি আফজাল চৌধুরীর কবিতা ছিল প্রতিবাদমুখর। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের অনেক আগেই এ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। অথচ সেই সময় এ দেশের বেশির ভাগ কবি-সাহিত্যিক ছিলেন সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তার আলেক্সান্ডার সোলজোনেৎসিনকে নিবেদিত কবিতা, ‘হে পৃথিবী নিরাময় হও’ কাব্যনাটক এবং ‘সামগীত দুঃসময়’ কাব্যগ্রন্থে এ ভবিষ্যদ্বাণী স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
সিলেটের বনেদি পরিবারের সন্তান কবি আফজাল চৌধুরী শিক্ষাবিদ হিসেবে এবং শিক্ষা প্রশাসক হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। একসময় তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনেও গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সামাজিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলেন। একজন সাহিত্য সংগঠক হিসেবে নতুন প্রজন্মকে কল্যাণের পথে আহ্বান ছিল তার মিশন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা