১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

‘সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে জামায়াত এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে’

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘দেশবাসী এবার এমন একটি সময়ে ঈদুল আযহা পালন করছে যখন আওয়ামী অপশাসনের যাঁতাকলে জনগণ তার নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। চাল, ডাল, গ্যাস-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে জনগণ আজ দিশেহারা। সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও অব্যবস্থাপনার ফলে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দেশের এই ক্রান্তিকালে গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার জায়গা থেকে যেকোনো বিপদ-আপদ ও উৎসবে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে এদেশের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর এই গণমুখী প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। ইনশাআল্লাহ।’

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড-সহ পৌরসভা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্পটে অসচ্ছল ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে কোরবানির গোশত বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোহরুল ইসলামসহ জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কোরবানির গোশত বিতরণকালে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আ) তার জীবনে অনেকগুলো কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন এবং ওই সকল পরীক্ষায় তিনি সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন মহাগ্রন্থ আল কুরআনে তা বর্ণনা করা হয়েছে। ফলে তার স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ঈমানি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্যেই আল্লাহ তা’য়ালা মুসলিম মিল্লাতের ওপর কিয়ামত পর্যন্ত কোরবানিকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। হযরত ইব্রাহীম (আ) শুধু জাতির পিতাই করা হয়নি বরং মানব সভ্যতার আদর্শ ও অনুকরণীয় নেতৃত্ব হিসেবে আমাদের সামনে রাখা হয়েছে। একজন মুমিন হিসেবে আমাদেরকেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে সর্বাবস্থায় প্রস্তুত থাকতে হবে। এটাই ঈদুল আজহার প্রকৃত শিক্ষা।’

তিনি বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য আমরা কোরবানি করেছি। কোরবানির গোশত বা রক্ত কোনো কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না বরং মানুষের তাকওয়া, পরহেজগারীই আল্লাহর দরবারে পৌঁছে। সুতরাং হৃদয়ে আল্লাহর ভয় লালন করে আমাদেরকে তাকওয়া সম্পন্ন ও নিষ্ঠাবান মুসলিম হতে হবে। জীবনের সকল স্তরে অর্থাৎ পারিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আল্লাহর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে। হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর আদর্শে উজ্জীবিত ও ঈমানি শক্তিতে বলীয়ান হয়ে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement