এ বাজেট কালো টাকার বাজেট : মির্জা ফখরুল
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৭ জুন ২০২৪, ১৯:৩৫, আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪, ১৯:৪১
গতকালের ঘোষিত বাজেটকে কালো টাকার বাজেট বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কিভাবে কালো টাকা সাদা করা যাবে, সেটির বাজেট। লুটপাটের বাজেট।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া’র গৃহীত কর্মসূচি ও নীতি : বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লব ও পল্লী উন্নয়নের মূল ভিত্তি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-ময়মনসিংহ, সোনালী দল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সমাজতন্ত্র ব্যবস্থা গঠন করতে চাইলেও সে বিষয়ে কিছুই জানতো না, তারা সবাই লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। আর ১৯৭৫ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে অন্যান্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি মাঠের মানুষের কাছে গেছেন, কৃষকদের সাথে হেঁটেছেন, খাল কেটেছেন। মাঠ পর্যায় থেকে তিনি উন্নয়নকে নিয়ে এসেছিলেন। এজন্য তাকে কেউ ভুলতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, এটা আওয়ামী লীগ স্বীকার করুক আর না করুক। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ত্রাণকর্তা হিসেবে তার আবির্ভাব হয়েছিল।’
জিয়াউর রহমানের অবদান অস্বীকার করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইরাক ও ইরানের যুদ্ধ প্রশমিত করতে অবদান রেখেছে, সার্ক নিয়ে তার কত চিন্তা ছিল। অথচ একটি দল সেটিকে খেয়ে দিলো। জিয়াকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করে লাভ নেই, তাকে কেউ ছোট করতে পারবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঘোষিত বাজেট কালো টাকার বাজেট, কিভাবে কালো টাকা সাদা করা যাবে, সেটির বাজেট। লুটপাটের বাজেট। বুকের ওপর চেপে থাকা দানবকে সরাতে না পারলে আমাদের কোনো পথ নেই।
আমরা কেউ হতাশ নেই, আমাদের কেউ দল ত্যাগ করেনি, কেউ দল ছেড়ে যাবেও না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, কারণ আমরা একটা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে আছি। আমাদের দায়িত্ব, এই দানব সরকার উৎখাত করে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল জবাবদিহি সরকার গঠন করা।
সোনালী দল- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর সভাপতি অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি'র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমুসহ অনেকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা