১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইসলামী আন্দোলনের পথ ফুল বিচানো নয় : মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ইসলামী আন্দোলনের পথ কখনো ফুল বিছানো ছিল না, এখনো নয় বরং জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। আর বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় জামায়াত একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তি। তাই জামায়াতের বিজয় ঠেকানোর সাধ্য কারো নেই। এমতাবস্থায় বাতিল শক্তির জুলুম-নির্যাতনে হতোদ্দম হলে চলবে না বরং সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সংগঠনের সকল পর্যায়ে ভ্রাতৃত্বের পরিবেশ রক্ষা সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। তিনি প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর ময়দানে সকলকে আপোষহীন থাকার আহ্বান জানান।’

শুক্রবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দক্ষিণ আয়োজিত উপজেলা/থানা মাজলিসে শূরা সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারী এবিএম কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার।

সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমির জনাব মো: শাহিনুর ইসলাম, জামায়াত নেতা ডা. শহিদুজ্জামানসহ জেলা ও থানা নেতারা।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকার দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূণ্য করতেই নানাবিধ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এজন্য তারা দেশপ্রেমী ও আদর্শবাদী শক্তি জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করে শীর্ষ নেতাদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। কিন্তু শত জুলুম-নির্যাতন চালিয়েও জামায়াতের অগ্রযাত্রা রোধ করতে পারেনি, আর পারবেও না বরং সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন উপেক্ষা করেই জামায়াত একদিন লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে এবং জাতিকে নেতৃত্ব দেবে। তিনি ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে একযোগে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের জন্য দেশে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে। তাই দেশ ও জাতিকে অপসংস্কৃতির বেড়াজাল থেকে বাঁচাতে জাতিকে আত্মসচেতন করে তুলতে হবে। আর ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্ব একটি আমানত। তাই দায়িত্বশীলদের আমানতের খেয়ানত করলে চলবে না বরং স্ব স্ব দায়িত্ব ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। তিনি দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য সকলকে দ্বীনি কাজে আপোষহীন থাকার আহ্বান জানান।’

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘প্রত্যেক মোমিনের জন্য দ্বীনই হচ্ছে জীবন উদ্দেশ্য। হাদিসে রাসূল (সা.)-এ বর্ণিত হয়েছে, যার মধ্যে দ্বীন কায়েমের যযবা নেই, তার ঈমানই নেই। তাই দ্বীন কায়েমের ক্ষেত্রে কোনো আপস নয় বরং প্রত্যেককে ময়দানে অকুতোভয় সৈনিকের মতো অবিচল থাকতে হবে। তাহলেই দ্বীনের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement