১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আজিজ ও বেনজীরের দুর্নীতির অংশীদার সরকারও : দুদু

বক্তব্য রাখছেন শামসুজ্জামান দুদু - ছবি : নয়া দিগন্ত

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অংশীদার বর্তমান সরকারও বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেন, ‘ডাইরেক্টলি না হলেও ইনডাইরেক্টলি এই সরকারও তাদের সাথে জড়িত।’

শুক্রবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম।

দুদু বলেন, ‘সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ সপরিবারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছেন। তার মাধ্যমে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনী নদী পার হয়েছিল। একসময়ের পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের সম্পদ এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য বলেছে কোর্ট। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের সমর্থকই ছিলেন না, তার ঘাড়ে চেপে পুলিশের সমর্থনে সরকার গঠন করেছে তারা।’

তিনি আরো বলেন, “সরকার বড় বিপদে আছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী ‘সাদা চামড়া’ প্রসঙ্গে যে কথা বলেছেন সেটি অত্যন্ত মারাত্মক। প্রধানমন্ত্রীকে জাতির সামনে এ বিষয়টি স্পষ্ট করে বিবৃতি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। সাদা চামড়া বলতে তিনি কাদেরকে বুঝিয়েছেন?”

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, “আজকে আপনি বাংলাদেশের রাস্তা-ঘাট, বন্দর পার্শ্ববর্তী দেশকে ‘দিয়ে দিয়েছেন’। আপনি নিজেও স্বীকার করেছেন ভারতকে আপনি এমন কিছু দিয়েছেন যেটি ভারত কখনোই ভুলতে পারবে না। সাদা চামড়া বলতে আপনি কাদেরকে বুঝিয়েছেন? তারা নতুন রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছে- এই কথাটি আপনাকে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এই কথার মধ্যে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন আছে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে কিনা সেটার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।”

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার প্রসঙ্গ টেনে দুদু বলেন, ‘আনার স্বর্ণ চোরাচালানসহ অনেক অবৈধ কাজের সাথে জড়িত ছিল। এসব ব্যক্তি কিভাবে জাতীয় সংসদের সদস্য হয়?’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘চারদিকের যে পরিস্থিতি এখন সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে টান পড়েছে। সরকার থাকবে কিনা, কবে যাবে, কত তারিখে পদত্যাগ করবে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরপরেও আমি সরকারপ্রধানকে বলবো, বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য আপনি পদত্যাগ করে বিরোধী দলের সাথে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দিয়ে দেন। তাহলে হয়তো রেহাই পেলে পেতেও পারেন।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘এ দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে যারা মিথ্যা মামলায় তথাকথিত বিচারের নামে ছয়টি বছর জেলখানায় বন্দী রেখেছে, তাদের আগামী দিনে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এদেশের ব্যাংকগুলো লোপাট করে দেশটাকে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। তাদেরকে একদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দেশকে রক্ষা করার জন্য হলেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ওলামা দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement