‘ভারতীয় আগ্রাসন বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে’
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২১ মে ২০২৪, ১৬:১০
ভারতীয় আগ্রাসন বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা আয়োজিত ‘আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন ও আজকের বাংলাদেশ’ এবং মরহুম শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
জামাল হায়দার বলেছেন, ভারতীয় আগ্রাসন বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন ভারত নিয়ন্ত্রিত এবং ভারতকে সর্বময় সহযোগিতা করছে আমাদের দেশের আওয়ামী লীগ সরকার। এখন প্রয়োজন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে হিন্দুস্তান ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমার রাজনৈতিক জীবনে দু’জন মানুষকে হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে দেখেছি। একজন আমার নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, আরেকজন জাগপার সাবেক সভাপতি মরহুম শফিউল আলম প্রধান। এই দুইজন নেতা দেশের জন্য সত্য উচ্চারণে ছিলেন আপসহীন। আমি তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার একটি ভারতীয় কৃতদাস সরকার। এই সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। এই সরকার আজ জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে। ইনশা আল্লাহ আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় করব।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার অভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়ানক পথের দিকে এগুচ্ছে। এজন্য এই সরকারের আমলাতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র দায়ী।
তিনি বলেন, আজ দেশের প্রয়োজনে কোনো ভেদাভেদ নয়, ঐক্য প্রয়োজন। এই ঐক্যের মাধ্যমে আমরা এই জুলুমবাজ আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করব।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি -জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, আমার মরহুম বাবা শফিউল আলম প্রধান এবং মরহুমা মা অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। আমিও দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।
তিনি বলেন, এদেশের মাটির পবিত্রতা রক্ষার জন্য আমাদের সর্ব প্রথম হিন্দুস্তানকে মোকাবেলা করতে হবে এবং তাদের দোসর আওয়ামী লীগকে প্রতিরোধ করতে হবে। তাহলে দেশের জনগণের মুক্তি সম্ভব। ইনশা আল্লাহ আগামী আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মিয়া মসিউজ্জান, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো: ফারুক রহমান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলীম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড: হেলাল উদ্দিন, জামায়াতের কাজী ফখরু উদ্দিন মানিক, আতাউর রহমান, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান, তারিকুল ইসলাম ভূইয়া, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, জাগপা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।
স্মরণ সভা পরিচালনা করেন যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু।