ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা গড়তে ঘরে ঘরে দাওয়াত পৌছে দিতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ মে ২০২৪, ১৭:৩৪
ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা গড়তে ঘরে ঘরে দাওয়াত পৌছে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, আধিপত্যবাদী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের করাল গ্রাসে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি আজ চরম হুমকির মুখে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব একমাত্র রক্ষাকবচ হচ্ছে ইসলাম। অথচ এদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকায় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে, অন্যায় বেড়ে গেছে। সীমাহীন দুর্নীতির ফলে ব্যাংক লুট হচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। দেশের জনগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় এদেশের মাটি ও মানুষকে রক্ষা করতে জামায়াতে ইসলামীর রুকন প্রার্থীসহ সকল জনশক্তিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে হবে। ইসলামের সু-মহান আদর্শের দাওয়াত ঢাকা মহানগরীসহ সারা বাংলাদেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। আল্লাহর তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে এই তিলোত্তমা নগরীরসহ প্রত্যেকটি অলিগলি মুখরিত রাখতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে শনিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে রুকন (সদস্য) প্রার্থীদের নিয়ে দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন ও ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, মহানগরীর সহকারী অফিস সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমদ খান, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুর রহিম জীবন, মু. মুজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রুকন প্রার্থীদের নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে আন্দোলনকে বিজয়ী করতে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করা একটি ফরজ ইবাদত। তাই সমাজের সকল মানুষের কাছে ইসলামের সু-মহান আদর্শের দাওয়াত পৌছিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে নিজেদের আওতাধীন সকল ব্যক্তির উপর দ্বীনের দাওয়াত দেয়া অবশ্যক। পরিবারের কর্তা তার স্ত্রী-সন্তানদের, প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীদের, এলাকার মেম্বার-কমিশনার, চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী কিংবা শাসকগণ যার যার অধীনস্থ সবাইকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ প্রদান করে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয়ের জন্য দাওয়াত দেবেন। কেননা, রাসূল স: বলেন,‘তোমরা প্রত্যেকেই জিম্মাদার এবং তোমাদের প্রত্যেকেই তাদের অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হবে।'
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের জন্য একদল যোগ্য ও দক্ষ লোকের প্রয়োজন। ফলে সেই দক্ষ ও যোগ্য লোক তৈরির জন্যই আজকে রুকন প্রার্থীদের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবিরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ইকামাতে দ্বীনের আন্দোলনকে বেগবান করতে বাইয়াতবদ্ধ জীবন যাপন করতে হবে। বাইয়াতে রিদওয়ান, আকাবার শপথ, হুদায়বিয়ার শপথ, মক্কা বিজয় সহ বিভিন্ন সময় সাহাবীগণ রাসূল সা:-এর কাছে বাইয়াত নিয়েছিলেন। রাসূল সা:-এর ইন্তেকালের পরে সাহাবায়ে আজমাইন খোলাফায়ে রাশেদিনের কাছে বাইয়াত নিয়েছিলেন। মুসলিম সমাজ পরিচালনার দায়িত্ব যার ওপর ন্যস্ত হয়েছিল তার কাছে বাইয়াত হওয়া ইসলামের ইতিহাসে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও ঈমানদারদের জন্য অপরিহার্য। এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে আপনারাও বাইয়াত গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাদের বাইয়াতের কর্মী হিসেবে কবুল করুন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে একদল দক্ষ, যোগ্য ও আদর্শের জন্য পাগলপারা কর্মী বাহিনী প্রয়োজন। তড়িঘড়ি করে মঞ্জিলে পৌঁছে যাওয়া আমাদের লক্ষ নয়। তাই ইসলামী জীবন-বিধান গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের মন মানসিকতা সম্পন্ন কাংখিত মানের কর্মীবাহিনী গঠন করে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌছুতে চাই। এজন্য রুকন প্রার্থীদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে একইসাথে এই মানের কর্মী তৈরির জন্য ময়দানে ভুমিকা পালন করতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা