সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বাংলাদেশ : গয়েশ্বর
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৯ মে ২০২৪, ১৮:১৯
বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশী আগ্রাসন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের একাংশ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, বর্তমান সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে নয়, পাশ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে। ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পণ্য। এই সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের বিদেশী পণ্য বর্জন করা উচিত।
তিনি বলেন, গনতন্ত্র কখনো আসবে, কখনো যাবে। গণতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসন বিরোধী লড়াই করা কঠিন।
তিনি আরো বলেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ব্যাংকের যে করুণ চিত্র কিছুদিন পরে কর্মীদের বেতন দেয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে তাদেরকে বেতন দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে শুনেছি অ্যামেরিকা কঠিন পদক্ষেপ নেবে। দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমি বলি কেউ আপনার দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেবে না। আপনাদের নিজেদের দেশে নিজেদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশে আমরা ভারতের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাবো না। আমরা জনগণের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাবো।
তিনি বলেন, আমাদের এখন এই সরকারের পতনের পথ কী হবে সেটা বলতে পারি না। তবে এটা বলতে পারি যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারের পতন চায়। যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারকে চায় না, সে দেশে একদিন না একদিন এই সরকারের পতন হবে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসবে।
গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মুঞ্জুসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।