দ্বীন কায়েমের আন্দোলনে সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৭
দ্বীন কায়েমের আন্দোলনে সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হওয়া আল্লাহ এক বিশেষ নিয়ামত। হেদায়াতের রাস্তায় চলা সঠিক পথে চলার একমাত্র রাস্তাই হচ্ছে ইসলামী আন্দোলন। মহান আল্লাহ আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর আয়োজনে ছাত্রশিবিরের সাবেক সাথী-সদস্যদের নিয়ে ঈদপ্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামান্যতম কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ সংশয় থাকার কোনো সুযোগ নেই। দ্বীন কায়েমের আন্দোলনে ছাত্রশিবিরের সাবেক সাথী-সদস্য ভাইদেরকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। সবার আগে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টার চাইতে সর্বোচ্চ জেহাদ আর কিছু নেই।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি কামারুজ্জামান সোহেল, মোশারফ হোসাইন, নাছির আহম্মেদ মোল্লা।
অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ মোতাহের আলী দিলাল, অধ্যাপক জাকির হোসেন, কাজী নজির আহম্মেদ, মোহাম্মদ হোসাইন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ, মু শাহাদাত হোসেন, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দ্বীন প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যই হলো অসৎ দুর্নীতিবাজ চরিত্রহীন নেতৃত্বের হাত থেকে দেশ জাতিকে মুক্ত করা। জামায়াতে ইসলামী একদল সৎ, দক্ষ, যোগ্যাতাসম্পন্ন দুর্নীতিবাজ মুক্ত নেতৃত্ব উপহার দিতে চায়। আর এই নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য ছাত্রশিবির শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে কাজ অব্যাহত রেখেছে। এই দেশ, জাতি ছাত্রশিবিরের কাছে চির ঋণী। এই আন্দোলনের মাধ্যমে সাথী-সদস্য হয়ে বৃহত্তর আন্দোলন থেকে দূরে থাকার সুযোগ নাই। ছাত্রশিবিরের সাবেক সাথী-সদস্যদের জামায়াতের রুকন শপথ নেয়ার মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, একজন মুসলমানের দায়িত্ব হল মহান আল্লাহকে ভয় করে চলা। দুনিয়ার কোনো শক্তিকে একজন মুমিন কখনো ভয় করতে পারে না। রমজানের যে মূল শিক্ষা সেটা হল তাকওয়া বা আল্লাহ-ভীতি অর্জন। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বকে পূর্ণ আনুগত্য করতে হবে। আল্লাহ তায়া’লা যে সম্পদ দিয়েছেন তা থেকে তার রাস্তায় খরচ করতে হবে এবং ঈমানের ব্যাপারে ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোনো দ্বিধা, সন্দেহ-সংশয় থাকা যাবে না। এ সকল ব্যক্তিই পরকালে সফলতা লাভ করবে।
তিনি আরো বলেন, বাতিল শক্তি ইসলামের দুশমনেরা দীনি হককে পরাজিত করতে চায়। আল্লাহ তায়া’লা নবী-রসূলগণকে এজন্য পাঠিয়েছেন, তারা জাহান্নামের ভয় ও জান্নাতের সুসংবাদ দিবেন। আমাদেরকেও সেই দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি