১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘সংবিধান প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার দিয়েছে’

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আগামী ১০ জুন রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন বিশিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ ১৩০ জন পেশাজীবী নেতা।

বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতারা বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতা ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আগামী ১০ জুন শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। সুষ্ঠুভাবে সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহযোগিতা চেয়ে গত ৫ জুন অনলাইনে এবং ৬ জুন প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে আবেদনও করা হয়েছে। নাগরিকদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা, মত প্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ মিছিল-সভা সমাবেশ করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। ফলে জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আমরা সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

পেশাজীবী নেতারা আরো বলেন, বিগত ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে চার বার সভা-সমাবেশে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিনিধি দল প্রেরণ করার মাধ্যমে আবেদন করেছিল। আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করেছি, প্রতিবারই তাদের সংবিধানস্বীকৃত সভা সমাবেশের অধিকারকে খর্ব করে আবেদনগুলো নাকচ করে দেয়া হয়েছে। দেশের সংবিধান প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার দিয়েছে। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, আমরা দেখেছি, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আইনজীবীগণের একটি প্রতিনিধি দল সমাবেশের আবেদন নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের নিকট গেলে ডিএমপি কার্যালয়ের গেট থেকে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তিন ঘণ্টা পর তাদের মুক্তি দেয়া হয়। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এহেন সংবিধানবিরোধী আচরণে আমরা সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

পেশাজীবী নেতারা আরো বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করছি ১০ জুনের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদেরকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাদের বাসাবাড়ি ও কর্মস্থল থেকে গ্রেফতার করছে। ক্ষেত্র বিশেষে অসংখ্য নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের বিনা অপরাধে হয়রানি করা হচ্ছে, যা আইনের শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। ভিন্নমতের মানুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের ওপর জুলুম-নিপীড়নের পরিণতি কখনো শুভ হয় না। আমরা রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার পরিবর্তে তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement
নেতানিয়াহুসহ ইসরাইলি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে আইসিসি! ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি : ইরানি কমান্ডার ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ‘কেন্দ্র’ ইসফাহান : সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মিয়ানমারের বিজিপির আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের সেই ম্যানেজারকে চট্টগ্রামে বদলি দুবাইয়ে বন্যা অব্য়াহত, বিমানবন্দর আংশিক খোলা ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’

সকল