২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সরকার দেশ-বিদেশে সব সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশ-বিদেশে সব সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে। এদের আর বেশি দিন সময় নেই। সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করে একটা ঝড়ের গতির মতো আন্দোলন করতে হবে। এদেরকে বিদায় করতে হবে।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শ্যামলী ক্লাব মাঠ আদাবর লিংক রোডে এ জনসমাবেশের আয়োজন করে মহানগর বিএনপি।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত ও সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং ও আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে জনসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে মানুষ রাস্তায় নেমেছে তার ভাত ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানুষ আজ নেমেছে।

প্রধানমন্ত্রীকে গণভবন থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ গ্যাস নাই, পানি নাই, কিন্তু দাম বারবার বৃদ্ধি করছেন। সারের দাম তিন থকে চার গুণ বৃদ্ধি করেছেন। কৃষকেরা কিছু করতে পারছে না। গ্রামে বিদ্যুতের অভাবে পানি সেচ দিতে পারছে না। গণভবন থেকে বেরিয়ে আসুন, মানুষের চোখের ভাষা পড়ুন। মানুষের কী হাল করেছেন।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা বলেন, আমার পেটের উন্নয়ন চাই, সাধারণ মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন চাই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বলা যাবে না, কওয়া যাবে না...। জীবন দিয়ে পেলাম আজব স্বাধীনতা। সাংবাদিকরা লিখতে পারছে না। কারণ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করে মুখ বন্ধ করেছে। লিখতে-বলতে ভয় পায় সাংবাদিকরা। যতই বিদেশে ঘোরাঘুরি করেন কোনো লাভ হবে না। টিকতে পারবেন না। আর সময় নেই। এরা টিকে থাকার জন্য মরণকামড় দিবে। এখন হাইকোর্ট জামিন দেয় কিন্তু নিম্নকোর্ট এটা আটকে দেন। কোন পর্যায়ে গেছে দেশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। আমরা সংঘাত চাই না। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেই ব্যাবস্থা করুন। ১৮ সালে নির্বাচন ডেকে নিয়ে বলেছিলেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কোনো অনিয়ম হবে না। কিন্তু কী হয়েছিল? দেখলাম ভোটের আগে আমাদের প্রার্থীদের গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে, রাতে ভোট করেছেন।

সরকার বলছে, তারা নাকি ঝড় মোখাকে প্রতিরোধ করেছে কিন্তু এ দেশের গণমানুষের ঝড় কিভাবে থামাবেন? থামাতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন ফখরুল।

সভাপতির বক্তব্যে আমান উল্লাহ আমান বলেন, গুলি চালিয়ে এই ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ১৭ জন নেতাকে হত্যা করেছে। গুলি চালিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে চায় এ সরকার। আমরাও দেখতে চাই, এই সরকারের কত গুলি আছে? আমাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিব তবুও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ঘরে ফিরবো না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, গত ১৫ বছরে এই সরকার এই ঢাকাতে শত শত নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। তাতে আমাদের কি ঠেকানো গেছে। ঠেকানো যায়নি। যত গুলি-হামলা করেন আমাদের ঠেকাতে পারবেন না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মিল্টন প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement